ব্রুকলীনে ঈদের নামাজ ৪ মসজিদের অধীনে হয়; বড় মসজিদের জামাত হয় রাস্তার উপর, ওখানে বড় বড় মাওলানারা আসে, বাকী মসজিদগুলো বাহিরে জামাত করে না। আমি যাই সবচেয়ে ছোট মসজিদে, ইহার ইমাম হচ্ছেন ইব্রাহিম হুজুর, তরুণ বয়সে বিএনপি'র ক্যাডার ছিলেন; নিজ দলের আরেক ক্যাডারকে হত্যা করার পর উনার সুমতি হয়েছে, ( কিংবা বিপদে পড়ে ) সুরা, কালাম শিখে ইমাম হয়েছে গেছেন। বিএনপি'র মওদুদ আহমেদ দয়া দেখায়ে ইব্রাহিম হুজুরকে আমেরিকা পাঠায়ে দিয়েছিলো; এখন হুজুর ২ বউ (একজন গায়েনীজ ও অন্যজন বাংগালী ) নিয়ে সুখে শান্তিতে আছেন।
অনেক আগে, আমাদের এলাকার লোকজন একবার উনাকে ইফতারের দাওয়াতে এনেছিলো; উনি সুরা ইত্যাদি পড়ে অপ্রয়োজনীয়ে কিসব আলোচনা করছিলেন, লোকজন কিছু শুনছিলো না; আমি উনার পাশে বসাছিলাম, কানে কানে বললাম নোয়াখলীর মানুষ নিয়ে কিছু বলেন; আমেরিকা, ইহুদী ও খৃষ্টানদের বিপক্ষে কিছু বলবেন না। উনি খুশী হয়ে নোয়াখালীর মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে গল্প করলেন, চট্টগ্রামের মানুষ সব সময় নোয়াখালী নিয়ে উৎসুক, সবাই মনোযোগ দিয়ে শোনায় উনি খুবই খুশী হলেন। এখন উনি আমেরিকা বাংলাদেশ, বিশ্বের উপর বক্তব্য রাখেন। জামাতী টামাতী উনার ওখানে যায় না, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের লোকজন উনার ওখানে যান।
উনার মসজিদ উনি একা চালান, কোন কমিটি টমিটি নেই; অনেক উনার সমালোচনা করতেন; উনি জানায়ে দিয়েছেন যে, উনি এখান থেকে আয় করে পরিবার চালান, উনি একাই যথেষ্ট।
উইকডেগুলোতে ঈদ হলে, উনি সুর্য উঠার পরপরই শুরু করে, ৩০/৪০ মিনিটের মাঝে ৩/৪টা জামাত শেষ করে দেন; যাদের কাজে যাবার দরকার, তারা কাজে চলে যেতে পারে। আজকেও আমি ওখানে জামাতে গিয়েছিলাম; সবকিছু পরিস্কার, সুন্দর কথাবার্তা, সবকিছু বাংলায়। ঘরে ফেরার সময় দেখলাম ম্যাকডোনাল্ড এভেনিউতে বিপুল পরিমাণ মানুষের বিশাল জামাত শুরু হয়েছে; এবার মাইকের আওয়াজ খুব কম, অনেক পুলিশ; ওয়াজ চলছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪১