আজকে একটি নতুন খবর দেখছি: ড: ইউনুসের পক্ষ থেকে, কিংবা উনার অনুরাগীদের পক্ষ থেকে "ওয়াশিংটন পোস্টে" বিভিন্ন দেশের ৪০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম দিয়ে ১টি বিবৃতি/বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। এই কাজটি করতে অনেক টাকা লেগেছে। ইহা কি কোনভাবে বাংলাদেশে ড: ইউনুসকে নতুন পরিচয়ে প্রেজেন্ট করতে পারবে? বাংলাদেশে কে কে "ওয়াশিংটন পোস্ট" পড়ে? আমাদের ব্লগার না'হল তরকারী হয়তো অনলাইনে পড়তে পারেন; উনি মন্তব্য করলে বুঝতে পারবো।
ড: ইউনুসের কার্যকলাপে শেখ হাসিনা অখুশী; এই ধরণের কিছু দেখলে বাংলাদেশের ব্যুরোক্রেটরা ইহাকে শেখ হাসিনার সামেন রং ঢং মাখিয়ে পরিবেশন করার কথা। তা'হলে, এই ধরণের বিবৃতি/বিজ্ঞাপন দেয়ার আগে ড: ইউনুসকে ভাবার দরকার ছিলো। তিনি কি ভেবেছেন, আমি কখনো জানবো না; তবে, আমার মতে, ইহা বড় ধরণের বেকুবী।
ড: ইউনুসের সবচেয়ে বড় ভাবনা ছিলো "সোস্যাল বিজনেস"; এই ভাবনাকে তিনি কার্যকরী করতে পারেননি; সোস্যাল বিজনেস উনার নিজের ভাবনা নয়, ইহা আমেরিকায় আছে, সেখান থেকেই তিনি আইডিয়াটা পেয়েছিলেন, সেটা নিয়ে কথা বলছিলেন; ইহা বাংলাদেশে একমাত্র তিনিই চালু করতে পারতেন, উনার সেই সুনাম ছিলো, দরকারী ক্যাপিটেল আছে। কিন্তু তাঁর আগের ভুলগুলোর খেসারত দিতে গিয়ে, বড় আইডিয়াটাকে কাজে লাগাতে পারেননি।
তিনি ক্ষুদ্র ঋণের আইডিয়াকে কাজে লাগায়ে বিশ্ব পরিচিতি পেয়েছেন, নোবেল পেয়েছেন, ডলারে মালটি মিলিনিয়ার হয়েছেন। উনার দরকার ছিলো 'সোস্যাল বিজনেস' শুরু করা। ক্ষুদ্র ঋণ নিয়েছিলেন ৮০ লাখের বেশী মানুষ, এরা ছিলো দরিদ্র; এদের বেশীরভাগই কম উপকৃত হয়েছেন, উচ্চ হারের ঋণে জড়ায়ে ক্লান্ত হয়ে গেছেন।
কিন্তু সোস্যাল বিজনেসে ঋণ নিয়ে কেলেংকারী ঘটার সম্ভাবনা ছিলো না, সেখানে ঋণ থাকার কথা নয়। বাংগালীরা ঋণ নিলে, ওদের মাথায় ১টা ভাবনা আসে, ঋন ফেরত না দিয়ে থাকা যায় কিনা? সোস্যাল বিজনেস শুরু করলে, দেশের উপকার হতো।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৫২