বিএনপি'র লোকেরা দীর্ঘদিন থেকে বিবিধ দুতাবাসে নালিশ করে আসছে, এবং আমেরিকার কংগ্রেসম্যান, সিনেটরদের ও সরকারের দৃষ্টি আকর্যণ করার জন্য টাকা দিয়ে লবিং করেছে; মনে হয়, উহা কাজ করেছে। আমেরিকার ফরেন ডেস্ক কিছু ব্যবস্হা নিচ্ছে, যা নিয়ে দেশে এখন বেশ বিভ্রান্তিকর অবস্হার সৃষ্টি হয়েছে। ইহা থেকে বিএনপি কোনভাবে লাভবান হবে? মনে হয় না; সম্ভাবনা, দেশের কিছু ক্ষতি হবে মাত্র। আমেরিকার কোন প্রকার চাপের সুযোগে বিএনপি'র ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা আছে? মনে হয় না।
বিএনপি'র দরকার ছিলো দেশের প্রেসিডেন্ট, পিএম ও আওয়ামী লীগের বড় নেতাদের সাথে বসার চেষ্টা করা; তারা তা করেনি। ২ দলের মাঝে সাধারণ ভদ্র-সম্পর্ক না'থাকায় তাদের দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হয়নি। উভয় দলের নেতারা অরাজনৈতিক ভাষায় পরস্পরকে দোষারোপ, চ্যালেন্জ্য, টিটকারী করে শত্রুতার সৃষ্টি করেছে; কোন ধরণের মানসম্মান নেই।
বিএনপি'র ১ দফা দেয়াটা আসলে সরকারকে ভয়ংকরভাবে অবজ্ঞা করে শক্তি প্রয়োগের ঘোষণা মাত্র। যেখানে বিএনপি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেখানে এই ধরণের কোন ঘোষণা কি তাদেরকে সাহায্য করবে? সরকারের পতনই তাদের বিজয় হিসেবে গণ্য হবে; এর থেকে কম কিছু হবে, বিএনপি'র জন্য পরাজয়। বিএনপি কি সবকিছু হিসেবে করে ১ দফার ঘোষণা দিয়েছে? ২০১৬ সালে বেগম জিয়া যেই ১ দফা দিয়েছিলেন, উহার ভারে ইনি নিজেই রোগীর অভিনয় করছেন অনেক বছর।
আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে; এদিকে বিএনপি বলছে, তারা সরকারের পতন ঘটাবে! সরকারের যদি পতন ঘটানো সম্ভব হয়, আমেরিকা ও ইইউ'র সাহায্যের তো দরকার হছে না; সরকার পতনের পর, যারা সরকারে আসবে, তারা যা করতে চায় তাই হবে! তখন যে নির্বাচন হবে, সেটার নিশ্চয়তা কে দিবে?
নভেম্বরে যদি ভোট হয়, এখন থেকে মাঠ যাদের দখলে থাকবে, তারা কোন না কোনভাবে জয়ী হবে। শুরু হতে যাচ্ছে মাঠ দখলে যুদ্ধ, এই যুদ্ধের পর, আমেরিকার ভিসানীতির বা ইইউ'র সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে ভাবার কোন দরকার হবে? সরকারের পতন ঘটাতে পারলে বিএনপি'কে দুতাবাসে দুতাবাসে ঘুরতে হবে না, আমেরিকার ভিসানীতির ব্যাখ্যার দরকার হবে না। আর যদি বিএনপি ১ দফায় ফেইল করে, আমেরিকার ভিসানীতি ধুয়ে পানি খেতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪