২০২৩/২০২৪ সালে, বিশ্বব্যাপী রিসেশানের সময় বাংলাদেশে সুস্হির সরকার থাকার দরকার আছে। শেখ হাসিনার সরকার এখন বেশীরভাগ মানুষের আস্হাভাজন সরকার নন; কিন্তু উনার সরকার ও প্রশাসন যদি এই সময়ে কোন ধরণের অস্হিরতায় ভোগে, দেশের মানুষের অবস্হা অনেক খারাপের দিকে যাবে। ২০২৩/২০২৪ সালে উনার সরকারকে সুস্হির রাখার জন্য নির্বাচনটি এই বছর করার দরকার ছিলো; কিংবা উহাকে ২০২৪ সালের শেষের দিকে নিয়ে যাওয়ার দরকার আছে।
বিশ্বব্যাপী রিসেশন শুরু হয়েছে; রিসেশন হচ্ছে, ক্যাপিটেলিষ্ট অর্থনীতির একটি বৈশিষ্ট যা নিজের ফাইন্যানসিয়াল সিষ্টেমকে নিজেই কিছু সময়ের জন্য ভোগায়, ভয়ংকরভাবে শ্লো করে দেয়। তৃতীয় বিশ্বের অর্থনীতির নিজস্ব রিসেশন থাকার কথা নয়, তারা ক্যাপিটেলিষ্ট দেশগুলোর শ্লো-ডাউনের কারণে কিছুটা ভোগে; তাদের হাতে ইহার কোন রিমেডি নেই; তাদের একমাত্র ভালো পদক্ষেপ হতে পারে নিজেদের খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দেশীয় উৎপাদন বাড়িয়ে অপেক্ষা করা কখন ক্যাপিটেলিষ্ট দেশগুলো আবার সক্রিয় হবে।
স্বাভাবিক নিয়মে বাংলাদেশের নির্বাচন হবে ২০২৩ সালের শেষের দিকে; সরকারের বিপুল অসফলতার কারণে দেশে সরকার-বিরোধীদের পরিমাণ অনেক বেড়েছে; জামাত-বিএনপি এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইবে; ফলে, দেশ অস্হিরতার মাঝে প্রবেশ করার সম্ভাবনা আছ। আওয়ামী লীগ ইহাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবে বলে মনে হয় না, তাদের ভেতর রাজনীতি "রা" আছে বলে মনে হচ্ছে না; তারা ইহাকে শক্তি দিয়ে, কিংবা কোন কৌশল প্রয়োগ করে থামানোর চেষ্টা করবে; ইহা কাজ করার সম্ভাবনা ৮০ ভাগ; কিন্তু পুলিশ, প্রশাসন ও মিলিটারী উল্টে গেলে, আওয়ামী লীগ হেরে যাবে; যদিও ইহার সম্ভাবনা মাত্র ৫/১০ ভাগ; কারণ, প্রশাসন জানে যে, রিসেশানের ভেতর এই ধরণের কিছু ঘটলে দেশ ভয়ংকর এনার্খির মাঝে প্রবেশ করবে; তারা ইহা চাইবে না।
জামাত-বিএনপি'কে ইউরোপ, আমেরিকা ও ভারত রাজনৈতিক দল হিসেবে পছন্দ করে না; ফলে,জামাত-বিএনপি যদি অস্হিরতা করতে চায়, তারা ওদের সমর্থন পাবে না; ওদের সমর্থন না'পেলে প্রশাসন জামাত-বিএনপিকে সাপোর্ট করবে না। আমি যা বলছি, এগুলো সম্ভাব্য কিছু ধারণা মাত্র, আপনারা নিজেদের ধারণার সাথে মিলিয়ে দেখতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৪৬