৬ জন লোক এসে মা মেয়েকে জোর করে ট্রলারে তুলে নদীর মাঝখানে নিয়ে যায়। এসময় মাকে ট্রলারের মধ্যে ও মেয়েকে ট্রলারের উপরে উঠিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। এভাবে নির্যাতন চলতে থাকে রাত ১১টা পর্যন্ত। এসময় মা মেয়ে চিৎকার করতে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মমিনপুর এলাকার জেলে সুমন মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, তিনি ওই সময় কেশবপুর ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া নদীর চর ঈশান এলাকায় মাছ ধরছিলেন। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে তিনি একটি মেয়ের ডাক-চিৎকার শুনতে পান। তখন ২০ থেকে ২৫ জন জেলে একত্রিত হয়ে ওই ট্রলারটি ঘেরাও করে। এতে ট্রলার থেকে কয়েকজন ব্যক্তি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর তারা ওই ট্রলার থেকে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে। ট্রলার থেকে জেলেরা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নুর আলমকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
অভিযুক্ত নূর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ধর্ষণ করি নাই। অন্যরা এর সঙ্গে জড়িত। আমাকে ট্রলারের মেশিন সারানোর জন্য নেয়া হয়েছিল। সোহেল (৩২), রহিম মীর (৩৫), হারুন মৃধা- এরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত।’ জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে কিনা সে সম্পর্কে জানতে চাইলে নূর আলম বলেন, ‘তারা সবাই যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মী।’
এটা কোনো বস্তাপঁচা বাংলা সিনেমার দৃশ্য নয়, একান্তই বাস্তব, ঘটনাটি গত শনিবার রাতে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদী এলাকায় ঘটে। খবরের সূত্রঃ
বাংলা মেইলঃ মা-মেয়েকে ট্রলারে তুলে গণধর্ষণ করলো যুবলীগ নেতারা
বিডিনিউজ২৪ঃ মা-মেয়ে ধর্ষণ: গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ‘স্বীকারোক্তি’
এরা নিতান্তই দরিদ্র/নিম্নবিত্ত ঘর, তার ওপরে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু। এদের জন্যে কেউ যুদ্ধ ঘোষনা করবে না, কেউ নিয়মিত ফলোআপ রাখবে না খবরের কাগজের প্রথম পাতায়। তবে এইরকম ঘটনা কিন্তু এই একটি নয়, অল্প কয়েক মাসের মাধ্যে এরকম আরো নির্যাতনের খবর আছে যেখানে ক্ষমতাসীন দলের নেতা/পাতিনেতা/উপনেতা ইত্যাদি পদধারীর হাতে নির্যাতিত হয়েছেন অনেকেই। আখের গোছাবার বেলায় এদের কাছে সংখ্যাগুরু আর সংখ্যালঘু ভেদাভেদ নেই কোনো।
আওয়ামীলিগ জনসমর্থন হারায় এইসব কারনেই, আর দলের ভুল, এদের রক্ষার চেষ্টা, অথচ শক্ত হাতে এদের বিচার করা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া খুবই দরকার।
ব্যাকআপঃ নিজের ওয়েবলগ
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৭