আমেরিকা টিকটক বন্ধ করছে, কংগ্রেস থেকে দেশের প্রেসিডেন্টকে এক্সেকিউটিভ ক্ষমতা ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে। আমেরিকা, কানাডা ও ইউরোপ ভাবছে, টিকটক কোম্পানীর কাছ থেকে টিকটক ব্যবহারকারীদের ডাটা চীনা সরকারের হাতে চলে যেতে পারে। এইসব ডাটা চীনা সরকারের হাতে গেলে, তারা এই ডাটাকে অনেকভাবে ব্যবহার করার সম্ভাবনা আছে; তবে, মুলত ব্যবহারকারীদের কাছে মিস-ইনফরমরশান পাঠানোর কাজে লাগাতে পারে।
আমার মতে, টিকটকের সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হচ্ছে, শিশু ও কিশোরদের ব্যক্তিত্বের ক্ষতি সাধন। এই ধরণের এ্যাপ ব্যবহারকারীরা নিজকে হিউমারিষ্ট, ভাঁড়, জোকার, ইত্যাদি হিসেবে প্রকাশ করে অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছে। ভাঁড়গিরি করা, নিজকে জোকার হিসেবে তুলে ধরা, অস্বাভাবিক অভিনয় করে অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গিয়ে নিজের স্বাভাবিক আচরণকে ওভার-রাইট করছে; ইহা এক সময় শিশু ও কিশোরদের স্বাভাবিক আচরণে পরিবর্তন আনবে, যা হবে অগ্রহণযোগ্য ও নীচু মানের আচরণের কারণ।
আসলে, বর্তমান চীনা জাতির নতুন জেনরেশনে ব্যক্তিত্বের সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমেরিকায় জন্ম-নেয়া চীনা সন্তানেরা তাদের মা-বাবা থেকে লম্বা, সুন্দর, সৎ, সামাজিক ও পড়ালেখায় ভালো। একই বয়সী যেসব তরুণ ও কিশোর চোরাই পথে ও ইমিগ্রেন্ট হিসেবে আমেরিকা আসছে, তাদের ব্যক্তিত্ব সমস্যা আছে।
আমেরিকা চীনা টিকটক বন্ধ করে দিলে, এই মার্কেটকে কব্জা করার চেষ্টা করবে স্হানীয় সোস্যাল মিডিয়া কোম্পানী কিংবা ইসরায়েলের কোম্পানীরা; কিন্তু উহা চীনা টিকটক থেকে কোনভাবে ভালো হবে না।
বাংলাদেশে টিকটকের বাজার কেমন? টিকটক করে যদি আয় করার সুযোগ থাকে, বাংগালীরা ইহার পেছনে ছুটবে। বাংলাদেশের তরুণদের ব্যক্তিত্ব সমস্যা এখনই সামাজিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশেরও উচিত হবে টিকটক বা এই ধরণের বাঁদরামী এ্যাপ বন্ধ করে দেয়া। শিশু, কিশোরদের ভালো ব্যক্তিত্ব গঠনের জন্য তাদেরকে এসব এ্যাপ থেকে দুরে রাখার দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩১