প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্যামন মাছ ডিম দেয়ার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে; কিন্তু ডিম দেয়ার জন্য তারা সমুদ্র থেকে তাদের জন্মস্হানে যাবেই যাবে, এবং শুধুমাত্র সেখানেই ডিম দিবে। বাংগালীরাও ভোটের বেলায় সেই রকম, ভোট দেয়ার পর ৫ বছর লাথি খেলেও সমস্যা নই, ভোট দিতেই হবে। ২০১৪ সালে, বেগম জিয়ার বেকুবীর কারণে, উনার সমর্থক স্যামনরা ডিম ছাড়তে পারেনি; ২০১৮ সালে, বেগম জিয়ার দলের স্যামনদের কথা কি বলবো, শেখ হাসিনার দলের স্যামনরাও ডিম পাড়ার জন্য ভোট সেন্টারে যেতে পারেনি। ডিম জমে আছে, ২০২৩ সালে ডিম না ছাড়তে পারলে, ডিমের চাপে স্যামনরা অসুস্হ হয়ে যাবে, না'হয় বিপ্লব ঘটাবে।
স্যামন যখন ডিম ছাড়ে, উহার শরীরে আর শক্তি অবশিষ্ট থাকে না, উহা স্বল্প পানিতে নিস্তেজ অবস্হায় পড়ে থাকে, খাবার সংগ্রহ করতে পারে না, সাঁতার কাটতে পারে না, সেখানেই কাপুত। আমাদের জাতি ভোট দিয়ে আনন্দিত হয়, তারপর যা ঘটার তা'ঘটে, হায়েনারা তাদের ঘাঁড় মটকায়; কিন্তু প্রতি ৫ বছর পর তারা আবার একই বৃত্তে ঘুরতে চায়।
এবারও শেখ হাসিনা কোন এক কৌশলে জয়ী হবেন; সেই কৌশলটা সময়ে সাথে পরিস্কার হবে। তবে, ঘুঘু বারবার বিনা বাধায় ধান খেতে খেতে, বেশী খেয়ে ক্লান্ত হয়ে যাবে একদিন, খেয়ে দেয়ে ধান খেতেই ঘুমিয়ে পড়তে পারে।
গত ২ ভোটে, শেখ হাসিনার দল যেভাবে জয়ী হয়েছে, তার প্রতিবাদ হয়নি; কারণ, প্রতিবাদী লোকজনের দলই ছিলো আওয়ামী লীগ; তারা ভোট নিয়ে কিছু বলেনি; কারণ, ভোটে যারা পরাজিত হয়েছে, তাদের পরাজয়টা জাতির জন্য খারাপ হয়নি, তাই আওয়ামী লীগ নীরবে সাপোর্ট দিয়ে গেছে। কিন্তু ভোট না দিতে পারলে, এক সময় আওয়ামী লীগও ক্ষেপে যাবে। আওয়ামী লীগ ক্ষেপলে খবর হয়ে যাবে। কিন্তু ফলাফল হবে, আমরা একই বৃত্তে ঘুরতে থাকবো, উপরের দিকে যেতে পারবো না; মুক্তির সংগ্রাম শেষে ঠিকই হায়েনাদের হাতে বন্দী হবো।
স্বাধীনতার পক্ষের লোকদেরকে জাতির ভবিষ্যত বুঝতে হবে, এভাবে জাতি কোনদিন ভালো করতে পারবে না, সুখশান্তিও আসবে না, জাতিকে স্বাভাবিক জীবন গড়ে তুলতে হবে; এসব কৌশল বাদ দিয়ে শক্তিশালী সিষ্টেম গড়ার জন্য কাজ করতে হবে; কৌশলী জয় জাতিকে অজাতীতে পরিণত করছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৪৯