একুশে পদককে বাংলাদেশে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়া বিশেষ সম্মাননা হিসেবে গন্য করা হয়। আজীবন কৃতিত্ব ও অবদানের জন্য এই সম্মাননা দেয়া হয়ে থাকে।এ বছর যারা একুশে পদকের জন্য মনোনিত হয়েছেন তারা হলেন -
ভাষা আন্দোলনে মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)। শিল্পকলার সংগীতে জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব। এ ছাড়া নৃত্যকলায় শিবলী মহম্মদ, অভিনয়ে ডলি জহুর ও এম এ আলমগীর, আবৃত্তিতে খান মো. মুস্তফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তফা) ও রূপা চক্রবর্তী, চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ, ভাষা ও সাহিত্যে মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর ও রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর) এবং শিক্ষায় অধ্যাপক জিনবোধি ভিক্ষু ।
গীতিকবি ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় শুভ্র দেবের উচিত এই একুশে পদক প্রসঙ্গে কথা বলা। নিজে পদক না গ্রহণ করে সত্যিকার মেধাবীকে পদক দিতে বলার এই সংস্কৃতি এখনই শুরু হোক।’ । তার কথায় শুভ্র দেব রেগে গেলেও , প্রিন্স মাহমুস আসলে যৌক্তিক কথাই বলেছেন। একুশে পদক পাওয়া লিস্টের বেশিরভাগকেই চিনি না । জানি না কি তাদের আজীবন কৃীতিত্ব বা অবদান। যাদেরকে চিনি তাদের মাঝে আমারো মনে হয় শুভ্র দেব কোনভাবেই সঙ্গীতে এই পদক পাওয়ার যোগ্য নন। আশির দশকে অল্প কিছু গান গেয়ে শুভ দেব সারা জাগিয়েছিলেন। তবে তার সঙ্গীত ক্যরিয়ার খুবই স্বল্প দিনের। নব্বই দশকেই তিনি এক প্রকার হারিয়েই যান। এন্ড্র কিশোর হচ্ছেন আমাদের সঙ্গীত জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র। বাংলা সিনেমায় কালজয়ী সব গান গেয়ে তিনি সেকালের বাংলা সিনেমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন অন্য উচ্চতায়। তার মত সঙ্গীত প্রতিভার পাশে কিভাবে স্বল্প কিছু গান গাওয়া শুভ্র দেবের জায়গা হয় ?
অভিনয়ে ডলি জহুরের অবস্য দীর্ঘ বর্নিল ক্যরিয়ার। তারপরেও আমার মনে হয় বর্ষিয়ান দিলারা জামানকে এই সম্মামনা জানালে যথাযথ হত। নায়ক আলমগীরের একুশে পদক পাওয়াটা শুভ দেবের মতই পুরোপুরি অগ্রহনযোগ্য । আলমগীরের সেরকম কোন অবদানই নেই বাংলা সিনেমায়। ভরা সংসার ত্যাগ করে রুনা লায়লাকে বিয়ে করেই বরং তিনি বেশী আলোচনায় এসেছেন! চেনা জানার মধ্যে আবৃত্তিতে শিমুল মুস্তাফা, নৃত্যকলায় শিবলী মহম্মদ, ভাষা ও সাহিত্যে রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর) যথাযথ হয়েছে।
তথ্যসুত্র ঃ প্রথম আলো
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৫