ব্লগার কামাল১৮ ও রাজিব নুর সামুর সবচেয়ে বড় পাঠক ও মন্তব্যকারী; রাজিব এখন কমেন্টব্যানে আছেন; এই সময় কামাল১৮ ব্যানে গেলে, সামুতে কমেন্টের পরিমাণ দ্রুত কমে যাবে। রাজিব জেনারেল হলে, কিংবা কমেন্টব্যানে গেলে, আমার নিজের মাঝে একধরণের অপরাধ বোধ জাগে; উনি সব সময় জেনারেল হয়ে থাকেন, কিংবা কমেন্টব্যানে পড়েন আমার পক্ষে প্রতিবাদ করতে গিয়ে; এবারও তাই ঘটেছে। আমি উনার পক্ষে প্রতিবাদ করি না; কারণ, আমার এই নিকটাও শেষে পরলোক গমণ করতে পারে; আমি উনার তুলানায় ভীতু মানুষ!
কামাল১৮ বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন; উনার কমেন্ট থেকে বুঝা যায় যে উনি দীর্ঘ সময় গ্রামের কৃষক/কৃষি-শ্রমিকদের 'সংগঠিত' করেছেন; কি আদর্শ ও কি রোডম্যাপ নিয়ে কাজ করেছেন, কি উদ্দেশ্য ছিলো, উহা কতটুকু কাজ করেছে, সেটা জানার জন্য এই পোষ্ট।
উনি পোষ্ট লিখেন না, উনার কমেন্ট থেকে পুরোপুরি চিত্র পাওয়া যায় না; উনার থেকে উনার উদ্দেশ্য, আদর্শ জানার খুবই ইচ্ছা আমার। আমি নিজেই সোস্যালিজমে বিশ্বাসী; আমি এখনো বিশ্বাস করি যে আমাদের মতো সীমিত সম্পদের দেশে সীমিত সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স প্রয়োগ করলে, জাতি খুবই স্বল্প সময়ে নিজপায়ে দাঁড়াতে পারবে। আমরা এখন গলাকাটা ক্যাপিটেলিজমের এক ধরণের এনার্খীর মাঝে আছি, খুবই সামান্য পরিমাণ মানুষ পুরো জাতির সাধারণ মানুষের সুযোগ ও সুবিধাকে কেড়ে নিয়ে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশী সম্পদকে 'অলস সম্পদে' পরিণত করে ভোগ করছে। সীমিত সোস্যালিজম সবার জন্য সুযোগের সৃষ্টি করবে, মানুষ রাষ্ট্রের সুশাসনকে অনুভব করতে পারবে, সবাই উপকৃত হবেন।
বামপন্হীরা আমাদের জাতিকে সোস্যালিজম সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে ব্যর্থ হয়েছে; রাশেদ খান মেনন, জাসদের নেতাদের জীবনধারা দেখে মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছেন; সিরাজ শিকদার, নক্সাল ও সর্বহারাদের হত্যাকান্ড দেখে মানুষ ভীত হয়েছে; কিন্তু আসল সোস্যালিজম সম্পর্কে মানুষ জানতে পারেননি।
সমবায় সমিতি, সমবায় ফার্মিং'এর উপকারিতা বুঝাটা খুবই সঝজ ব্যাপার; বামপন্হীরা এই সহজ কাজগুলোও চালু করতে পারেনি। ফলে, বাংলাদেশে সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি ও ফাইন্যান্সের কোন উদাহরণ সৃষ্টি হয়নি; মানুষ উহাকে অনুভব করতে পারেনি। আমাদের বামপন্হীদের মাঝে লেনিনের মত বুদ্ধিমান নেতাও ছিলো না যে, যার কথায় মানুষ আস্হা রাখতে পারবে।
যাক, কামাল সাহবের কাছে আমার প্রশ্ন হলো, খেত-মুজুরদের সংগঠিত করেছিলেন কি উদ্দেশ্য, উহা কতটুকু কাজ করেছিলো?