যুদ্ধের খবর কিছুটা কমেছে, কিন্তু যুদ্ধ বিস্তৃত হচ্ছে! ইউক্রেন সরকার চাষবাসে সাবসিডিয়ারী অনেক বাড়িয়েছে, এখন ইউক্রেনে ডলারের অভাব নেই; কিন্তু মানুষের অভাব। যুদ্ধের শুরুতে পুরুষদের দেশের বাহিরে যেতে বাধা দেয়ায় বেশীরভাগ পরিবারের পুরুষেরা দেশে আটকা পড়েছিলো; কিন্তু এখন পুরুষরা ক্রমেই পরিবারের সাথে যুক্ত হচ্ছে; কৃষি শ্রমিকের অভাব।
ইউক্রেন নিশ্চয় সারা বিশ্বকে খাবার দিয়ে পালন করতো না; কিন্তু ইউক্রেনের খাদ্য উৎপাদন ইউরোপের যেকোন দেশ থেকে সস্তা ছিলো। ফলে, আরব, পশ্চিম ইউরোপ ও আফ্রিকায় তারা কমমুল্যে খাদ্য রপ্তানী করতো। তাদের খাদ্য উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি; কিন্তু তাদের নৌপথ আটকায়ে দিয়েছে রাশিয়া। একই সাথে তারা দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের জন্য খাদ্যকে গুদামজাত করছে।
আমেরিকা ও কানাডা উপরে উপরে স্বাভাবিক গলায় কথা বললেও তারা কিন্তু ৩য় বিশ্বযুদ্ধের জন্য পুরো প্রস্তুতি নিচ্ছে; যুদ্ধের মাঝে ও পরে খাদ্য সবচেয়ে দরকারী উপকরণ, তারা কয়েক বছরের জন্য খাদ্য মওজুদ করছে; এই কারণে তারা রপ্তানী কমিয়ে দিচ্ছে, কিংবা স্হগিত করছে।
চীনের বিরাট জনসংখ্যা ও পশুখাদ্যের জন্য আমেরিকা ও কানাডার উপর নির্ভরশীল ছিলো, চীন ইউক্রেন থেকেও খাদ্য আমদানী করতো; চীনও খাদ্য মওজুদ করছে।
জার্মানী, ইতালী, স্পেন, হল্যান্ড সবাই খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্ট করছে; কিন্তু ইহা সময়ের ব্যাপার ও সব দেশে উৎপাদিত খাদ্যের দাম অনেক। জার্মানী কৃষিতে ক্রমাগতভাবে পেছনে পড়ে যাচ্ছে। ইউরোপিয়ান খাদ্যের মুল ক্রেতা ইউএন সাহায্য সংস্হাগুলো, এরা বেশ উঁচু মুল্যে খাবার কিনে থাকে; ফলে, ইউএন'ও খাদ্য মুল্য বাড়াতে সাহায্য করছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩১