একটা মামলার কাজে কাল আদালতে গিয়ে দেখলাম, সব আইনজীবি এবং বিচারকরা সাদা শার্ট পরে বিচারকাজ পরিচালনা করছেন।
এতে আদালতের সন্মানহানি বা বিচারকাজে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি।
কালো কোট,টাই গাউন, -এসব পরার নিয়ম চালু করেছিলো বৃটিশরা, যাদের দেশ শীতপ্রধান।
কিন্ত বাংলাদেশে আইনজীবি এবং বিচারকদের জন্য আরামমদায়ক পোষাক পরার নিয়মের জন্যই আমি দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি করছি। আমার আগেও অনেকে লিখেছেন। দাস মানসিকতা থেকে মুক্তি আসবে কবে ?
আশা করি নিয়মটা স্থায়ীভাবে চালু থাকবে এবং বিচারবিভাগসহ রাজনীতি, প্রশাসন,শিক্ষাব্যবস্থা এবং জনগণের মনমানসিকতার ক্ষেত্রেও পরাধীনতার পরিবর্তে স্বাধীন মানসিকতা কাজ করবে।তবে সাদা শার্টোর সাথে টাই পরার নিয়মটাও বাতিল করা উচিত। কারণ শার্ট পরা যতোটা প্রয়োজন, টাই পরা ততোটাই অপ্রয়োজনীয়।
দেশের প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীকেই মাষ্টার্স ডিগ্রী নিতে হবে, তাদের একটা ভালো সরকারী চাকরী নিয়ে ঘুষ-দুর্নীতি করতে হবে, নিজেদের জনণের সেবক না ভেবে নিজেকে তাদের প্রভূ ভাবতে হবে,সরকারী গাড়ি-বাড়ি-সম্পত্তির অপচয় ও অপব্যহার করতে হবে,পরিশ্রমের বা নিজের কাজ নিজে করা যাবে না, চুরি-দুর্নীতি করা গর্বের কিন্ত সৎ পথে জীবিকা নির্বাহ করা লজ্জার মনে করতে হবে আর সৎ-নীতিবান ব্যাক্তিদের পরিবর্তে নিকৃষ্ট লোকদের নেতা ও সন্মানিত করতে হবে- এরকম মানসিকতা এবং চিন্তা-ভাবনা হাজার বছরের গোলামীর উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত।
এসব থেকে মুক্ত হওয়ার উপরই দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নির্ভর করছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:২৩