somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৯৪৮ সালে ছাত্রদের থেকে জাতি কি ছাত্র-রাজনীতিবিদ চেয়েছিলো?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১৯৪৮ সালের ৪ই জানুয়ারী পুর্ব পাকিস্তানের কিছু দুষ্ট ছাত্র, একটি অপ্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তুলেছিলো, যা আজ অবধি জাতির শিক্ষাকে পেছনে টানছে।

বৃটিশ কলোনী থেকে ভারত মুক্ত হওয়ার সময় (১৯৪৭ সাল ) কতজন বাংগালী নিজের নাম লিখতে পারতেন? তখন কোন ধরণের পরিবারের ছেলেমেয়ারা ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করতো? তরাা কি গরীব শ্রেণীর ছেলেমেয়ের পড়ালেখার জন্য কিছু বলেছিলো? তখন দেশের শতকরা ৯৩ জন নাম লিখতে জানতেন না; সেই সময়, সবচেয়ে কমশিক্ষিত ছিলো পুর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের লোকজন; বাংলা অন্চলে পড়ালেখার স্হান ছিলো কলিকাতা।

দেশ ভাগ হওয়ার পর, তখন হতে গোনা যেই সামান্য পরিমাণ ছাত্র ছিলো, তাদের কি রাজনৈতিক দল গঠন করার দরকার ছিলো, নাকি মনযোগ দিয়ে পড়ালেখা করে, জাতিকে সাহায্য করার দরকার ছিলো? যারা পড়ালেখার সময় রাজনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত হয়, তারা লেখাপড়া করতে শুনেছেন?

যারা ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেছিলো, এরা জাতির ক্ষতি করেছে; এসব ছাত্ররা পড়ালেখা করতো না; এরা তরুণ ছিলো, এদের মাথায় দুর্বুদ্ধি চেপেছিলো মাফিয়াগিরি করার জন্য। যেখানে দেশে চালানোর মতো শিক্ষিত লোকজন ছিলো না, শিক্ষক, ডাক্তার, প্রশাসনের লোকজন ছিলো না, সেখানে পড়ালেখা বাদ দিয়ে কি রাজনীতির দরকার ছিলো সেই সময়?

১৯৪৮ সালে, দেশে ২ জন খুবই মেধাবী রাজনীতিবিদ ছিলেন: (১) শেরে বাংলা (২) মওলানা; এছাড়া দেশে মুসলিম লীগের অনেক নেতা ছিলো যারা দেশের স্বাধীনতার সাথে যুক্ত ছিলো; ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছেলেরা কি নতুন কোন ধরণের রাজনৈতিক তত্ব জানতো, যা নতুন জাতির জন্য দরকার ছিলো?

অনেকে বলেন, ছাত্রলীগের ঐ নেতা এক বড় পদে ছিলো, সেক্রেটারী হয়েছিলো, এমপি হয়েছিলো, আওয়ামী লীগের মাথামুন্ড হয়েছিলো! হয়েছিলো সত্য, কিন্তু এরা দক্ষতাহীন, অপদার্থ ছিলো। এদের উত্তরসুধীদের মাঝে সবচেয়ে শক্তিশালী ৪ জনকে খলীফা ডাকা হতো ১৯৬৯/৭০ সালে; এরা সবগুলো মধুর ক্যান্টিনের গ্রেজুয়েট ছিলো; সিরাজুল আলম খান, আবদুর রব, মাখন মুখন কোনদিন ক্লাশে যায়নি, ক্লাশরুম ছিলো মধুর ক্যান্টিন; এরা চ্যালাচামুন্ডা নিয়ে লাখ লাখ টাকার খাবার খেয়েছে মধুর ক্যান্টিন থেকে, সেই পয়সাও কখনো দেয়নি; এদের একাংশ নতুন দেশে ব্যবসা বাণিজ্য দখল করে ও অথর্ব রাজনৈতিক দল গঠন করে শেখ সাহবের সুনাম নষ্ট করে, উনার মৃত্যুতে অবদান রেখেছে।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১২
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×