এই বছরটা ভারতের জন্য বিশেষ বছর, সুসময়; কোভিড ও ইহার পরপরই ইউক্রেন-যুদ্ধ পশ্চিমকে প্রচন্ড চাপের মাঝে রেখেছে; অন্যদিকে ভারত এই যু্দ্ধ থেকে লাভবান হচ্ছে: সস্তায় তেলের রিজার্ভ গড়ছে, সস্তায় সার আমদানী করছে; রাশিয়ায় ভারতের এক্সপোর্ট কমেনি ( চা, কফি, ঐষধ, যন্ত্রপাতি যাচ্ছে )। ভারত রিফাইনড পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্ট করে; ভারতের টিকার বাজার আরো বেড়েছে, চা ও কফির দাম ২ গুণ হয়ে গেছে।
G20 সামিট'এর সফলতা নিয়ে ভালোই সমস্যা হয়েছে: শি জিনপিং ও পুটিনের অনুপস্হিতির কারণে মুল ৩টি বিষয় নিয়ে আলোচনা অসম্পুর্ণ রয়ে গেছে; কিছুটা অশুভ ভবিষ্যতের সিগন্যালও আছে। ইউক্রেন যুদ্ধ, তাইওয়ানের ভবিষ্যত ও ভারতের পুর্বান্চল নিয়ে চীনের অবস্হান, এবারের G20'এর এজেন্ডার মাঝে ছিলো; শি জিনপিং ও পুটিনের অনুপস্হিতি এই সমস্যাগুলোকে অনিশ্চয়তার মাঝে ঠেলে দিয়েছে।
আগের থেকে G20 সামিট'এর ভেন্যু হিসেবে দিল্লীকে নেয়া হলেও, পরিবর্তিত অবস্হার কারণে ইহা এমন কোন দেশে করার দরকার ছিলো, যেখানে পুটিন ও শি জিনপিং উপস্হিত থাকতে আগ্রহী হতো। পুটিন নিজের সিকিউরিটি নিয়ে এখন বেশ চিন্তিত; শি জিনপিং ও আমেরিকা এখনো সঠিক কোন ধরণের সহ-অবস্হানের ফর্মুলা বের করতে পেরেছে বলে মনে হয় না; এর বাহিরে, শি জিনপিং এখনো ভারতে এসে তাদের আথিয়েতা নেয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তত নয়, উহার মনে খারাপ অভিসন্ধি আছে, পুর্ব ভারতের কিছু রাজ্য নিয়ে বড় ধরণের ঝামেলা করতে পারে।
যখন ভারত G20'এর সফলতা ও অসফলতার বিশ্লেষণ করছে, তখন আমাদের জাতি G20'তে তোলা আমাদের পিএম'এর কয়েকটি ছবি নিয়ে নাচানাছি করেছে। গেষ্ট হিসেবে আমাদের পিএম ওখানে উপস্হিত ছিলেন; ফলে, ছবি উঠবেই। মনে হচ্ছে, আমাদের আগত নির্বাচনকে ঘিরে কিছু চলমান গুজবের ডালপালা বিনা লজিকে গজাচ্ছিল; এই ছবিগুলোর মাঝে জাতি আবারো সেই গুজবকে খুুঁজতেছে; এগুলো বেকুবির লক্ষন ছাড়া অন্য কিছু নয়। যারা এই সামান্য বিষয় নিয়ে এত কান্ড করে বেড়াচ্ছে, এরা কোন ধরণের কাজের মানুষ নন, জাতির জন্য বোঝা। একজন গেষ্ট ও নারী পিএম এই ধরণের সামিটে যথাযতঃ সম্মান পাবার কথা; এই সামিটে কয়েক মিলিয়ন ছবি তোলা হয়েছে; এই ছবিগুলো কোন জাতির পথচলার জন্য নিয়ামক হওয়ার কথা নয়; যদি, নিয়ামক হয়েই থাকে, ইহা জাতি নয়, ইহা আসলেই লিলিপুট!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৮