আমাকে কমেন্টব্যান করলেই কুফা লাগার শুরু হয়; আমি ভয় লাগাচ্ছি না, এবং আমি কুসংস্কারেও বিশ্বাস করি না; তবে, এটা ঠিক যে, যেসব ব্লগার আমাকে কমেন্টব্যান করেছিলেন, তাঁদের পোষ্টে কমেন্ট কমে যাওয়ায়, তাঁরা হতাশ হতেন, এটা নিশ্চিত! এটা সাধারণ হিসাব, আমি বেশীরভাগ সময়ে ২টি কমেন্ট করতাম কমপক্ষে; দরকার হলে, ৫/৬ টা কমেন্টও করতে হতো: কিছু কিছু ব্লগারকে ৩/৪টা প্রশ্ন করেও পুরো উত্তর পাওয়া যেতো না; কারণ, প্রশ্নফাঁস করা সোজা ছিলো, উত্তরফাঁসের ব্যবস্হা ছিলো না।
চাঁদগাজী নিকের শুরুর দিকের সময়, আমাকে প্রথম কমেন্টব্যান করেছিলেন আমার ১জন ব্লগবন্ধু, ব্লগার উড়োজাহাজ; উনি ভালো বন্ধু ছিলেন, নুরু সাহেবের মতো নন, আমার ভুলটুল হলে ধরতেন না; কিন্তু আমি বন্ধুত্বের মান রাখিনি, আমি উনার কয়েকটা ভুল ধরি, উনি আমাকে কমেন্টব্যান করে দেন। চাঁদগাজী নিক তখনো বেশ আক্রান্ত হতো, খারাপ সময়ে একটা শক্তিশালী খুঁটি হারালাম। ঘটনার পর, একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম, উনার পোষ্টে কমেন্ট কমে গেছে, উনি নিজের এলাকা ছেড়ে পাঁচমিশালী পোষ্ট দেয়ার শুরু করলেন, অবস্হার উন্নতি হলো না; উনি এয়ারপোর্ট ছাড়লেন, এখনো ফিরে আসেননি, হয়তো অন্য আকাশে এখনো উড়ছেন।
এরপর, আমাকে অনেক ব্লগারই কমেন্ট ব্যান করতে থাকেন; সময়টাও খারাপ ছিলো, অনেক ব্লগার ফেইসবুকের দিকে হিজরত করছিলেন, অনেকেই গোলাবারুদ শেষ করে, ফুল-টাইম অবসরে যাচ্ছিলেন; কিন্তু আমার নামে বদনাম আসার শুরু করলো, আমার "ব্যক্তি আক্রমণে" কিছু কিছু ব্লগারের অকাল মৃত্যু! আমার মনেও কিছু শংকা দেখা দিলো; কারণ, নাম-করা বিদায়ীদের মাঝে আমাকে কমেন্টব্যান-কারীদের অনুপাতটা আমার চোখে পড়ার মতো ছিলো।
আমার "ব্যক্তি আক্রমণে' ব্লগারের মৃত্যু হচ্ছে কিনা, বুঝার জন্য আমি ব্লগার নুরু সাহেব, ব্লগার কাওসার চৌধুরী, ব্লগার সত্যপথিক শাইয়্যান, ব্লগার রূপক-বিধৌত সাধু, নুরুল আলম হিরণ সাহেবের উপর বেশ কিছু সময় ধরে চেপে মন্তব্য করে, ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করলাম। ফলাফল ভয়ংকর, নুরু সাহেব ইন্টার-কন্টিনেন্টাল মিসাইল ছোঁড়ার শুরু করলেন; আমার নিজের নিকনেইম ভুলে যাবার উপক্রম!
এটা সঠিক যে, আরো কিছু উড়োজাহাজ রানওয়ের উপরে আছে; সুতরাং, আমাকে কমেন্ট ব্যান করার আগে ভাববেন; যারা করেই ফেলেছেন, চুপে চুপে খুলে দেন, জ্বালানী তেলের দাম বেড়ে গেছে, আকাশে অনেক্ষণ উড়াটা সহজ হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩০