প্রফেসর এমাজউদ্দিন সাহেবের (১৯৩৩ - ২০২০ ) কথা অনেকটাই ভুলেই গিয়েছিলাম; আজকে উনার এক ছাত্রের ১ কমেন্ট থেকে উনার কথা মনে পড়লো। উনাকে আমার খুবই বেকুব মানুষ মনে হতো সব সময়; উনি বেগম জিয়ার উপদেষ্ঠা ছিলেন; ২০১২ সাল থেকে আমি বুঝতে পারছিলাম যে, বেগম জিয়ার জেল হবে, শেখ হাসিনা সময়ের জন্য অপেক্ষা করছেন; কিন্তু বেগম জিয়ার "থিংক ট্যাংক", প্রফেসর এমাজউদ্দিন সাহবে উহা দেখতে পাননি, এবং বেগম জিয়াকে ইহা থেকে রক্ষা করতে পারেননি।
ঢাকা ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের দক্ষতা ও সততা নিয়ে বরাবরই আমার সন্দেহ ছিলো; দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, দেশের ব্যুরোক্রেসী ও প্রশাসনের বেশীরভাগ বড় পদেই ঢাকা ইউনিভার্সিটির গ্রেজুয়েটরাই বেশী ছিলো; ওরা নতুন দেশের যেই পরিমাণ ক্ষতি করছিলো, উহা ছিলো ভয়ংকর কান্ড।
এমাজুদ্দিন সাহেবের বেকুবী ও অপরিপক্কতা আমার চোখে প্রথমবার পড়ে একটা ছবি দেখে, ছবিটা ছিলো বেগম জিয়ার জন্মদিনের কেইক কাটার ও কেইক খাওয়ার; ১৫ই আগষ্টে বেগম জিয়ার জন্মদিনে কেইক কাটা হয়েছিলো, ড: এমাজ উদ্দিন সাহেবের হাতে কেইক। আমি ভাবছিলাম, মেয়র খোকা, মির্জা আব্বাসের মাথায় মগজ না থাকারই কথা; কিন্তু প্রফেসর সাহবের এই অবস্হা কেন? তিনি কি বুঝতে পারছেন না, কেইক খাওয়ার ছবি শেখের মেয়েও দেখছেন!
বেগম জিয়ার থিংক ট্যাংক বুঝতে পারেননি শেখের মেয়ে কোনদিকে যাচ্ছেন! আমি তখন অন্য আরেক ব্লগে ছিলাম; সেখানে ঢাকা ইউনিভার্সিটির অনেক ছাত্র ছিলো; আমি এমাজউদ্দিন সাহেবের বিপক্ষে লেখার পর, এরা দল বেঁধে আমাকে গালাগালি করার শুরু করলেন। আমি অবশ্য "থিংক ট্যাংকের" যায়গায় "সেইফটি ট্যাংক" কথাটা ব্যবহার করেছিলাম পোষ্টে।
যাক, এখন উনি নেই, বেগম জিয়া আছেন; বেগম জিয়া উনার নিজের কর্মকান্ড, উহার সলাফল, বা ভবিষ্যত বুঝার মতো বুদ্ধিমতী ছিলেন না; কিন্তু একজন ডক্টরেট ও প্রফেসর এডভাইজারও বেগম জিয়ার ভবিষ্যতটি দেখতে পাননি।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:১৯