রোহিংগাদের সব কষ্টের মুলে রয়েছে: তারা যেই দেশে বাস করে, সেই দেশের সংস্কৃতিকে ধারণ করে না, দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সাথে তাল মিলিয়ে চলে না, তারা শিক্ষাদীক্ষা থেকে দুরে সরে গেছে, তাদের অপরাধ প্রবণতা, অসততা ও অনৈক্য।
উপরের যে ছবিটি দেখছেন, ইহা আমি অন-লাইন থেকে নিয়েছি; ইহা ভারতের হরিয়ানার কোন এক রোহিংগা রিফিউজী ক্যাম্পের কোন এক মক্তবের ছবি। ভারতে মাত্র ৪০/৫০ হাজার রোহিংগা রিফিউজী আছে; তাদের ভরণপোষণ করছে জাতি সংঘের রিফিউজী সংস্হা। ভারতের রোহিংগা রিফিউজীরা বার্মায় ফেরত যেতে চাচ্ছে না।
এখন ছবিটি খেয়াল করে দেখুন, ভারতের মতো দেশে, রোহিংগারা যদি থেকে যেতে চায়, এই ছবিটি রোহিংগাদের সাহায্য করবে, নাকি তাদের বিপক্ষে যাবে? ভারতের লোকজন যদি দেখে যে, এই ছোট শিশুদেরকে এই ধরণের মক্তবে, এই ধরণের একজন শিক্ষক ধর্মীয় শিক্ষা দেয়, এতে এই শিশুদের প্রতি দয়ার উদ্রেক হবে? বর্তমানে তাদের যেই অবস্হা, তাদের দরকার স্হানীয়দের সহানুভুতি; কিন্তু তারা প্রয়োজনীয় সহানুভুতি পাচ্ছেনা; ভারতের সাথে বার্মার সম্পর্ক ভালো, পুলিশ রোহিংগাদের উপর কড়া নজর রাখছে।
এই ছবির বদলে যদি একটা স্কুলের ছবি দেয়া হতো, যেখানে ইংরেজী কিংবা হিন্দী শেখানো হচ্ছে, কিংবা প্রাইমারী লেভেলে পড়ানো হচ্ছে, সেটা ১জন ভারতীয় নাগরিকের মননের উপর মানবিক প্রভাব রাখতো।
ভারতীয় দ্বীপপুন্জ, আন্দামান নিকোবর এলাকায় সাগরে এখন একটি রোহিংগা বড় নৌকা ভাসছে কয়েক সপ্তাহ, যাতে শ'খানেকের মতো মানুষ (আনুমানিক ) এখনো জীবিত আছে; জাতি সংঘের শত অনুরোধ সত্বেও কোন দেশ এদেরকে আশ্রয় দিচ্ছে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৭