somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বরিস জনসনের কিয়েভ ভ্রমণকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



যুদ্ধের মাঝখানে বৃটিশ প্রাইম মিনিষ্টারের কিয়েভ ভ্রমণকে আপনি কিভাবে দেখছেন: ইহা যুদ্ধ-বিরতিতে সাহায্য করবে, যুদ্ধকে প্রলম্বিত করবে, পুটিনকে থামাবে, পুটিনকে রাগান্বিত করবে, জিলেনস্কিকে যুদ্ধে বিজয়ের স্বপ্ন দেখাবে, জিলেনস্কিকে সমঝোতার দিকে নেবে, ইউক্রেন বাহিনীকে উৎসাহিত করবে, ইউক্রেনের মানুষ ১ জন বিশ্বস্ত বন্ধুকে কাছে পাচ্ছে?

যদিও অলিখিতভাবে আমেরিকাই বিশ্ব মোড়ল, আজকের বিশ্বে ইউরোপের ভুমিকা এখনো বিশাল , ফরাসী বিপ্লব (১৭৮৯ -১৭৯৯ সাল) ইউরোপকে আধুনিক বিশ্বের মস্তিস্কে পরিণত করেছে; মানুষ আফ্রিকা ও মধ্য-এশিয়া থেকে কিছু আশা করছে না; অষ্ট্রেলিয়া বিশ্বের যেকোন সমস্যায় চুপ থাকে, চীনের নেতৃত্ব কেহ চাহে না, আমেরিকাকে বিশ্বের সবাই সমালোচনা করে, দক্ষিণ আমেরিকা চলছে, কিন্তু তারা আছে, নাকি নেই, সেটার সিগন্যাল পাওয়া কঠিন; আসলে, ইউরোপই সবার ভরসার কেন্দ্র। সেই ইউরোপে যখন যুদ্ধ লাগে, মানুষ হতাশ হয়, মনেপ্রানে চায় যে, ইহার অবসান হোক।

কিন্তু মানব ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ানক যুদ্ধ ঘটেছে ইউরোপে, সবচেয়ে লম্বা যুদ্ধ ঘটেছে ইউরোপে! যখন ইউরোপের মাথা খারাপ হয়, উহার চিকিৎসা করার জন্য কেহ থাকে না; উহারা সব ধ্বংস করে, নিজেরা থামে; তাদের সেই প্যটার্ণ বাকীদের চিন্তিত করে তোলে; আজকের বিশ্ব আসলেই ভয়ংকরভাবে ভীত।

আমার ব্যক্তিগত ধারণা হলো, আজকের বিশ্ব যেখানে আছে, যুদ্ধের যেই অবস্হা, বরিস জনসন যদি চিন্তাশীল মানুষ হতো, সে এই যুদ্ধের মাঝে আসলে মস্কো গেলে ভালো হতো; কারণ, এই যুদ্ধের মুলগতি ইউক্রেনের মানুষের হাতে নয়, ইহা পুটিনের হাতে। পুটিনের প্ল্যান কাজ করেনি, সে যা করতে চেয়েছিলো সেটা ঘটেনি, বরং ভয়ংকর কিছু ঘটেছে; কিন্তু এই ধরণের যুদ্ধ দীর্ঘ সময় চালিয়ে যাবার ক্ষমতা পুটিনের আছে; এবং জোর করে বিজয় ঘোষণা করার, ইউক্রেনের একটা বড় অংশ দখল করে রাখার ক্ষমতা পুটিনের আছে। জেলেনস্কিকে অস্ত্র দিয়ে কাজ হবে না; ইহাতে বিশ্বকে অনেক বড় বিপদ ও অনিশ্চয়তার মাঝে ঠেলে দেয়া হচ্ছে মাত্র।


সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯
১৯টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×