গতকালও ১ জন ব্লগার আমাকে ভৎসনা করেছেন যে, আমি সারাদিন ব্লগে পড়ে থাকি; এর আগে শতশত ব্লগার ইহা বলতেন, এদের সংখ্যা কমে গেছে। আজকে নিউইয়র্ক সময় ভোর ৫টা'র দিকে আমি ব্লগে এসেছি, একই সাথে আমি টিভি দেখেছি। সোয়া ৫'টার দিকে আমি আমার জন্য হালকা ব্রেকফাষ্ট তৈরি করেছি ও ব্লগে কমেন্ট চেক করেছি, নতুন কি পোষ্ট এসেছে দেখেছি।
এখন ( সকাল ৮:৩০ ) আমি পোষ্ট লিখছি ও ১ বন্ধুর ৩৯টি ব্যবসায়ী চেক প্রসেসিং করছি; ইতিমধ্যে আমার স্ত্রী রুটি তৈরি করেছে, আমরা একসাথে নাস্তা করেছি। সাড়ে নয়টায় আমি ষ্টক-মার্কেটের শুরু দেখবো, সাড়ে ১০টার দিকে চেকগুলো জমা দেয়ার জন্য ব্যাংকে যাবো। এরপর, বন্ধুটি উনার নিজের অফিসে থাকলে, উনার অফিসে গিয়ে ব্যাংকের কাগজপত্রগুলো দিয়ে আসবো; উনার অফিসে আমার জন্য ১টা কম্প্যুটার আছে, আমি ওখানে বসে ব্লগে যাই। উনি অফিসে থাকলে, উনার সাথে খেতে যেতে হয়, উনি বেশী খান, আমাকেও উনার সাথে তাল মিলাতে হয়।
আজকে দুপুরে দুরে যেতে হবে লান্চ করার জন্য; দেশ থেকে আসা, আমাদের এলাকার আওয়ামী লীগের তরুণ নেতাকে আরেক ব্যবসায়ী দাওয়াত করেছেন, সেখানে যেতে হবে; তখন ব্লগিং বন্ধ থাকবে। আজকাল বিকেলেও ষ্টক মার্কেট দেখি মাঝে মাঝে। রিশেসন শুরু হয়েছে, তাই রাতেও ব্লুমবার্গ ফাইন্যান্সিয়াল চ্যানেল দেখি; ওখানে সারা বিশ্বের খবর থাকে, ভারতের খবর থাকে। এখন যেটা দেখছি, ইহা আমেরিকান, এরা বিশ্বের ফাইন্যান্স নিয়ে খবর তেমন দেয় না।
বিকলে বাজারও করতে হবে, মাছ শেষ হয়ে গেছে; কোভিডের কারণে স্ত্রী একা বাজারে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন; কিন্তু আমার সাথে যান। কিছু বাজার করতে দুরে যেতে হয়, আমি চীনা, তুর্কি ও ভারতীয়দের দোকানে যাই না, ওরা ভেজাল বিক্রি করে ও ঠকায়। বাংগালী দোকানদারেরা আসলে ডাকাত; তবে, আমার সাথে মোটামুটি ভালো; আমার থেকে বেশী পয়সা নিলে, আমি সেই দোকানে কিছুদিন যাই না, ওরা বুঝে নেন।
প্রায় শনিবার ও রবিবারে বন্ধুদের সাথে লম্বা সময় আড্ডা দিই; সময় পেলে নতুন টেকনোলোজী ও ফাইন্যান্স সম্পর্কে বক্তব্য শুনি; আমি কোন কিছু পড়তে ভালোবাসি না। এভাবেই আমার সময় কাটে। আমি যখন ব্লগে থাকি, আমি সমান্তরালভাবে কিছু করি।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩৯