আমেরিকার সিলিকন ভ্যালির বড় একটি ব্যাংক, "'সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক" ফেইল করেছিলো ২ সপ্তাহ আগে; আপনারা সেটা জানেন; ফার্ষ্ট সিটিজেন ব্যাংক নামে আন্য একটি মাঝারী আকারের আমেরিকান ব্যাংক ফেইল-করা ব্যাংক'টির এসেটের বড় অংশ কিনে নিয়েছে। ফার্ষ্ট সিটিজেন ফেইল-করা ব্যাংক'এর এসেট কেনাতে ব্যাংকটির (ফেইল-করা ব্যাংক ) কাষ্টমারেরা চাপমুক্ত হলো; তারা লেনদেন শুরু করতে পারবে শীঘ্রই।
তবে, এই ব্যাংক ও আরো ৫০ টি ব্যাংকের টেলার ও কয়েক হাজার অফিসারদের চাকুরী চলে যাবে।
ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বাড়ানোতে ২ টি বড় ব্যাংক ফেল করেছে: (১) সিলিকন ভেলী ব্যাংক, এসেট ২১০ বিলিয়ন ডলার (২) সিগনেচার ব্যাংক, এসেট ১১০বিলিয়ন ডলার। সিলিকন ভেলী একটি বড় কাজে নিয়োজিত ছিলো, ইহা "ষ্টার্ট-আপদের" সংগে কাজ করতো; সিগনেচার ব্যাংক কাজ করতো নিউইয়র্ক শহরের "বিল্ডার" ও বড় বড় বাড়ীর মালিকদের সাথে। সিলিকন ভ্যালীর মুল সমস্যা ছিলো "বন্ড পোর্টফোলিও", সিগনেচার মার খাওয়ার পেছনে "ক্রিপটো" কারেন্সী কাজ করেছে পরোক্ষভাবে।
এই মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে, ১৫তারিখের ভেতর ৩য় ব্যাংকের পতন হওয়ার কথা ছিলো, উহার নাম হচ্ছে, ফার্ষ্ট রিপাবলিকান ব্যাংক; ইহার পতন ঠেকায়েছে ১১টি বড় ব্যাংক (ব্যাংক অব আমেরিকা, চেইজ, ওয়েল ফারগো ...), তারা ৩১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে ইহাকে টিকানোর জন্য; আগামী সপ্তাহের মাজে বুঝা যাবে ইহার শেষ রক্ষা হবে কিনা; ৩১ বিলিয়ন দেয়ার পরও ইহার শেয়ারের দাম ক্রমাগতভাবে পড়ছে; ১ মাস আগে ইহার শেয়ারের মুল্য ছিলো ১২২ ডলার; গত শুক্রবারে বন্ধ হয়েছে ১২ ডলারে।
ফার্ষ্ট রিপাবলিকান ব্যাংককে রক্ষা করেছে তার বড় ভাইয়েরা, ইহা ক্যাপিটেলিজমের একটি দিক, এরা নিজেদের মাঝে ঘনিষ্টতা বজায় রেখে চলছে; ফলে, ক্যাপিটেলিজম সহসা ভেংগে পড়ার সম্ভাবনা নেই; ক্যাপিটেলিজম ব্যতিত অন্য কিছু আমেরিকানরা ভাবছে না; তবে, আমেরিকান সমাজ থেকে ফরাসীরা, কানাডিয়ানরা কিংবা স্কেনডেনেভিনারা একটু কম চাপে আছে; তারা ক্যাপিটেলিজমের সাথে সামান্য পরিমাণ সোস্যালিজম মিশায়েছে।
বাংলাদেশ ক্যাপিটেলিজমকেই বেচে নিয়েছে (জেনারেল জিয়ার সময় থেকে), বাংলাদেশের বড় ব্যবসাগুলোও পরোক্ষভাবে পরস্পরকে সাহায্য করছে। কিন্তু বাংলাদেশের "ক্যাপিটেল"টা সংগৃতিত হচ্ছে, অন্যদের অধিকার ও সুযোগ কেড়ে নিয়ে; ইহা সমস্যার সৃষ্টি করে চলেছে; ফলে, ইহার ভবিষ্যত কি হবে বলা মুশকিল। বড় শয়তানদের ক্যাপিটেলে তেমন সমস্যা নেই, এবং এরা মানুষের ন্যুনতম অধিকার হরণ করে না; ফলে, আমেরিকান ক্যাপিটেলিজম সহসা সমস্যার মাঝে পড়ছেনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৪২