মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিকর্মীরা
গনতন্ত্র ও স্বাধিকার আন্দোলনের সাথে সাথে বাংলার সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখার আন্দোলনও চালিয়ে যাচ্ছিলো পূর্ববাংলার সাংস্কৃতিকর্মীরা।
১. ১৯৬৭ সালে যখন পাকিস্তান সরকার গনমাধ্যমে রবীন্দ্রসংগীত বন্ধ ঘোষনা করে তখন সাংস্কৃতিকর্মীরা সংগঠিতভাবে এর বিরোধিতা করে।
২. ২৫শে মার্চের গনহত্যার পরে অনেক কবি, সাহিত্যিক তাদের লিখার মাধ্যমে এর বিরোধিতা করে এবং নয় মাস ধরে তা চালিয়ে যায়।
৩. শিল্পীরা স্মরনার্থী শিবির, মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ ক্যাম্প এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সাধারন জনগন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস যোগাত।
৪. অংকন শিল্পীরা বিভিন্ন পোস্টার এবং ঐতিহাসিক ব্যানার তৈরী করেন।
৫. চিত্রনির্মাতাগন স্বাধীনতার উপর চলচিত্র তৈরী করেন।
৬. মঞ্চশিল্পীরা বিভিন্ন নাটক লিখেন এবং তা পরিবেশন করতেন।
বিদেশী সাংস্কৃতিকর্মী
১. পশ্চিম পাকিস্তানের শিল্পী এবং সাহিত্যিকবৃন্দ বাংলাদেশীদের পক্ষে জনমত গঠন এবং আর্থিক সাহায্য জন্য সহয়ক কমিটি গঠন করে।
২. ভারতের প্রথম সারির শিল্পীবৃন্দ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে।
৩. আমেরিকার ম্যাডিসন স্কয়ারে জর্জ হ্যারিসন, পন্ডিত রবীসংকর, আকবর আলী খান এবং অন্যান্যরা মিলে বাংলাদেশের জন্য কনসার্ট আয়োজন করে। সেই কনসার্টে তারা বাংলাদেশের জন্য বিশ্ববাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানায় এবং স্মরনার্থীদের জন্য আর্থিক সাহায্য সংগ্রহ করে।
৪. আমেরিকার বিখ্যাত কবি অ্যালান গুইসবার্গ স্মরনার্থী শিবিরে বাংলার সাধারন মানুষের করুন অবস্থা দেখে তার বিখ্যাত "September on Jessore Road" কবিতা রচনা করেন।
[চলবে]
পুর্বের পর্বসমুহঃ
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ১
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ২
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ৩
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ৪
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ৫
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ৬
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ৭
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ৮
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ৯
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ১০
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:০০