বৃটেন থেকে প্রাপ্ত স্বাধীনতাাকে ব্যর্থ করে দিয়েছিলো ব্যুরোকরেটরা ও আইয়ুব খান মিলে; পাকিস্তান থেকে প্রাপ্ত স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে ব্যুূরোক্রেটরা, জিয়া, এরশাদ ও বেগম জিয়া মিলে। শুরুতে শেখ হাসিনার কিছুটা ভয়েস ছিলো, ব্যুরোক্রেটরা শেখ হাসিনাকে অবশেষে বেগম জিয়ায় পরিণত করেছে।

আমি আমেরিকা ও বাংলাদেশের কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যাপারকে সামুতে এনেছি বিবিধ সময়ে; আগে আমার অনেক পোষ্টে, শিক্ষিত ব্লগারদের অনেকেই বলতেন যে, তাঁরা রাজনীতি বুঝেন না; ব্লগারেরা যে রাজনীতি কম বুঝেন, ইহা সহজেই বের করা যায়, ব্লগে অনেক বিষয়ে অনেক পোষ্ট এলেও শুদ্ধ রাজনৈতিক পোষ্টের সংখ্যা খুবই কম। ব্লগারদের অনেকেরই বেশ উচ্চ-শিক্ষিত; রাজনীতিতে তাঁদের এই অবস্হা হলে, মেট্রিক পাশ (? ) করা বেগম জিয়া রাজনীতির মাথামুন্ড কি জানতেন? তিনি ১২ বছরের প্রাইম মিনিষ্ট্র ও ১২ বছর বিরোধী দলের নেত্রী ও ৪০ বছর বিএনপি-প্রধান হিসেবে দেশ কিভাবে চালায়েছেন?

আপনি ১০০ ভাগ সিওর থাকতে পারেন যে, বেগম জিয়া দেশ চালনাতে ছিলেন না, দেশ চালায়েছে ব্যুরোক্রেটরা ও মিলিটারী ইনটেলিজেন্স, ডিজিএফআই ও কিছু জেনারেল; বেগম জিয়া সুন্দর শাড়ী পরে রাজনীতিবিদের অভিনয় করতেন; কথা বললে ভুল হবে, সেটা উনাকে শেখানো হয়েছিলো, সেজন্য তিনি শেখানো কথার বাহিরে কিছু বলতেন না, গম্ভীর হয়ে বসে থাকতেন। ব্যুরোক্রেটরা সবকিছু করে, ম্যাডামের সুনাম করতেন।

সেই ব্যুরোক্রেটরা অবশেষে শেখ হাসিনাকে উনার দল থেকেও বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন; এমপি, মিনিষ্টারদের অবস্হা পিগমীদের মতো, এরা আইন প্রনয়ন ও দেশ চালনার মাথামুন্ড কিছুই জানে না; সেই সুযোগে ব্যরোক্রেটরা এদেরকে পোষ মানায়, ব্যুরোক্রেটদের কাগজপত্রে সাইন করে এরা নিজের পদ ধরে রাখে।

শেখ হাসিনার দলের কোন এজেন্ডা নেই, দেশ চালনার কোন রোডম্যাপ নেই, ২০৪১ সালের নাকি কি একটা এজেন্ডা আছে, অনেক কিছু করবেন! ২০৪১ সালে আওয়ামী লীগের কে কোন পদে থাকবে, আোয়ামী লীগের কি অবস্হা হবে? সেটা কেহ বলতে পারবে না; এমন কি শেখ হাসিনা কোথায় থাকবেন, তার ঠিকানা নেই! এগুলো কি রাজনৈতিক কথাবার্তা? ২০২২ সাল থেকে বেকার বসে বসে ২০৪১ সালের জন্য দিন গণনা করো! ব্যুরোক্রেটরা উনাকে দুনিয়ার আজগুবি সব আইডিয়া দেন।