somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে বাধার পাহাড়ে আমরা উঠি (অনুবাদ): মূল কবিতা "The Hill We Climb," -- Amanda Gorman

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এটি আমার একটি প্রিয় অনুবাদ। প্রথম অনুবাদ: ফেব্রুয়ারী ২০২১



যে বাধার পাহাড়ে আমরা উঠি
- কালো যাদুকর
----------------------------------------------------------------------
যখন সময় আসে নিজেদের প্রশ্ন করি,
এ অসীম অন্ধকারের শেষ সীমাটি কোথায়?

যে হারানোর ব্যাথা বয়ে চলেছি,
এখনো এতো কষ্টের সাগর - পার হতে বাকি।
আমরা এক নিদারুন বিপদের সময় কে সামলেছি,
আমরা বুঝেছি মৌনতা সব সময় শান্তির পথ নয়।
গতানুগতিক নিয়ম কানুন
যেটা সবাই ভাবে ন্যায়
সেটাই হয়ত অন্যায়।

অথচ নতুন শুরুটা আমাদের, [১০]
আমরা জানার আগেই পেয়েছিলাম।
কোন না কোন ভাবে আমারা জয়ী হয়েছিলাম।

কোন না কোন ভাবে আমরা অভিজ্ঞ হয়েছি ও দেখেছি
একটি জাতিকে- যেটি ভংগুর ছিল না,
তবে ছিল একেবারেই অসম্পূর্ন।

আমরা উত্তরসূরি একটি দেশের ও একটি সময়ের
যেখানে একটি হ্যাংলা কালো মেয়ে-
যার পূর্বপুরুষা দাস ছিল, আর যে বড় হয়েছে শুধুই একজনের কাছে-
মায়ের কাছে,
যে স্বপ্ন দেখতে পারে রাস্ট্রপতি হওয়ার, [ ২০]
যে নিজেই আজ আবৃত্তি করছে এমনি এক অনুষ্ঠানে।

আর হ্যা, আমরা হয়ত মার্জিত নই,
মূল থেকে অনেকটা দুরে।
তার মানে এই না, যে আমাদের
চেষ্টা একটি নিখুত সামজের।
আমাদের প্রয়াস হল একটি পরিপূর্ণ সমাজ,
যেখানে একটি দেশ হবে সব বর্ণের, সব সংস্কৃতির,
যেখানে মানুষের চরিত্রই,
ও কাজ হবে মুখ্য।

এজন্যই আমারা লক্ষ্য স্থির করেছি আমাদের ভেদাভেদে নয়, [৩০ ]
আমাদের প্রকৃত বাধায়।
আমরা আমাদের ভেদাভেদ তুলে দিয়েছি, যাতে ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে পারি,
আমাদের অসমতা তুলে দিতেই হবে।
আমরা নিরস্ত্র হয়েছি,
যাতে আমরা সাহায্যের হাত বাড়াতে পারি
একে অপরকে।
আমারা চাই সবাই ভাল থাকুক, শান্তিতে থাকুক।

পৃথিবীর সবাই অন্তত এটা জানুক,
যদিও আমরা দঃখ পেয়েছি, আমরা তা থেকে শিক্ষা নিয়েছি,
যদিও আমরা কস্ট পেয়েছি,আমরা আশা ছাড়িনি, [ ৪০]
যদিও আমরা ক্লান্ত, তবু আমরা চেস্টা করেছি,
আমারা শেষ পর্যন্ত একত্রে থাকব বিজয়ী হয়ে।
এর মানে এই না যে আমরা কখনো হারব না,
তবে আমরা আর বিভেদের বীজ বুনব না।

ধর্মগ্রন্থ আমাদের শিক্ষা দেয় দৃস্টি প্রসারিত করতে,
প্রত্যেককে ভয়হীন ভাবে বেচে থাকার স্বাধীনতা দিয়েছেন তার ঈশ্বর
একেবারেই নিঃশর্ত সাপেক্ষে।
আমারা যদি সত্যই জীবন ধারন করি সময়ের হাত ধরে,
তাহলে মুক্তি আসবে না ধারাল ছুরির ফলায়।
মুক্তি আসবে মানুষের বন্ধনের সেতুর উপর দিয়ে, [৫০]
সেটাই ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি,
সে বাধার পাহাড়ে আমরা উঠি।
যদি আমাদের সাহস হয়।

একজন আমেরিকান হওয়া , একজন উত্তরাধিকার হওয়ার চেয়েও গর্বের,
এর কারন - আমাদের অতীত আমরা পার করেছি
আর কিভাবে তা শুধরেছি।
আমারা দেখেছি অশুভ শক্তি কিভাবে চূর্ণবিচূর্ণ করেছে সমাজ
যদিও সমাজ ওরা গড়েনি।

গণতন্ত্রকে বিলম্বিত করার অর্থ যদি দেশকে ধ্বংস করা হয়
তাহলে বলা যায় এই প্রচেষ্টা প্রায় সফল, [৬০]
গণতন্ত্রকে কখনোই পুরোপরি দমানো যাবে না।
এই সত্যে
এই আস্থায় আমরা বিশ্বাসি।
আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি,
আর ইতিহাস তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে।

এটিই মুক্তির ক্ষণ
আমরা এর শুরুতে ভয় পেয়েছিলাম।
আমাদের মনে হয়েছিল আমরা তৈরি না এ দায়িত্বের
এমন বিভিষিকাময় সময়ে
এরপরও আমরা শক্তি খুঁজে পেলাম [৭০]
একটি নতুন অধ্যায় শুরু করার।
নিজেদের একটি আশা ও আনন্দ দেয়ার।

যখন আমরা নিজেদের প্রশ্নটি করেছিলাম,
কিভাবে আমরা বিপর্যয়কারী ঘটনা এড়াতে পারি?
ঠিক এখন যেভাবে পেরেছি,
কিভাবে আমরা বিপর্যয়কারী ঘটনাতে জড়িয়ে না পারি?
যদি আমরা অতীতের উল্টো পথে না হাটি,
যদি সঠিক পথে চলি।

একটি দেশ যা চূর্ণবিচূর্ণ তবে সম্পূর্ণ,
কল্যাণময় কিন্তু সাহসী, [৮০]
ভয়ঙ্কর কিন্ত মুক্ত।

আমরা ফিরে যাব না
ভয় দেখিয়ে আমাদের থামানো যাবে না।
কারন আমরা জানি আমাদের নিশ্চেষ্টতাও নির্জীবতা
যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দায় হবে।
আমাদের বোঝা হবে তদেরও বোঝা।
তবে একটি কথা পরিস্কার,
যদি আমরা ক্ষমা ও পেশীর সমন্বয় ঘটাই,
এবং পেশীর সাথে ন্যায়ের, [৯০]
তাহলে ভালবাসাই হবে আমাদের ঐতিহ্য,
এবং আমাদের শিশুদের জন্মাধিকার পরিবর্তন হবে।

এসো বাস করি একটি দেশে
যেটা উন্নত অতীতের থেকেও।
আমার তামাটে বুক হতে প্রতিটি নিশ্বাস বলে,
আমরা এই ক্ষতবিক্ষত বিশ্বকে এক বিস্ময়কর বিশ্বে পরিণত করব।
আমরা জেগে উঠব পশ্চিমের সোনালী পাহাড় থেকে ।
আমরা জেগে উঠব ঝড়ো উত্তরপূর্ব থেকে,
যেখানে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা বিপ্লব এনেছিল।

আমরা জেগে উঠব মধ্য পশ্চিমা রাজ্যের হ্রদের শহরগুলো থেকে। [১০০]
আমরা জেগে উঠব সূর্য ঝলসানো দক্ষিনের রাজ্যগুলো থেকে।
আমরা আবার গড়ব, মেটাবো এবং পুনরূজ্জীবিত করব।

এবং দেশের সকল কোণ
যে কোনকে বলে আমাদের দেশ,
এদেশের বিচিত্র এবং সুন্দর মানুষ অধিষ্ঠিত হবে,
ক্ষয়িত ও সুন্দরবেশে ।

যখন সময় আসে আমরা অন্ধকার থেকে বের হয়ে আসি
দীপ্ত ও অকুতভয় চিত্তে,
নতুন ভোরের সুচনা হয়- আমাদের সংগ্রামে।
ওখানে সত্যের আলো সব সময়ই প্রজ্বলিত, [১১০]
কেবল যদি আমরা সত্যের আলো দেখতে চাই।
কেবল যদি আমরা আলোর পথে হাটি।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৬
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×