আমাদের মিলিটারী শেখ সাহেবকে হত্যা করে, ক্যান্টনমেন্ট বসে ২টি রাজনৈতিক দল প্রসব করেছিলো: বিএনপি ও জাপা; একটার পিতা, জে: জিয়া, অন্যটার পিতা হচ্ছে, জে: এরশাদ; ২ জনেই গত হয়েছেন, কিন্তু তাদের রোপন করা বিষবৃক্ষদ্বয় ফল দিয়ে যাচ্ছে। এই দল দু'টি জাতিকে কক্ষচ্যুত করে, পুরোপুরি কুপথে, বিপথে নিয়ে গেছে। ১টার সার, পানি বন্ধ করেছেন শেখ হাসিনা; কিন্তু অন্যটাকে কার্বন-ডাই অক্সাইড সরবরাহ করে চলে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজের পিতার জন্য মাঝে মাঝে অশ্রু বিসর্জন করেন, আমার মনে সব সময় প্রশ্ন আসে, উনার পিতার কবরের উপর যে, এই ২টি বিষবৃক্ষ ফুল ও ফল দিয়ে যাচ্ছে, উনি দেখেন না? এদের মুলটা টেনে তোলার কথা কেন তিনি ভাবেন না?
মিলিটারী ক্যান্টনমেন্টে বসে, অলস চাকুরী করে, দল গঠন করে বাহিরে উহার সাইনবোর্ড লাগায়েছিলো, এই সাইনবোর্ডের নীচে এসে সমবেত হয়েছিলো দুনিয়ার যত স্বাধীনতা-বিরোধী, তলানীতে-পড়া তথাকথিত রাজনীতিবিদরা; মিলিটারী খুঁদ-কুটা ছিটায়ে চিল, কাউয়ার মেজবান বসায়েছিলো।
আইয়ুব খান পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছিলো ১৯৫৮ সালে, পাকিস্তান উহা থেকে আর বের হতে পারেনি; মগের মুল্লুকে মিলিটারী ক্ষমতা নিয়েছিলো ১৯৬২ সালে, এখনো আছে। আমাদের জেনারেলরা এখন কি কলকাঠি নাড়ছে বলা কঠিন; তবে, মাঝে মাঝে বিএনপি নড়েচড়ে উঠে।
মিলিটারী রাজনীতির ফলে জাতি তার কক্ষপথ হারিয়েছে, ইহার পথ-প্রদর্শক জে: জিয়াকেও মুল্য দিতে হয়েছে, উনার প্রাণ গেছে, স্ত্রী জেল খাটছে, ১ ছেলে লন্ডনে বসে শয়তানের কলকব্জা নাড়ছে, অন্য ছেলে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রবাসে মৃত্যুবরণ করেছে। জে: এরশাদকে কুকাজের জন্য মুল্য দিতে হয়নি, হেরেম খুলে অটোম্যান সম্রাটদের মতো আনন্দময় জীবন যাপন করে গেছে; মরার সময় ছেলেদের নামে ২০০ কোটী টাকার বেশী ক্যাশ, সম্পত্তি ও রাজনৈতিক দল রেখে গেছে; স্ত্রী বাংলাদেশ পরিচালনায় অংশ নিয়ে মহান ব্রত পালন করে যাচ্ছে, বড় বেতনে চাকুরী করে চলেছে। ঢাকা ইুনিভার্সিটির ছেলেমেয়েরা চাকুরী পায় না, এরশাদের পরিবারের অথর্বরা পার্লামেন্ট বসে বিরাট টাকার বেতন নিচ্ছে জাতি থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৩৪