বেগম জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি খুবই নাজুক অবস্থায় আছে। বয়স-ব্যধি আর নানান দুশ্চিন্তা তাঁর মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করছে বলে মনে হয়। অবশ্য আল্লাহর ডাকে আমাদের সবাইকে যেতে হবে আল্লাহর সময় অনুসারে। আজরাইল যখন জান কবজ করতে আসে তখন কারো কোন কিছু করার থাকে না।
বিএনপি-জামায়াত এই মাসের শেষে অথবা অক্টোবরে রাজপথ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। খালেদার মৃত্যু তাদের অনেক বেশি আগ্রাসী করে তুলতে পারে।
ইসলামে যদিও গায়েবানা জানাজার বিধান নাই তবে সম্ভবত বিএনপি-জামায়াতের পুস্তকে আছে।
এক বিএনপি নেতা ঘোষণা দিয়েছেন, ৭ মাস পর তারেক জিয়া দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। এই ঘোষণার সাথে মেজর জিয়ার ঘোষণার সাথে মিল নাই। একজন রেডিওতে দিয়েছেন আরেকজন টেলিভিশনে। একজন চল-চাতুরী করে নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর চেষ্টা চালিয়েছেন নির্লজ্জভাবে। তবে তাঁর ঐ প্রচেষ্টা সফল না হলেও পরবর্তীতে তিনি রাষ্ট্র কব্জা করেছিলেন বন্দুকের নল দিয়ে। যে বন্দুকের নল তাঁর ক্ষমতার উৎস ছিলো আবার সেই বন্দুকের নল তাঁর দেহ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেছিল। কাক কাকের মাংস খায় না, এটা ক্ষমতালোভী সৈনিকদের জন্য প্রযোজ্য নয়। জুয়ার এমন দুর্ভাগ্য যে, স্ত্রী -পুত্র ক্ষমতায় থাকার পরও হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার হয় নি। প্রহসনের বিচারে সেনা আদালতে ১৩ জন সামরিক কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নিজেদের কলুষমুক্ত করতে চেয়েছিলো সেনবাহিনী।
অথচ বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছিল সামরিক বাহিনীর লোকেরা কিন্তু সুযোগ থাকা সত্বেও তাদের কোর্ট মার্শাল করে নি সেনাবাহিনী। বরং তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত করেছে জিয়া-এরশাদ।
এরশাদ অবশ্য রোমান্টিক ছিলেন। প্রবন্ধ লিখে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তাঁর সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা ছিলো না কিন্তু সারোগেসি পদ্বতিতে কবিতা প্রসব করার ক্ষমতা ছিলো।
তারেক জিয়া ক্যান্টনমেন্টে বড় হয়েছেন। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে গ্রেনেড দিয়ে শেষ করার শিক্ষা সম্ভবত সেখান থেকে পেয়েছেন। এখন তার সামনে বড় সুযোগ মায়ের লাশকে ট্রাম্প কার্ড বানিয়ে ক্ষমতায় যাবার।
নিজামী-মুজাহিদের প্ররোচনায় ইন্ডিয়াকে কাবু করতে চেয়েছিলেন। সম্ভবত হারিছ চৌধুরী /ফালু/ তার মামা সাইদ ইস্কান্দার / জেনারেল মাসুদ পরিকল্পনা ফাঁস করে দিয়েছিলেন।