প্রিন্সেস ডায়ানার ২ ছেলে, উইলিয়াম ও হ্যারির মাঝে সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ট ছিলো; কিন্তু যখন হ্যারি 'অসাদা' আমেরিকান মেয়ে মেইগ্যানকে বিয়ে করলো, ২ ভাইয়ের মাঝে ইহা নিয়ে বেশ টান ফোড়নের সৃষ্টি হয়েছিলো। হ্যারির বাবা ও দাদীও এই বিয়ে পছন্দ করেনি; রাণী এলিজাবেথ রেসিষ্ট ছিলেন না; কিন্তু রাজ পরিবারের কেহ অসাদা বিয়ে করুক, সেটা চাইতেন না। রাণী এলিজাবেথ হ্যারিকে খুবই পছন্দ করতেন, তারপরও হ্যারির বিয়েটা তিনি খুব একটা মানতে পারেননি। হ্যারির সৎমা, কামিলা পার্কার আসলে বড় ধরণের রেসিষ্ট, সেই মহিলা এই বিয়েকে কেন্দ্র করে পরিবারে কলকাঠি নাড়ছে।
হ্যারি সবচেয়ে বড় আঘাত পেয়েছিলো বড় ভাইয়ের থেকে; উইলিয়াম মেইগ্যানের অনেক বদনাম করেছে, হ্যারি ইহা আশা করেনি; সে রাগে ক্ষোভে ২০২০সালের জানুয়ারী মাসে রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে আমেরিকার কালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছে। বইতে আছে, উইলিয়াম হ্যারিকে ধাক্কাা মেরে ফেলে দিয়েছিলো; যদিও উইলিয়াম পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিলো।
হ্যারি তার দু:খের কাহিনী নিয়ে একটা বই লিখেছে, উহা গতকাল লন্ডনের বাজারে এসেছে; বইয়ের নাম "Spare"; হ্যারির রাজা হওয়ার সম্ভাবনা নেই, সেটাই বুঝানো হয়েছে। গতকাল ৪ লাখ কপি বিক্রয় হয়েছে।
বৃটিশ রাজ পরিবারের নিয়ম অনুযায়ী, হ্যারির রাজা হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই; যদিও লাইনে সে ৫ম স্হানে আছে, বাস্তবে উহা সম্ভব হবে না। রাজা চার্লসের পরে বড় ছেলে উইলিয়াম রাজা হবে; কোন কারণে উইলিয়ামের কিছু হলে, লাইনে আছে তার ৩ সন্তান; তারপর হচ্ছে হ্যারির সম্ভাবনা।
হ্যারি অবশ্য সেটা নিয়ে মন খারাপ করেনি, হ্যারির মন খারাপ হয়েছে মায়ের মৃত্যুর পর, বড় ভাই'এর সাথে সে মামুষ হয়েছে, এবং তারা উভয়ে কামিলা পার্কারকে অপছন্দ করতো; এখন বড়ভাই, উইলিয়াম সেই মহিলার কথায় চলছে, ইহাই হ্যারিকে বেশী দু:খিত করেছে।
**** আমি হয়তো বইটা পড়বো না; আপনারা বই পড়লে নিজেদের মতামাত জানাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৪