একজন বাংগালী বছরে গড়ে ১৭০ কিলোগ্রাম চাউল খেয়ে থাকেন, ১জন থাই নাগরিক খেয়ে থাকেন ১৩৭ কিলো, শ্রীলংকার নাগরিক খেয়ে থাকেন ১০৭ কিলো (গুগল ডাটা)। বুঝা যাচ্ছে, এই ৩ দেশর মাঝে বাংলাদেশের মানুষ বেশী ডায়াবটিসে ভোগার কথা। ১৭০ কিলো থেকে ১০০ কিলোতে আনাটা বেশ সহজ হবে; এতে ডায়াবেটিসর পরিমাণ শতকরা ৮০/৮৫ ভাগ কমে যাবে; ১ বছরের চালে, জাতির প্রায় ২ বছর চলবে।
ক্যালরীর পরিমাণ ও খাদ্যের মান ঠিক রেখে কি করে প্লেটে ভাতের পরিমাণ কমানো সম্ভব? বিবিধ বিকল্প বের করা সম্ভব, আমি শুধু ১টির কথা বলবো, বাকীগুলো আপনারা বের করতে পারবেন। আমি যেটার কথা বলবো, সেটি পুরো জাতির চেহারা বদলায়ে দেবে: পেট ভালো থাকবে, সহজে হজম হবে, ত্বক সুন্দর হয়ে যাবে, ডাক্তারের কাছে যাওয়া-আসা অনেক কমে যাবে।
ব্যাপারটা খুবই সহজ: দুপুর ও রাতের খাবারে ২টি মুল আইটেম থাকবে (১) স্যুপ (২) ভাত (সাথে মাছ, মাংস, সালাদ , ইত্যাদি )। প্রথমে স্যুপ পরিবেশন করা হবে, স্যুপ খাওয়া শেষ হলে, ২য় আইটেম, ভাত পরিবেশন করা হবে।
স্যুপ বানানো যেতে পারে (১) সবজি থেকে (২) ডাল, বিন থেকে (৩) মাছ, মাংস থেকে। স্যুপটাকে প্রথমে খেতে হবে, তারপর ভাত। স্যুপকে এমনভাবে তৈরি করা সম্ভব যে, এরপর অনেক ক্ষেত্রে ভাত খাওয়ার দরকার নাও হতে পারে।
প্রতিটি বাংগালী নারী স্যুপ তৈরি করতে জানেন: ডাল রান্না, টমেটোর টক, ঝোল চিকেন, তাজা মাছের ঝোল, এগুলো সবই স্যুপ। এগুলোর ম্যানুকে আরো উন্নত করা সম্ভব ও প্রতিদিন ২ বেলার মুল খবারের প্রথম আইটেম হিসেবে খেতে হবে।
খাওয়ার শুরুতে ১ কাপ চা, কিংবা কফি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো ও এতে মুল আইটেম বেশী খাওয়ার প্রবনতা কমে; স্যুপও একইভাবে কাজ করে, দ্বিতীয় আইটেমের পরিমাণকে কমিয়ে আনে।
স্যুপে তরল বেশী থাকায়, ইহা ভাতের থেকে সহজপাচ্য, স্যুপ খেলে শরীর হালকা থাকে, পরিপাক যন্ত্রের উপর চাপ কমে যায়। রাষ্ট্র ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলোর উচিত, দেশের মানুষের জন্য স্বাস্হ্যকর, ভালো খাদ্য অভ্যাস চালু করা।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:১৭