ক্যাথোলিক ধর্মযাজকরা ও সিষ্টারেরা বিয়ে করে না, চিরকুমার, চিরকুমারীর জীবন যাপন করে; ইহা মানব জীবনের জন্য স্বাভাবিক পথ নয়, ইহা ডেডিকেসানের চেয়ে সমস্যাই বেশী সৃষ্টি করেছে, ধর্ম থেকে অধর্মেরই কারণ হয়েছে। জার্মানীর ক্যাথোলিক চার্চের শিশু নির্যাতনের বিচার শুরু হয়েছে। গত ২০/৩০ বছর সারা পৃথিবীর ক্যাথোলিক পুরুষ ধর্মযাজকদের বিচার চলছে। জার্মানীর মুনষ্টারে যা ঘটছে ইহা প্রথম নয়, ইহা সাম্প্রতিক।
জার্মানীর এই ঘটনা নিয়ে ব্লগে ১টি পোষ্ট এসেছে; আমার মতে, পোষ্টটিতে বিষয়বস্তুকে সঠিকভাবে এনালাইজ না'করে, বাংগালীরা কেন আমাদের মোল্লাদের শিশু নির্যাতন নিয়ে মুখর, সেটার শিবগীতিও গাওয়া হয়েছে। জার্মানীর কোন এক ধর্মযাজক যদি শিশু নির্যাতন করে, উহা নোয়াখালীর সোনাগাজীতে আনদোলনের জন্ম দেবে? অবশ্যই দেবে না; উহা যদি আন্দোলনের সৃষ্টি করতো, তা'হলে উহার শুরু হতো সামু থেকেই, পোষ্টের মাধ্যমে।
আমাদের দেশের মাদ্রাসাগুলোতে শিশু নির্যাতন হয়েছে, আন্দোলন হয়েছে, বিচার হয়েছে, আরো বিচার হবে; মানুষ নিজ দেশের মোল্লাদের অপরাধের বিপক্ষে দাঁড়ায়েছে; বাংগালীরা ক্যাথোলিকদের সমস্যার বিপক্ষে না দাঁড়িয়ে, দেশের মোল্লাদের বিপক্ষে কেন গেলো, পোষ্টে ইহা নিয়ে শিবগীতি গাওয়ার কি প্রয়োজন পড়লো? লোকজন কি শুনে, কিভাবে এসব এনালাইসিস করে, কিসব শিবগীতি লেখে, বলা মুশকিল।
বিবাহ করে, স্বাভাবিক পারিবারিক জীবন যাপনই হচ্ছে, একজন মানুষের সামাজিক ও পারিবারিক প্রিভিলেইজ ( আসলে অধিকারই বলা চলে ); এবং ইহাই মানব সমাজ টিকে থাকার প্রকৃতিক ও স্বাভাবিক পদ্ধতি। যদি ১জন নারী কিংবা পুরুষ জীবনে বিয়ে না'করে থাকে, এটা স্বাভাবিক জীবন কিনা?
যার জীবনই স্বাভাবিক নয়, সে রাষ্ট্র বা ধর্মের নিয়ম পুরোপুরিভাব মানার কতটুকু সম্ভাবনা? বিয়ে না'করে, স্বাভাবিক জীবন যাপন করাটাই স্বাভাবিক নয়, উহা ব্যতিক্রম ও বিরল। ক্যাথোলিক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বড় ভুল হচ্ছে, ধর্মযাজকদের ও সিষ্টারদের বিয়ে করতে নিরুৎসাহিত করা; চিরকুমার ও চিরকুমারীদের ধর্মযাজক করাটাই ভুল ভাবনার ফসল।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৪৬