দেশের ব্যাংকার ও শিক্ষিত ব্যবসায়ীদের কাছে ডলারের প্রভাব ও শক্তি মোটামুটি কিছুটা পরিস্কার। ব্লগেও ২/৪ জনকে বলতে শুনেছি, "আমেরিকার মোড়লগিরি থামাতে হলে, গ্লোবেল মুদ্রার ভুমিকা থেকে ডলারকে সরাতে হবে"। ষ্টেইটমেন্টটা ঠিক আছে, কিন্তু ডলারের ভুমিকায় আসার মতো কোন মুদ্রা নেই, আগামীতেও সহসা ডলারের স্হানে আসার মতো কোন মুদ্রা দিগন্তেও নেই।
পৃথিবীর ৭০'টি দেশ ইহাকে 'রিজার্ভ' হিসেবে ব্যবহার করছে; তৃতীয় বিশ্বের সকল সরকার থেকে শুরু করে সকল বাটপাড়ের জন্যও 'রিজার্ভ' হচ্ছে ডলার; আফগানিস্তানের কোন নি:স্ব মহিলা এয়ারপোর্টের আশেপাশে ভিক্ষা করলে, সে ১ জন চীনা পর্যটক থেকেও আমেরিকান মুদ্রা চাইবে।
আমেরিকার বাহিরে ১৮ ট্রিলিয়ন ডলার বাজারে চালু অবস্হায় আছে; ইহার একাংশ ক্যাশ হিসেবে আছে। যেই পরিমাণ ক্যাশ আছে, উহাকে ম্যানেজ করার মতো ক্ষমতা একমাত্র আমেরিকানদের আছে; অন্য কোন জাতির সেই ধরণের ম্যানেজমেন্ট সিষ্টেম নেই। মানি-লন্ডারিং, জংগিদের ক্যাশ বহন (ব্যবহার), লুকিয়ে রাখা ডলার, জাল ডলার ছাপানোর প্রক্রিয়া নিয়ে ভাবুন, আর কোন জাতি ইহাকে কন্ট্রোলে রাখতে পারবে কিনা?
গ্লোবেল মু্দ্রার পেছেন সবচেয়ে বড় শক্তি হলো, মালিক জাতির প্রতি আস্হা; রাশিয়া কিংবা চীনের মুদ্রাকে আপনি ১০ বছর ধরে রাখার চিন্তা করতে পারবেন? আপনি রাশিয়ার কিংবা চীনের কোন কোম্পানীর বন্ড ১০ বছর ধরে রাখার মতো সাহস রাখেন? চীনা মুদ্রার পেছনে সাপোর্ট হিসেবে কি আছে, স্বর্ণ নাকি ডলার?
বিশ্বের মুদ্রাগুলো নিয়ে জানুন; নিজে দেশের মু্দ্রা সম্পর্কে জানুন। আমেরিকার মোড়লগিরি নিয়ে অনেকের মন খারাপ হয়, কিন্তু ডলার নিয়ে সবাই খুশী, ইহা বিশাল শক্তি। আমেরিকার মোড়লগিরির পেছনে এটম বোমা নয়, ডলারই মুল শক্তি।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২০