নিউইয়র্ক সময় ভোর ৬টা অবধি (০৫/১৫/২০২২ ) তুরস্কের ভোটের রেজাল্ট: প্রবাসী ভোটগণনা সম্পন্ন হয়নি; দেশের ভোট অনুযায়ী অবস্হান: (১) এরদেগান পেয়েছে ৪৯.৪২% (২) বিপক্ষের নেতা, কামাল পেয়েছে ৪৪.৯৫% (৩) এরদেগানের সমর্থক, ওগান পেয়েছে ৫.২০% (৪) হোমল্যান্ড দলের ইনচে পেয়েছে ০.৪৩%।
এরদেগানের মুল বিপক্ষ দলের নেতা, কামাল হচ্ছে "আতাতুর্ক কামাল পাশা'র" দলের মানুষ, সে ডেমোক্রেট দলের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির মানুষ। এরদেগান ধর্মনিরপেক্ষ তুরস্ককে ধর্মীয় পথে নিয়ে এসেছে ২০০৩ সাল থেকে। আতাতুর্ক কামাল পাশা অটোম্যানদের ( ১ম বিশ্বে পরাজিত ) সাম্রাজ্য থেকে আধুনিক তুরস্ক গঠন করার সময় মোল্লাদেরকে ক্ষমতা থেকে দুরে রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন। ১৯২৩ সালে কামাল পাশা মোল্লাদের পরাজিত করার ৮০ বছর পর, ২০০৩ সালে মোল্লারা তুরস্কের ক্ষমতা দখল করতে সমর্থ হয়।
এরদেগান যদি ৫০% ভোট না'পেয়ে থাকে, এরদেগান ও কামালের মাঝে রান-অফ ভোট হবে ২ সপ্তাহ পরে। প্রবাসী ভোট গণনার পর এরদেগানের জয়ের সম্ভাবনা আছে; এরপরও ইউরোপ ও আমেরিকা আশা করছে যে, একটা রান-অফ হলে ভালো হয়; রান-অফ হলে, এরদেগানের পরাজয়ের ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে। গতকালের ভোটে, এরদেগানের সমর্থক, অন্য ১জন প্রার্থী, ওগান পেয়েছে ৫.২০% ভোট; রান-অফ হলে, ওগান নিজের ভোটারদের নিয়ে এরদেগানকে সমর্থন করবে; ফলে, এরদেগানের জয়ের সম্ভাবনাই বেশী।
পশ্চিমা বিশ্ব কেন এরদেগানের পরাজয় চায়? পশ্চিমের মতে, এরদেগান তুরস্কে মটামুটি স্বৈরতন্ত্র চালাচ্ছে, সে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশকে পুরোপুরি ধর্মীয় দেশে পরিণত করেছে। পশ্চিম মনে করে, তুরস্ক ইউরোপিয়ান দেশ, সেই দেশের মানুষ ইউরোপমুখী থাকবে, তুরস্ক যেন মোল্লাতন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে পারে। আমি নিজেও মনে করি, মোল্লাদের নেতা এরদেগান পরাজিত হলে, তুরস্কের মানুষ ভালো থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:৫৩