
"আমরা ১০ বছরের টার্গেট নিচ্ছি এবং আমি মনে করি, ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমরা প্রতিষ্ঠিত হব, ক্ষমতায় যাব, সরকার গঠন করব।" জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই লক্ষ্য ঘোষণা করেছেন-ইত্তেফাক ডিজিটাল ডেস্ক। মাত্র এক বছর আগে জুলাই আন্দোলনের একজন সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন এমন একজন তরুণ, এখন তিনি একটি নতুন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রার্থী। কিন্তু এটি কি সত্যিকারের সম্ভব?
বিশ্বব্যাপী রাজনীতিতে আমরা দেখেছি কীভাবে ঐতিহ্যবাহী রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে আউটসাইডাররা সফল হয়েছেন।বাংলাদেশের নাহিদ ইসলাম কি এই সারিতে যুক্ত হতে পারবেন? তিনি কি সত্যিই ১০ বছরের মধ্যে এই লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবেন ? নাহিদ দাবি করেছেন যে গণঅভ্যুত্থান তাদের ১০ থেকে ১৫ বছর এগিয়ে দিয়েছে। সাধারণত একটি রাজনৈতিক দল ১০-১৫ বছরে যেখানে পৌঁছায়, এনসিপি ইতিমধ্যে সেখানে পৌঁছে গেছে। তাই ১০ বছর একটি বাস্তবসম্মত লক্ষ্য। তার ভাষায়: "এই কারণে আমি ১০ বছর বলছি। কারণ গণভ্যুত্থান আমাদের ১০ বছর এগিয়ে দিয়েছে, ১৫ বছর এগিয়ে দিয়েছে।"
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন যে নাহিদ ইসলাম প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। তিনি বলেন, "উনার বয়স ২৬, উনি ৭৬ বছরেও প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। সামনে আরও ৫০ বছর আছে। পাঁচটা দশক তার কাছে আছে।" নাহিদ ইসলাম ১৯৯৮ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং মাত্র ২৬ বছর বয়সে ইতিমধ্যে একজন জাতীয় পর্যায়ের নেতা। তার সামনে রয়েছে পঞ্চাশ বছরের রাজনৈতিক সম্ভাবনা।
নাহিদ ইসলাম ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ছাড়াও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান। সরকারে এই অভিজ্ঞতা তাকে প্রশাসনিক দক্ষতা শেখাবে। বিভিন্ন মিডিয়া আউটলেট নাহিদ ইসলামকে আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করছে,। জুলাই আন্দোলনের পোস্টার বয় হিসেবে নাহিদ ইসলামের একটি অনন্য সুবিধা আছে। এখন প্রশ্ন হল - তিনি এই সুবিধা কাজে লাগাতে পারবেন ?
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




