**** হিজবুল্লাহ ১ বছর রকেট ছেড়েছে উত্তর ইসরায়েলের উপর, নিহত হয়েছে ১ জন ইহুদী, আহত ৭ জন, বাড়ী-ছাড়া হয়েছে ৬০ হাজার। এই ৬০ হাজারের মাঝে ৩০/৩৫ হাজার আমেরিকা চলে গেছে, বাকীরা আছে হোটেলে; এদের বাচ্ছারা পড়ালেখা করছে। ইসরায়েলের ৫ দিনের বোম্বিং'এ ১৫ লাখ লেবাননী ঘর-ছাড়া হয়েছে, নিহত হয়েছে ৭০০, আহত ২ হাজার, ঘর-ছাড়ারা রাস্তায় বাস করছে। ****
এখন যেকোন মহুর্তে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী লেবাননে প্রবেশ করবে; তারা অনেকটা বিনা বাধায় পুরো দক্ষিণ অন্চল দখল করে নেবে; হিজবুল্লাহ তাদের সামনে হামাসের মতো দাঁড়াতে পারবে না; কারণ, তাদের কাছে কোন ধরণের ভারী অস্ত্র নেই। বৈরুতের দক্ষিণ একালাকে গাজার মত করে দেবে। সৌদী, মিশর ও জর্ডান চাইবে ইসরায়েলীরা হুজবুল্লাহকে যেন লেবানন থেকে বিতাড়িত করে।
লেবাননের নিজস্ব সেনাবাহিনী কোনভাবে বাধা দিতে সাহস করবে না; পারলে চুপিসারে ইসরায়েলী বাহিনীকে সাহায্য করবে।
হিজবুল্লার জংগীদের কারণে লেবাননের মানুষের প্রাণ যাবে, দেশ বলতে তেমন কিছু থাকবে না।
ফিলিস্তিনের জন্য মানুষ যেভাবে সহানুভুতি দেখায়েছে, হিজবুল্লার জন্য কেহ রাস্তাুয় বের হবে না।
লেবাননের দক্ষিণ এলাকা দখলের পর, এরা তারা দীর্ঘ সময় এলাকাটি ছাড়ার সম্ভাবনা নেই; কারণ, ইসরায়েলের উত্তর এলাকার ৭০/৮০ হাজার মানুষ গত বছরের অক্টোবর থেকে হিজবুল্লার রকেটের ভয়ে এলাকা ত্যাগ করেছে; এদের একাংশ আমেরিকায় চলে গেছে; যারা দেশে আছে, ইসরায়েল তাদেরকে ফেরত আনবে।
ইসরায়েলী বাহিনী যখন হামাসকে আক্রমণ করেছিলো; তখন হিজবুল্লাহ যদি লেবানন ও সিরিয়া সীমান্ত থেকে ইসরায়েল আক্রমণ করতো, ইসরায়েল ভয়ংকর খারাপ অবস্হায় পড়ে, যুদ্ধবিরতিতে যেতো; কিন্তু এখন হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করার পর, তারা হিজবুল্লাহকে ধরছে।
এদিকে হিজবুল্লাহ নিজেদের প্রধান ও কয়েকজন মুল নেতাকে হারিয়ে পুরোপুরিভাবে বিশৃংখলার মাঝে আছে। হিজবুল্লাহ কোন রকম প্রতিরোধ গড়ে তোলার সম্ভাবনা নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:০১