
আজকে সকল স্বৈরাচারের শিরোমনি শেখ হাসিনার রায় দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোথাও আওয়ামী লীগের তান্ডবের নমুনা দেখলাম না। শেখ হাসিনা গতকালও প্রফেসর ইউনুস এবং যত দোষ তারেক ঘোষ কে নিয়ে ভয়ানক সব কথা বলেছেন। তারেক রহমান নাকি লন্ডন থেকে শেখ হাসিনার পতনে ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু একবারও উনার মুখে জিন্দাওলী খ্যাত শফিকুর রহমানের নাম উচ্চারিত হলো না। বড়োই তাজজবের বিষয় । যাই হোক সবাই যখন শেখ হাসিনার রায় নিয়ে ব্যস্ত তখন একদল বিপ্লবী রেড জুলাই ব্যানারে বুলডোজার নিয়ে পুনরায় ধানমন্ডি ৩২ ভাঙতে গিয়েছে।
ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে ঢাবির সর্বকালের সেরা সুন্দরী মোনামী ম্যাডাম স্টাটাস দিয়েছিলেন " ফ্যাসিবাদের দুই প্রতীক শেখ হাসিনা এবং ধানমন্ডি ৩২ কে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে "। মোনামী ম্যাডামের স্টাটাস কতিপয় বান্দার কাছে ঐশীবানীর মতো মনে হয়েছে। শেখ হাসিনা কে এই মুহুর্তে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া সম্ভব না। কিন্তু ধানমন্ডি ৩২ এর যে অবশিষ্ট অংশ বাকি আছে সেটা ভেঙে ফেলা সম্ভব। মাটির সাথে ধানমন্ডি ৩২ কে মিশিয়ে দেয়া সম্ভব। তাই তরুণ তুর্কিরা গিয়েছিলো সেখানে কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ভবের পিডান পিডাইসে। এদের স্বভাব এখনো বদলালো না। পুলিশের আচরণ ছিলো খুবই ভয়ংকর! শিবিরের ভাইদের মারতে মারতে এলাকা ছাড়া করেছে। শিবির এবার সফল হলো না কেন?
আজকের বুলডোজার যাত্রায় বিএনপির অংশগ্রহণ ছিলো না। শিবির এর বিভিন্ন ব্যানার থেকে বিপ্লবীদের পাঠানো হয়েছিল বাকি কাজ সমাপ্ত করতে। কিন্তু তারা শোচনীয় ভাবে ব্যর্থ হলো। কয়েকজনকে এমন ভাবে মেরেছে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যে আইসিইউ তে ভর্তি হয়েছে। আজকে ধানমন্ডি ৩২ কে এত প্রটেকশন দেয়ার কি দরকার ছিলো? এটা তো কোনো দরগা শরীফ না যে পাহারা দিয়ে হবে। মাটির সাথে ইহাকে গুড়িয়ে দেয়া উচিত ছিলো। যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কেউ এই দরগা শরীফের ইট কালেকশন করতে যেতে না পারে। ধানমণ্ডি ৩২ কে কোনভাবেই আওয়ামী লীগের তীর্থস্থান হতে দেয়া যাবে না। এটা নিয়ে বারবার পলিটিক্স করতে দেয়া যায় না । তাহলে এখন কি করা উচিত ?
সরকারি ভাবে ধানমন্ডি ৩২ কে মাটির সাথে মিশিয়ে সেটাকে ফুটবল খেলার মাঠ করা যাইতে পারে। তাছাড়া সেখানে একটা ফাঁসির মঞ্চ তৈয়ার করা যাইতে পারে। দূর্নীতিবাজ, ধর্ষক এবং খুনীদের সেখানে মব লাঞ্চিং করলে খারাপ হয় না। এতে সমাজে অন্যায়ের পরিমাণ কমে যাবে এবং ভবিষ্যতে যদি আবার কোনো বিপ্লব হয়(মামুনুল হুজুরের মতে ইসলামি বিপ্লবের সম্ভাবনা আছে) তবে যাদের বিরুদ্ধে বিপ্লব করা হয়েছে তাদের ঝুলিয়ে দেয়া যাবে। সময় এবং টাকা নষ্ট হওয়া থেকে বেঁচে যাবে এবং তাৎক্ষনিক স্যাটিসফেকশন মিলবে।
পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর আজকে পিটুনির ঘটনাকে হালকা ভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। নুরুল হক নুর এর উপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জের বিচার না হওয়ায় আজকে আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো। অনেকে আবার এমনও বলছে আজকে আইনশৃংখলা বাহিনী এবং সরকার মিলে নাটক সাজিয়েছে যে সরকার সবার জান-মাল রক্ষায় বদ্ধপরিকর। মবকে সরকার প্রশ্রয় দিচ্ছে না। তাই বলে জুলাই যোদ্ধাদের আইসিইউতে পাঠাতে হবে? আসিফ নজরুলের কাছে এর জবাব চাই !
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


