অর্থমন্ত্রী আগামী ফাইন্যান্সিয়াল বছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব করেছে; ব্যয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে আমেরিকান ডলারে প্রায় ৭২ বিলিয়ন ডলার; একই সময়ে, সমপরিমাণ অর্থ যোগানের শক্ত কোন প্ল্যান উনার নেই। আয়ের একটি 'নতুন উৎস' তিনি যোগ করেছেন, সেটা হলো, "অর্থ পাচারকারীরা শতকরা ৭-১৫ ভাগ ট্যাক্স দিয়ে পাচারকৃত অর্থকে 'সাদা' করতে পারবে"।
যাদের টাকা বিদেশে(আমেরিকা, ইউরোপ, কানাডা, ভারত ) আছে, ওদের টাকা কি বিদেশে 'কালো' অবস্হায় আছে?
এই নতুন উৎস আবিস্কার করার জন্য উনাকে দেশের একজন বুদ্ধিমান অর্থনীতিবিদ বলে মনে হচ্ছে আপনার কাছে, নাকি লিলিপুটিয়ান ধরণের অর্থনীতিবিদ বলে মনে হচ্ছে?
দেশ থেকে গত কয়েক বছরে, দেশের ১ বছরের বাজেটের সমপরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে! টাকা পাচারে কোন ধরণের নাগরিকেরা যুক্ত? সবচেয়ে বেশী পরিমাণ টাকা কারা, কিভাবে পাচার করছে?
যারা বড় বড় অংকের টাকা পাচার করেছে বা করছে, সরকারের কোন কোন বিভাগ ইহাদের লিষ্ট মেইনটেইন করে; যারাই করুক না কেন, তারা পাচারকৃত টাকার পরিমাণ ও ব্যক্তিদের নাম অর্থমন্ত্র্রীকে জানায় কিনা? আমার ধারণা, এই তথ্য নিশ্চয় অর্থমন্ত্রী জানতে ইচ্ছুক। এদের কারো কারো সাথে মন্ত্রীর জানাশোনা থাকা কি অসম্ভব?
সাইফুর রহমান ও মাল মুহিত গোজামিল দিয়ে বাজেট করতেন; অর্থ বছরের শুরুতে, সব সময় জানাতেন কত টাকা ব্যয় করবেন, উহা সব সময় আয়ের থেকে বড় থাকতো; বছরের শেষে কখনো জাানাতেন না, কত টাকা ব্যয় করা হয়েছিলো; ইহা কি সঠিক বাজেট পদ্ধতি ছিলো?
দেশে বড় বড় উন্নয়ন ঘটায়ে, মানুষের বেকারত্ব কমানো, শিক্ষার মান বাড়ানো, চিকিৎসা ও বাসস্হানের সুব্যবস্হা করার জন্য বাজেট করা হয়; আমাদের মন্ত্র্রীরা কেহ এসব ব্যাপারে নাম করতে পারেনি; কালো টাকা, পাচারের টাকা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে, এরা বদনামের ভাগী হয়েছে মাত্র।
উনারা ২ জন দেশের ভেতরের 'কালো টাকাকে সাদা করানোর সুযোগ দিতেন' বাজেটে; এবার উহা ১ মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে বর্তমান মন্ত্রী। মন্ত্রীর এই বিরাট আবিস্কারের কথা শুনে, উনার বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে আপানার কি ধারণা, এই লোক কোনভাবে জাতিকে সাহায্য করার মতো বুদ্ধিমান হতে পারে?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৬