ব্লগে অনেক পোষ্ট আসে, যেখানে বেকারদের উদ্দেশ্য করে একটা বড় উপদেশ দেয়া হয়: চাকুরী খোঁজা বাদ দিয়ে "উদ্যোক্তা" হয়ে যান; পোষ্টের উপদেশদাতারা একটা কথা ভুলে যান, নতুন উদ্যোক্তা হতে হলে, প্রাথমিক "ক্যাপিটেল"টা কে দিবে, ফ্যামেলীর কি সেই অবস্হা আছে? সোানালী, রূপালী, অগ্রণী ব্যাংক, ইত্যাদি কি ঋণ দিবে? ড: ইউনুস সাহেবের ক্ষুদ্র ঋণ কি টাকা দিবে? নাকি মহাজনদের থেকে শতকরা ১০০%, ২০০% সুদে টাকা নিতে হবে!
সাইফুর রহমান, মাল মুহিত, শেখ হাসিনা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আনার জন্য লোভ লাগাতে বলে আসছেন, "আমাদের সস্তা শ্রম আছে", প্লীজ বাংলাদেশে আসেন, আমরা নাগরিক্ত্বও দিয়ে দেবো। ইহার পেছনে প্রধান কারণ কি? প্রধান কারণ হচ্ছে, ক্যাপিটেলের অভাব।
একদিক থেকে হিসেব করলে ক্যাপিটেলের ভয়ংকর অভাব নেই, বলতে হয়; ক্যাপিটেল "দুর্নীতিবাজ শয়তানদের হাতে আটকা পড়েছে"; ইহা কিভাবে বুঝবেন? ইহা বুঝার ২টি উপায় আছে: (২) মিডিয়ায় খবর আসে, "ব্যাংকে অলস টাকা পড়ে আছে" (২) বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, শিকদার ব্রাদাস, আলম ব্রাদার্সদের অফিসে সোনালী, রূপালী ও অগ্রনী ব্যাংকের বড় বড় ম্যানেজারদের ঘনঘন যাওয়া আসা; এসব ম্যানেজারেরা ঐসব দুর্নীতিবাজ কর্পোরেশনগুলোকে ঋণ দেয়ার চেষ্টা করছে।
৪০ লাখ বেকার গ্রেজুয়েটকে উদ্যোক্তা (কম পক্ষে টং দোকান, বানর দিয়ে ভাগ্য গণনা, চটপটি বিক্রয় ) করতে ৫/৬বিলিয়ন ডলার দরকার; উহা কে দিবে? ৫/৬বিলিয়ন ডলার যে, আমাদের নেই তা'নয়; কিন্তু চাকুরী সৃষ্টির জন্য, বেকারদের ঋণ দেয়ার জন্য কেহ দিবে না। শেখ হাসিনাও দিবেন না; তিনি হয়তো নতুন মসজিদ করার জন্য ২/১ বিলিয়ন দিবেন।
আমাদের দেশের কিছু লোকজন কিন্তু ক্যাপিটেল বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে, ওরা সিংগাপুর, ভিয়েতনাম, আমেরিকা, কানাডায় ব্যবসা খুলছে; তবে, এরা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে, আইনীভাবে এখনো নিতে পারছে না। একটি পোষ্টে আজকে দেখলাম, বেক্সিমকো আইনীভাবে নেয়ার কথা বলছে।
দেশে চাকুরীর অভাব, চাকুরী সৃষ্টি করতে "ক্যাপিটেল" দরকার; বেক্সিমকোর ব্যবসা বাড়ানো, সামিটের ব্যবসা বাড়ানো, আলম ব্রাদারদের ব্যবসা বাড়ানো আজকের জন্য জরুরী নয়, জরুরী দেশের ভেতরে নতুন ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে তোলা, উহার জন্য দেশীয় ক্যাপিটেল দেশে রাখার দরকার, উহাকে বিদেশে নিতে দেয়াটা অন্যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৫৫