আমার মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ দুষ্ট ট্রাম্পের ভাগ্য খুলে দিচ্ছে; যুদ্ধের দায়ভার খুব সহজেই বাইডেনের ঘাঁড়ে পড়ে গেছে: যুদ্ধে আমেরিকার সাধারণ মানুষ যেভাবে ভুগছে, বাইডেন এই অপবাদ কোনভাবে মুছতে সক্ষম হবে না, ভোটে ইহার প্রভাব পড়বে। ট্রাম্প নিজের সময়ে নতুন করে কোন যুদ্ধ শুরু করেনি, ইহা ট্রাম্পের জন্য প্লাস পয়েন্ট হবে আগামী ভোটে।
ট্রাম্প আগামী ইলেকশানে রিপাবলিকান দল থেকে ১ম প্রার্থী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী; তার ১ম টার্মে, সে যেসব ঘটনা ঘটায়ে গেছে, সে জেলে থাকার কথা; কিন্তু তাকে আজ অবধি জেলে পাঠানোর মতো কোন মামলা কোর্টে আনতে সক্ষম হয়নি বর্তমান ডেমোক্রেট সরকার। ইহার পেছনে শক্ত কারণ হচ্ছে, কংগ্রেস এই ব্যাপারে বিভক্ত; কারণ, সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানরা বুঝে যে, সাধারণ আমেরিকানরা প্রাক্তন কোন প্রেসিডেন্টকে জেলে পাঠানোর জন্য বিশালভাবে আগ্রহী নয়।
২০২১ সালে, পার্লামেন্ট ভবন আক্রমণ নিয়ে ট্রাম্পের সঠিক বিচার হলে, এবং সে জেলে গেলে, তখন আইনীভাবে ভোটে অংশ নিতে পারতো না; এখন কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টটেটিভস'এ রিপাবলিকানরা মেজোরিটি; এখন তার বিচার করতে পারবে বলে মনে হয় না; সময় চলে গেছে।
আরেকটা বড় ফ্যাক্টর হচ্ছে, আফ্রিকান আমেরিকানরা কিন্তু যুদ্ধ-বিরোধী; তারা বাইডেনের দ্বারা ভালোভাবেই এবার উপকৃত হচ্ছে; কিন্তু তারা যুদ্ধ চাহে না; যুদ্ধের অর্থনৈতিক চাপে তারা সহজে কাহিল হয়ে যায়।
কোভিড নিয়ে ট্রাম্পের অবহেলা ও ক্ষমতা ছাড়ার সময় গন্ডগোল করায় বেশ পরিমাণ রিপাবলিকানরা চুপ হয়ে গিয়েছিলো; কিন্তু এখন তারা যুদ্ধের সমালোচনা করার সময়, ট্রাম্পের প্রশংসা করার সুযোগ পাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৬:১০