ধারণা করা হয়েছিলো যে, বিএনপি পরপর ২ বার পরাজিত হলে, পার্টির অস্তিত্ব থাকবে না; পরপর ৩ বার পরাজিত হওয়ার পরও বিএনপি রয়ে গেছে; ইহা কিভাবে সম্ভব হলো?
বিএনপি'র টিকে থাকাটা প্রমাণ করছে যে, আওয়ামী লীগ সঠিকভাবে দেশ চালায়নি; তারা নিজেরা ভালো থাকার চেষ্টা করেছে, সাধারণ মানুষের সাথে তাদের রাজনৈতিক সম্পর্ক ও কোন প্রকার বাঁধন নেই, মানুষকে রাজনীতি থেকে দুরে সরায়ে দিয়েছে; সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা না'শুনে নিজেদের মনগড়া উন্নয়নের কথা বলে শোরগোল করে বেড়াচ্ছে।
বিএনপি'কে সবচেয়ে বেশী মনোবল যোগায়েছে, এরশাদের দলের টিকে থাকাটা; বিএনপি ও এরশাদের দল, উভয়টা মিলিটারীর দল; এরশাদের দল যখন টিকে আছে আওয়ামী লীগের মেহমান হিসেবে, আওয়ামী লীগ বিএনপি'কে কখনো উৎখাত করতে যাবে না।
বিএনপি'র সভাপতির জেল হওয়ার পর, আরেক পলাতক কয়েদীকে বিএনপি'র সভাপতি করার পরও আওয়ামী লীগ বিএনপি'র বিপক্ষে কোন আইনী ব্যবস্হা নেয়নি। আওয়ামী লীগ মনে করেছিলো যে, বিএনপি'র সভাপতি বিদেশে লুকায়ে থাকার ফলে, বিএনপি নিস্ক্রিয় হয়ে যাবে; কিন্তু তারা ভাবেনি যে, তারা সরকারে থাকার ফলে, অসফলতার কারণে তাদের জনপ্রিয়তা কমবে।
আজকের শেখহীন আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে বিএনপি কিংবা জাপার নেতাদের তেমন কোন পার্থক্য নেই; এদের বেশীরভাগই অপরাজনীতিতে পক্ক। সামান্য পার্থক্য ছিলো অতীতে, স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপরই: বিএনপি'তে যারা গিয়েছিলো, তারা সবাই ছিলো ততকালীন সময়ের পতিত রাজনিতিবিদ, এরাই পরে জাপাতে গেছে।
গত কিছু বছর, শেখ হাসিনা নিজ দলের জন্য কিছু করছেন বলে মনে হয় না, তিনি নিজ দলের চেয়ে ব্যুরোক্রেটদের ও সরকারী কর্মচারীদের উপর নির্ভরশীল হয়ে গেছেন; দুষ্ট ব্যুরোক্রেটরা উনাকে কুবুদ্ধি দিচ্ছে। দলের ভুমিকা কমে যাওয়ায় ও দলের সঠিক অরগেনাইজার না'থাকাতে, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল থেকে লাঠিয়ালেদের দলে পরিনত হয়েছে; অর্থাৎ, দল বিএনপি'র লেভেলে নেমে এসেছে। ফলে, বিএনপি'র অক্সিজেনের অভাব হচ্ছে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২২