১৯৪৮ সালের ৪ই জানুয়ারী পুর্ব পাকিস্তানের কিছু দুষ্ট ছাত্র, একটি অপ্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তুলেছিলো, যা আজ অবধি জাতির শিক্ষাকে পেছনে টানছে।
বৃটিশ কলোনী থেকে ভারত মুক্ত হওয়ার সময় (১৯৪৭ সাল ) কতজন বাংগালী নিজের নাম লিখতে পারতেন? তখন কোন ধরণের পরিবারের ছেলেমেয়ারা ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করতো? তরাা কি গরীব শ্রেণীর ছেলেমেয়ের পড়ালেখার জন্য কিছু বলেছিলো? তখন দেশের শতকরা ৯৩ জন নাম লিখতে জানতেন না; সেই সময়, সবচেয়ে কমশিক্ষিত ছিলো পুর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের লোকজন; বাংলা অন্চলে পড়ালেখার স্হান ছিলো কলিকাতা।
দেশ ভাগ হওয়ার পর, তখন হতে গোনা যেই সামান্য পরিমাণ ছাত্র ছিলো, তাদের কি রাজনৈতিক দল গঠন করার দরকার ছিলো, নাকি মনযোগ দিয়ে পড়ালেখা করে, জাতিকে সাহায্য করার দরকার ছিলো? যারা পড়ালেখার সময় রাজনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত হয়, তারা লেখাপড়া করতে শুনেছেন?
যারা ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেছিলো, এরা জাতির ক্ষতি করেছে; এসব ছাত্ররা পড়ালেখা করতো না; এরা তরুণ ছিলো, এদের মাথায় দুর্বুদ্ধি চেপেছিলো মাফিয়াগিরি করার জন্য। যেখানে দেশে চালানোর মতো শিক্ষিত লোকজন ছিলো না, শিক্ষক, ডাক্তার, প্রশাসনের লোকজন ছিলো না, সেখানে পড়ালেখা বাদ দিয়ে কি রাজনীতির দরকার ছিলো সেই সময়?
১৯৪৮ সালে, দেশে ২ জন খুবই মেধাবী রাজনীতিবিদ ছিলেন: (১) শেরে বাংলা (২) মওলানা; এছাড়া দেশে মুসলিম লীগের অনেক নেতা ছিলো যারা দেশের স্বাধীনতার সাথে যুক্ত ছিলো; ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছেলেরা কি নতুন কোন ধরণের রাজনৈতিক তত্ব জানতো, যা নতুন জাতির জন্য দরকার ছিলো?
অনেকে বলেন, ছাত্রলীগের ঐ নেতা এক বড় পদে ছিলো, সেক্রেটারী হয়েছিলো, এমপি হয়েছিলো, আওয়ামী লীগের মাথামুন্ড হয়েছিলো! হয়েছিলো সত্য, কিন্তু এরা দক্ষতাহীন, অপদার্থ ছিলো। এদের উত্তরসুধীদের মাঝে সবচেয়ে শক্তিশালী ৪ জনকে খলীফা ডাকা হতো ১৯৬৯/৭০ সালে; এরা সবগুলো মধুর ক্যান্টিনের গ্রেজুয়েট ছিলো; সিরাজুল আলম খান, আবদুর রব, মাখন মুখন কোনদিন ক্লাশে যায়নি, ক্লাশরুম ছিলো মধুর ক্যান্টিন; এরা চ্যালাচামুন্ডা নিয়ে লাখ লাখ টাকার খাবার খেয়েছে মধুর ক্যান্টিন থেকে, সেই পয়সাও কখনো দেয়নি; এদের একাংশ নতুন দেশে ব্যবসা বাণিজ্য দখল করে ও অথর্ব রাজনৈতিক দল গঠন করে শেখ সাহবের সুনাম নষ্ট করে, উনার মৃত্যুতে অবদান রেখেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১২