আমাদের দেশটা শাসনতান্ত্রিকভাবে ধর্ম নিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক দেশ; কিন্তু ইসলামিষ্টরা উহা মানতে রাজী নয়; তারা গণতন্ত্রও মানতে চাহে না, তাদের দরকার ইসলামিক জীবন ব্যবস্হা। দেশ আনার সময়, তারা ছিলো না: তাদের একাংশ জাতির উপর গণহত্যা চালায়েছে, বাকীরা পাকিস্তান চেয়েছে মনেপ্রাণে। পুরো ১ নং সেক্টরে আমি ১ জন মাদ্রাসার ছাত্রকে যুদ্ধ করতে দেখেছি; হয়তো, আরো ২/৪ জন ছিলো, আমি দেখনি। ১ নং সেক্টরের ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ১০/২০ জন মাদ্রাসার মানুষ থাকলে, উহাকে অংশ গ্রহন বলা যায়? বড় বড় মাদ্রাসাগুলো সরাসরি পাকিস্তানী বাহিনীকে সমর্থন করেছে; এখন তারা ইসলামী জীবন ব্যবস্হা চায়। দেশ আনার বেলায় নেই, এখন দেশকে তাদের মতো করে চালাতে হবে। খারাপ হতো না, যদি চালাতে জানতো; কিন্তু কিছুই জানে না, বড় কাজ হচ্ছে বেদুইনদের গল্প করা।
ইসলাম কোথায়ও যাচ্ছে না; দেশের জন সংখ্যার ৮৮ ভাগ মুসলমান, ইসলাম আছে; এই আধুনিক যুগে, দেশকে শাসনতান্ত্রিকভাবে ইসলামিক রিপাবলিক করা যাবে না; দেশে কোন ইসলামিক আইন করা যাবে না। আসলে, অন্য কোন ধর্মের কোন ভালো আইনও এখানে চালু করা যাবে না; দেশ ধর্ম নিরপেক্ষ।
ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ; কংগ্রেস সে'ভাবেই চালিয়েছিলো; এখন মোদী যখন ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে, মোল্লারাও বলে যে, দুষ্টমতি মোদী, "ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে মুসলিম হত্যা করছে"। মুসলমানরা যখন বিপদে, তখন মোল্লারা ভারতেও ধর্মনিরপক্ষতার প্রয়োগ চায়; এদের কোন নীতি আছে?
জামাতের প্রতিষ্ঠা হয়েছে ৮৪ বছর আগে; তদের ইতিহাস, তারা ইসলামিক দেশ চায়; তাদের রাজনৈতিক ইতিহাস হলো, তারা পশ্চিম পাকিস্তানে ( লাহোরে, ১৯৫১ সালে ) ও পুর্ব বাংলায় (১৯৭১ সালে ) গণহত্যা চালায়েছে; তাদের পাওনা তারা পেয়েছে: আমীরদের ফাঁসী হয়েছে, জেল হয়েছে; ভবিষ্যতে তারা একই পথে যাবে; সব আমীরের ফাঁসী হবে।
জামাত ব্যতিত বাকী ইসলামিষ্টরাও সুযোগ খুঁজছে; কিন্তু তারা আধুনিক বিশ্বকে বুঝতে পারছে না, সভ্যতার চাকা সামনের দিকে যাচ্ছে, পেছনের দিকে যাচ্ছে না।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:১২