বিএনপি ও জাপা হচ্ছে চোর-ডাকাতদের দল; জামাত হচ্ছে জল্লাদ ও ধ্বংসের দল; বাকী ছিলো আওয়ামী লীগ; ইহার উপর মানুষের আস্হা খুবই কমে গেছে; এবং আওয়ামী লীগের সময় ভিসানীতি এসেছে, দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতকে কোনভাবেই ভালো ভাবা ঠিক হবে না; জাতির প্রোফাইলের ক্ষতি হচ্ছে।
জিয়া ক্যু করে গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছিলো ও মিলিটারী জিয়ার ১ম ভোটের ( ১৯৭৭ সালের হ্যাঁ/না ভোটে) ফলাফল বদলায়ে ভোটকে গার্বেজে পরিণত করেছিলো; এর পরের ভোটগুলোতে মিলিটারী ও ব্যুরোক্রেটরা মিলে ভেজাল ফলাফল করেছিলো। আশাকরা হয়েছিলো, জাতির স্বার্থে শেখ হাসিনা এই সমস্যার সমাধন করবেন; সেটা করা হয়নি।
আমেরিকার ভিসানীতি এই সরকারের আমলে আসায়, বিএনপি উহা থেকে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছে ও সাধু সাজার চেষ্টা করছে। কিন্তু জিয়া, এরশাদ ও বেগম জিয়ার সময় ভোটে চরম দুর্নীতি করা হয়েছে। জিয়া আসার পেছনে সিআইএ যুক্ত থাকায়, আমেরিকা সেসব নিয়ে কথা বলেনি। সময়ের সাথে বিশ্ব বদলেছে, আমেরিকা বদলেছে; বাংলাদেশকে বদলানোর দরকার।
ভিসানীতির ঘোষণা করার ফলে মাইক্রোস্কোপের নীচে কে? ইহা শেখ হাসিনা। কেহ ওবায়দুল কাদের, আবদুল মোমেনকে চিনে না, কেহ ব্যুরোক্রেটদের চিনে না। ভিসানীতি কি করবে, সেটা এখনো পরিস্কার নয়; তবে, ইহার পেছনে একটা কারণ আছে; ইহাকে শোধরানোর দরকার।
ইহাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে হ্যান্ডলিং করার দায়িত্ব শেখ হাসিনার; ওবায়দুল কাদের, আবদুল মোমেনেরা ইহা নিয়ে যত কথা বলবে, জাতি ততই বিভ্রান্ত হবে; আসলে, আওয়ামী লীগ নিজেই বিভ্রান্ত। ইহার ফলে ব্যুরোক্রেটরা একটু হলেও নিজেদের ভবিষ্যতকে মিলায়ে দেখবে, এদের অনেকেরই পরিবারের লোকজন আমেরিকায় আছে; এরা সব সময় নিজের সুবিধার কথা ভাবছে।
শেখ হাসিনা নিশ্চয় ব্যবস্হা নিচ্ছেন; উনি কি করছেন, মানুষকে জানালে ভালো হতো, মানুষ সরকারের অবস্হান বুঝলে বিভ্রান্ত হবে না; মানুষ বিভ্রান্ত হলে, উনার উপর আগের মতো আস্হা থাকবে না। উনাকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে বিএনপি-জামাত জয়ী হতে না'পারে, একই সাথে সৎ ও বুদ্ধিমান লোকজন পার্লামেন্টে আসতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৪৭