শেখ হাসিনার সরকারের সময় কখনো নাগরিক অধিকার আদায়ের জন্য কোন আন্দোলন হয়নি; ফলে, নাগরিক অধিকার বলে কোন কিছু থাকতে পারে, উহা শেখ হাসিনার সরকারের লোকজনের মাথায় কখনো আসেনি। বিএনপি-জামাত যেসব আন্দোলন করেছিলো, সেগুলোর সারমর্ম ছিলো সরকার পতন, কিংবা বেগম জিয়ার অধিকার প্রতিষ্টা করার জন্য। ২০১৬ সালের পর থেকে বিএনপি যা বলেছে, সবকিছু ছিলো বেগম জিয়াকে নিয়ে; বিএনপি'র বক্তব্য শুনলে মনে হয়, বাংলাদেশে ১জন মাত্র মানুষ বাস করেন, তিনি হলেন বেগম জিয়া। রিজভী সাহেব ও মির্জা সাহেব নিজের জন্যও কিছু চাননি, যা চেয়েছেন সবকিছু বেগম জিয়ার জন্য মাত্র। বেগম জিয়া জীবনকে যেভাবে উপভোগ করেছেন, কোন বাংগালীর জীবন এত উপভোগ্য হয়নি।
বিএনপি-জামাতের সকল রাজনৈতিক কান্ডকর্মের ফলে, শেখ হাসিনার মাথায় ১জন মাত্র নাগরিকের সমস্যা পৌঁছেছে, বেগম জিয়ার সমস্যা; শেখ হাসিনা সেটা বিবিধভাবে হ্যান্ডিং করেছেন। শেখ হাসিনা নিজের থেকে বের করেছেন যে, বাকী ১৯ কোটী বাংগালীর ২টি সমস্যা আছে: (১) বাংগালীরা পদ্মা পার হতে চায় (২) ঢাকা শহরের মানুষ মেট্রো রেলে চড়তে চায়; সুতরাং, উনি এই ২ সমস্যার সমাধানও তিনি করছেন।
নাগরিকদের যে, এর বাহিরে আরো সমস্যা থাকতে পারে, সেটা বিসিএস পাশের জন্য নোটের ভেতর নেই; ফলে ব্যুরোক্রেটরা এসব জানে না; শেখ হাসিনা যাদেরকে দেশের নাগরিক হিসেবে চেনেন, পৃথিবীতে তাদের কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে যদি চীৎকার দিয়ে বলতে পারতো যে, বেকারত্বের অবসান চাই, আমাদের আয়ব্যয়ের সমন্ময় চাই, বাজাদরের স্হিতিশীলতা চাই, আমরা ফ্রি পড়ালেখা করতে চাই, ট্রেনিং চাই, পেনশন চাই, ফ্রি চিকিৎসা চাই; তা'হলে, তিনি এসব আজব সমস্যা গুলোর কথা শুনতে পেতেন ও ভাবার শুরু করতেন; হয়তো, সমাধান করার চেষ্টাও করতেন।
কিন্তু দেশের মানুষ কোনদিন আন্দোলনে যায়নি; ফলে, শেখ হাসিনার সরকার ধরে নিয়েছে যে, তারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশী দক্ষতার সাথে দেশ চালাচ্ছে, জাতির কোন সমস্যা নেই।
শেখ হাসিনা একা চাকুরী করে ভালোই আছেন, তেল নুন নিয়ে সমস্যায় আছেন বলে মনে হয় না; রওশন এরশাদও ভালো আছেন, স্বামী নেই, একা চাকুরী করে পরিবার চালিয়ে যাচ্ছেন, কোন অসুবিধা হচ্ছে না; বাকী লোকজন, স্বামী-স্ত্রী ২ জন চাকুরী করেও চলতে পারেন না, ব্যাপারটা কি? এরা চলতে জানে না, হয়তো!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:৩০