যুদ্ধের মাঝখানে বৃটিশ প্রাইম মিনিষ্টারের কিয়েভ ভ্রমণকে আপনি কিভাবে দেখছেন: ইহা যুদ্ধ-বিরতিতে সাহায্য করবে, যুদ্ধকে প্রলম্বিত করবে, পুটিনকে থামাবে, পুটিনকে রাগান্বিত করবে, জিলেনস্কিকে যুদ্ধে বিজয়ের স্বপ্ন দেখাবে, জিলেনস্কিকে সমঝোতার দিকে নেবে, ইউক্রেন বাহিনীকে উৎসাহিত করবে, ইউক্রেনের মানুষ ১ জন বিশ্বস্ত বন্ধুকে কাছে পাচ্ছে?
যদিও অলিখিতভাবে আমেরিকাই বিশ্ব মোড়ল, আজকের বিশ্বে ইউরোপের ভুমিকা এখনো বিশাল , ফরাসী বিপ্লব (১৭৮৯ -১৭৯৯ সাল) ইউরোপকে আধুনিক বিশ্বের মস্তিস্কে পরিণত করেছে; মানুষ আফ্রিকা ও মধ্য-এশিয়া থেকে কিছু আশা করছে না; অষ্ট্রেলিয়া বিশ্বের যেকোন সমস্যায় চুপ থাকে, চীনের নেতৃত্ব কেহ চাহে না, আমেরিকাকে বিশ্বের সবাই সমালোচনা করে, দক্ষিণ আমেরিকা চলছে, কিন্তু তারা আছে, নাকি নেই, সেটার সিগন্যাল পাওয়া কঠিন; আসলে, ইউরোপই সবার ভরসার কেন্দ্র। সেই ইউরোপে যখন যুদ্ধ লাগে, মানুষ হতাশ হয়, মনেপ্রানে চায় যে, ইহার অবসান হোক।
কিন্তু মানব ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ানক যুদ্ধ ঘটেছে ইউরোপে, সবচেয়ে লম্বা যুদ্ধ ঘটেছে ইউরোপে! যখন ইউরোপের মাথা খারাপ হয়, উহার চিকিৎসা করার জন্য কেহ থাকে না; উহারা সব ধ্বংস করে, নিজেরা থামে; তাদের সেই প্যটার্ণ বাকীদের চিন্তিত করে তোলে; আজকের বিশ্ব আসলেই ভয়ংকরভাবে ভীত।
আমার ব্যক্তিগত ধারণা হলো, আজকের বিশ্ব যেখানে আছে, যুদ্ধের যেই অবস্হা, বরিস জনসন যদি চিন্তাশীল মানুষ হতো, সে এই যুদ্ধের মাঝে আসলে মস্কো গেলে ভালো হতো; কারণ, এই যুদ্ধের মুলগতি ইউক্রেনের মানুষের হাতে নয়, ইহা পুটিনের হাতে। পুটিনের প্ল্যান কাজ করেনি, সে যা করতে চেয়েছিলো সেটা ঘটেনি, বরং ভয়ংকর কিছু ঘটেছে; কিন্তু এই ধরণের যুদ্ধ দীর্ঘ সময় চালিয়ে যাবার ক্ষমতা পুটিনের আছে; এবং জোর করে বিজয় ঘোষণা করার, ইউক্রেনের একটা বড় অংশ দখল করে রাখার ক্ষমতা পুটিনের আছে। জেলেনস্কিকে অস্ত্র দিয়ে কাজ হবে না; ইহাতে বিশ্বকে অনেক বড় বিপদ ও অনিশ্চয়তার মাঝে ঠেলে দেয়া হচ্ছে মাত্র।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯