আমাদের দেশ ধর্ম নিরপেক্ষ: রাষ্ট্রের সংবিধান কোন ধর্মীয় আইন প্রনয়ন করতে দিবে না, বিচার বিভাগ কোন ধর্মীয় নিয়ম কানুন প্রয়োগ করতে পারবে না; রাষ্ট্র কোন ধর্মীয় গ্রুপকে সাপোর্ট করবে না, সব নাগরিকেরা স্বাধীনভাবে নিজেদের ধর্ম পালন করতে পারবে, কোন ধর্মের লোকজন অন্য ধর্মের লোকদের ধর্মীয় কাজে কোনভাবে বাধা দিতে পারবে না।
এই দেশে কিভাবে পন্চগড়ে আহমেদিয়াদের ধর্মীয় কাজে বাধা দিচ্ছে সুন্নী, শিয়া, ওয়াহাবীরা? সরকার কি ব্যবস্হা নিচ্ছে? কেন সুন্নী, শিয়া ও ওয়াহাবীরা অন্য ধর্মের লোকদের উপর আক্রমণ চালাতে সমর্থ হচ্ছে?
গত শুক্রবার জুমার নমাজের পর পঞ্চগড়ে তথাকথিত "তৌহিদী জনতা" প্রতিবাদ মিছিল বের করে, আহমেদিয়াদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে; ফলাফল, ২ জন নাগরিকের মৃত্যু, শতশত বাড়ীঘর ভস্মীভুত, বহু নারী ও শিশু আহত।
আহমেদিয়ারা তাদর মাথামুন্ড কি এক "সালনা জলসা" করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো; এইদিকে ১ জংগীনেতা, মাওলানা এনামুল হক মুসা এই জলসা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়; আহমেদিয়ারা কেন এসব জংগীদের নির্দেশ শুনতে বাধ্য? ইহা কি বাংলাদেশ, নাকি আফগানিস্তান বা ইয়েমেন?
আমাদের দেশকে ধর্ম নিরপেক্ষ করেছিলেন শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব; উনাদের হত্যা করার পর, দেশকে পুনরায় পাকিস্তানী কালচারের দিকে নিয়ে যায় অফিসার জিয়া, এরশাদ ও বিএনপি-জামাত। বাংগালীরা কখনো নিজ সংস্কৃতিকে আঁকড়িয়ে ধরেনি, তারা পাকিস্তান, আরব ও আমেরিকার সংস্কৃতির দিকে আকৃষ্ট।
কপট মানুষ, অসৎ মানুষ কোন কালচার মেনে চলে না, তারা ধর্মের নামে অশান্তির সৃষ্টি করে, রাষ্ট্রের আইন না'মেনে এনার্খীর সৃষ্টি করে। বাংগালীদের বড় অংশ পাকিস্তানীদের মতো এনার্খিষ্ট; এরা পাকিস্তান ও ভারত থেকে জংগী নেতাদের এই দেশে আনে সময় সময়। পাকিস্তান ও বর্তমান ভারতে ধর্ম বেশ বড় সমস্যার সৃষ্টি করে চলেছে; এদের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের এনার্খিষ্টরা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:১৫