আফ্রিকায়, নারীদের ছোটখাট চাকুরী পেতে হলেও চাকুরীদাতাদেরকে দেহদান করতে হয়; ২ সপ্তাহ আগে, কেনিয়া ও নাইজেরিয়ার চা বাগান'এর নারীদের নিয়ে একটা ডকুমেন্টারী দেখালো, শতকরা ৮০ জনকে চাকুরী পাবার জন্য কিংবা চাকুরী রাখার জন্য দেহদান করতে হয়।এই কারণে, এসব শ্রমিকদের কেহ বিয়েও করতে চাহে না। বাংলাদেশে চা-বাগান ও গার্মেন্টস'এর কি অবস্হা?
ভারত, বাংলাদেশ ও আফ্রিকার চা-বাগানের শ্রমিকদের বড় অংশ নারী; আফ্রিকায় নারীরা বড় পদে তেমন নেই; বাংলাদেশে নারীরা ৪০ বছরের বেশী সময়ে ধরে সবচেয়ে বড় ২টি পদের মালিক; কিন্তু এরা চাকরানী, গার্মেন্টস ও চা বাগানের নারীদের কোন সমস্যাই দেখেন না, এদের জন্য কোন কিছুই করেনি।
১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, একটা আইনের দরার ছিলো, কিশোরীকে চাকরাণী করা যাবে না; তা'হলে ২ কোটীর বেশী নারী জীবনের স্বাদ পেতো। কিন্তু সমস্যা হতো, এতিম কিংবা হতদরিদ্র ঘরের কিশোরীরা খেতে পেতো কিনা? আপনার কাছে ইহার জবাব আছে?
ইউরোপ, অষ্ট্রেলিয়া ও আমেরিকায় চাকুরী পাবার জন্য এখন দেহ দিতে হয় না; এরা পুরুষদের সমানে সমান চাকুরী করছে; আসলে, মেয়েরা চাকুরীটা পুরুষ থেকে আরো সহজেই পেয়ে যায়। আমেরিকার মেয়েরা পুরুষদের চেয়ে অনেক বেশী দয়ালু। আমি একটি বড় কোম্পানীতে অস্হায়ী চাকুরী করছিলাম একবার; আমার ঘাঁড়ে ভুত চাপে, বাংলাদেশে চাকুরী করার জন্য সেই চাকুরী যখন ছেড়ে আসছিলাম, গ্রুপের ১২ জন নারী আমাকে আলাদাভাবে বিদায় দিয়েছিলো; তারা চিন্তিত ছিলো, আমি বাংলাদেশের বেতনে চলতে পারবো কিনা; সবাই আমাকে বলেছিলো, চলতে না'পারলে যেন তাদেরকে জানাই।
ঢাকার নারীরা চাকরাণী ও বুয়া ব্যতিত চলতে পারে না; এসব চাকরাণী ও বুয়াদের জীবনটা কেমন হয়, এদের কোন সাহায্যের দরকার হয়? এদেরকে সাহায্য করা কি সম্ভব, কিংবা করা কি উচিত?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০৯