আমেরিকান সরকারের বর্তমান ডেবট ( অনেকটা ঋণের মতো ) ৩১.৭ ট্রিলিয়ন; জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৩১.৭ ট্রিলিয়নকে সংখ্যায় লিখতে গড়ে ২/৩ মিনিট লাগতে পারে; একজন ব্লগার আছেন, তিনি অনলাইনে না'দেখলে ১ ঘন্টায়ও লিখতে পারবেন না। এতো ডেব্ট' থাকার পরেও, বাইডেন চায় আরো ডেব্ট; বাইডেনকে আরো ডেব্ট বাড়ানোর ক্ষমতা দিতে হলে সরকারের 'ডেব্ট সিলিং' বাড়াতে হবে! কিন্তু কংগ্রেস উহা বাড়াতে দিচ্ছে না; কারণ, কংগ্রেসে মেজোরিটি হচ্ছে রিপাবলিকানরা।
'ডেব্ট সিলিং' বাড়াতে দিলে বাইডেন কি করবে? উহা ফেডারেল বন্ড বিক্রয় করবে আমেরিকান নাগরিক ও ফাইন্যান্সিয়াল সংস্হাগুলোর কাছে; তখন ডলার আসবে পকেটে, তখন উহা খরচ করতে পারবে, হ্যামবার্গার কিনবে, সোডা খাবে, বিয়ার খাবে। যদি 'ডেব্ট সিলিং' বাড়াতে না দেয়, বাজেট কার্যকরী করতে পারবে না, মেডিক্যাল ইন্ষুরেন্সে টাকা দিতে পারবে না, ওয়েলফেয়ারের টাকা দিতে পারবে না, অনেকের বেতন দিতে পারবে না; সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, আগের নেয়া ঋনে "ঋণ খেলাপি" হয়ে যাবে।
ট্রেজারী সেক্রেটারী, সু ইয়েলেন বলছে, 'ডেব্ট সিলিং' না বাড়ালে দেশের অবস্হা ভয়ংকর হবে, রিসেশন এমন পর্যায়ে যাবে যে, আমেরিকানরা আফ্রিকায় যাবে ভিক্ষা করতে, কয়েক মিলিয়নের চাকুরী যাবে। আমেরিকান ব্যাংগুলো একটার পর একটা কলাপস করছে, সরকার টাকা নিবে কার থেকে? ব্রুকলীনের হেসিডিক ইহুদীদের থেকে টাকা নিতে হবে; ওরা কিন্তু মার্চেন্ট অব ভেনিসের ইহুদীর বংশধর।
আগামীকাল কংগ্রেসের স্পীকারের সাথে বাইডেনের মিটিং হওয়ার কথা ছিলো; কিছুক্ষণ আগে উহা নাকি বাতিল করা হয়েছে; ২পক্ষ সময় নিচ্ছে, কে কাকে কিভাবে আটকাবে!
এখন ভাবেন,শেখ হাসিনা যে, আজকে বিশ্ব ব্যাংক থেকে, কালকে আইএমএফ থেকে, পরেরদিন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে, তারপরের দিন ভারত থেকে লোন নেন, উনি কার থেকে অনুমতি নেন? তিনি কি প্রেসিডেন্ট থেকে অনুমতি নেন, নাকি মির্জাফখরুল ইসলাম থেকে অনুমতি নেন? নাকি তিনি সংসদ সদস্যা গায়িকা মমতাজ, কিংবা অভিনেত্রী কবরী থেকে অনুমতি নেন? তিনি কার অনুমতিতে ঋণ নেন, সেটা জানেন ব্লগার, হাসান কালবৈশাখী।
যেই পরিবারের বাবা ঋণ নিয়ে মেয়ে বিয়ে দেয়, মা ভারতীয় শাড়ী কিনে, ছেলেরা ভ্যালান্টাইন ডে পালন করে, মেয়েরা হেয়ার ড্রেসারের দোকানে গিয়ে সাজে, তাদের অবস্হা শেষমেষ কি হয় আপনারা জানেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০২৩ ভোর ৪:১৯