মেলবোর্ন এয়ারপোর্ট এ নামার পর আমার প্রথম চিন্তা হয়েছিল লাগেজ ঠিকঠাক মত পাবো কিনা। ব্যাগ কালেকশন এর সামনে অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থাকার পর অবশেষে আমার দুই লাগেজ এর একটা পেলাম। একটু পর দেখি আর একটা এসে হাজির। তনয় এর কথামত, আসার সময় সাথে করে কিছু দরকারি ঔষধ নিয়ে এসেছিলাম। এমবারকেশন এ যে ফর্ম ফিল আপ করতে দেয় সেখানে লিখা দেখি মেডিসিন সংগে থাকলে ডিক্লেয়ার করতে হবে। আমি ভাবলাম ডিক্লেয়ার করলে আবার ব্যাগ খুলে দেখতে চায় কিনা, আবার আমার মেডিসিনগুলো রেখেছিলাম লাগেজ এর মধ্যে। সেই লাগেজ আবার দড়ি দিয়ে বাধা, তালা মারা। খুলতে বললে অনেক সময় এবং সমস্যা হবে। তাই একটু রিস্ক নিয়ে ফর্মে লিখে দিলাম আমার সাথে কোন মেডিসিন নেই। যা হোক, কাস্টমস এ আমাকে জিগ্গেস করলো, সাথে কোন ফুডস আছে কিনা। আমি বললাম নেই। আমাকে এরপর বললো, ওকে স্যার, উই নিড টু স্ক্যান ইউর ব্যাগস। আমি বললাম, ওকে। ব্যাগ স্ক্যান করতে দিয়ে দিলাম। ব্যাগে কিছু পাওয়া গেল না। আমাকে বললো, ওকে, ইউ ক্যান গো নাউ। আমি থ্যাংকস বলে বের হয়ে আসলাম।
আমার জন্য ইউনিভার্সিটির ঠিক করে দেওয়া গাড়ি আসার কথা। এরাইভাল এ বের হয়ে দেখি একপাশে কিছু ট্যাক্সি ড্রাইভার দড়িয়ে আছে। আমি গিয়ে দেখি তাদের কারো হাতেই আমার নাম লিখা নেই। হ্যান্ডব্যাগ খুলে আমি ইন্সট্রাকশন বের করলাম। ইন্সট্রাকশনে লিখা দেখি সেখানেই থাকার কথা, কিন্তু নেই। এদিক সেদিক খুজাখুজি করছি, আর ভাবছি কিভাবে বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়। এখানকার কোন কিছুই তো আমার চেনা না। একটু পর আবার এরাইভাল এর আগের জায়গাতে এসে হাজির হলাম। হঠাৎ দেখি, ট্যাক্সি ড্রাইভার দের লাইনে একটা নতুন লোক আসলো, হাতে প্ল্যাকার্ড - আমার ইউনিভার্সিটির নাম লিখা। আমি কাছে বললাম, এক্সকিউজ মি, আর ইউ ফ্রম হারলান? হারলান হলো গাড়ির কম্পানীর নাম। ইউনিভার্সিটি থেকে আমাকে বলা হয়েছিল হারলান থেকে গাড়ি যাবে। সে বললো, ইয়েছ, আর ইউ শিবলী। আমি বললাম, ইয়েছ, আই অ্যাম শিবলী। হারলান এর ড্রাইভার বলল, ওকে কাম উইথ মি। হারলান এর ড্রাইভার এর পিছনে পিছনে অনেকদূর যেতে হলো, যেখানে গাড়ি পার্ক করা। গাড়িতে উঠে বসলাম। গাড়ি চলা শুরু করলো। আমি ড্রাইভার কে বললাম - হাউ ফার ইজ দ্য হোটেল ফ্রম হিয়ার? ইটস অ্যারাউন্ড ফরটি টু ফরটি ফাইভ মাইলস। হাউ মাচ টাইম উইল ইট টেক? অ্যারাউন্ড থার্টি মিনিটস। ওকে। পার্কিং ফি দিয়ে, গাড়ি রাস্তায় বের হয়ে আসলো। বের হয়েই দেখি ট্রাফিক জ্যাম। তনয় এর কথামত এখানে ট্রাফিক জ্যাম থাকার কথা না। আমি অবাক হলাম। পরে ভাবলাম, এয়াপোর্ট থেকে অনেক গাড়ি বের হয় তাই হয়তো এই অবস্থা। দেখি আমার কথাই ঠিক, দুই মিনিটের মাথায় হাইওয়েতে উঠে আসলাম। অনেক গাড়ি চলছে। সুন্দর রাস্তা, আমার গাড়ি চলছে প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে। গাড়ির ভেতর থেকে তা অবশ্য বোঝা যায় না। একটু পর ড্রাইভার আমাকে বলে, হোয়ার আর ইউ ফ্রম? বাংলাদেশ, ডু ইউ নো ইট? সে বলল, আই হ্যাভ পিকড সাম বাংলাদেশি স্টুডেন্টস উইদইন এ মান্থ, মোস্ট অব দেম হ্যাভ কাম হিয়ার টু ডু মাস্টার্স অর পিএইচডি। আমি বললাম, ইয়েছ, আই অলছো হ্যাভ কাম হিয়ার টু ডু মাই পিএইচডি। সে বললো, ফার্স্ট টাইম ইন মেলবোর্ন? আমি বললাম, ইয়েছ, ফার্স্ট টাইম এ্যান্ড ফার্স্ট টাইম ইন অস্ট্রেলিয়া ঠু। গাড়ি চলছে। আমি দুই পাশের দৃশ্য দেখছি। রাতের মেলবোর্ন এর সৌন্দর্য উপভোগ করছি। উপভোগ করছি বলা ঠিক হবে না। বাংলাদেশ থেকে মেলবোর্ন এর টাইম ডিফারেন্স ৫ ঘন্টা জানতাম। তাই বাসায় বলে এসেছি যে, বাংলাদেশ টাইম দুপুর আড়াইটায় আমি পৌছাবো। সাড়ে তিনটা থেকে চারটার মধ্যে ফোন করবো। এখানে নেমেই দেখি, বাংলাদেশ টাইম সাড়ে তিনটা বাজে। তার মানে, টাইস ডিফারেন্স আসলে ৪ ঘন্টা। বাসায় চিন্তা করবে। যা হোক, এখন আর চিন্তা করে কি লাভ, আমার হাতে তো আর করার কিছুই নাই। ড্রাইভার কে বললাম, বাই দ্য ওয়ে, হোয়াটস ইউর নেম? সে বলল, ইয়ামেন। আমি বললাম, আর ইউ অস্ট্রেলিয়ান? সে বললো, নো, আই অ্যাম ফ্রম নিউজিল্যান্ড, মেলবোর্ন ইজ অ্যা মাল্টিকালচারাল সিটি, আই হ্যাভ কাম হিয়ার ইলেভেন ইয়ারস এগো। ইউ নো, দেয়ার আর লটস অব অপরচুনিটিস হিয়ার দ্যান নিউজিল্যান্ড। আমি বললাম, ইয়েছ, আই নো। সাম অব মাই ফ্রেন্ডস আর লিভিং হিয়ার। এ্যান্ড আই গট এ ব্রিফ ডেসক্রিপশন এবাউট দিস সিটি বিফোর লিভিং বাংলাদেশ।
অনেকদূর পথ চলে এসেছি, গাড়ি একবারো থামেনি। হঠাৎ গাড়ি দেখি সিগনালে থামলো, আশেপাশে তাকিয়ে দেখি গাড়ির সংখ্যা আগের থেকে বেশি। তখন আমার মনে হলো যে, মেলবোর্ন সিটি মনে হয় মাত্র শুরু হলো। এয়ারপোর্ট হয়ত শহরের বাইরে। ড্রাইভারকে বললাম, সো উই আর হেডিং টুওয়ার্ডস মেলবোর্ন সিটি, অ্যাম আই কারেক্ট? ড্রাইভার বললো, ইয়েছ ইউ আর, উই হ্যাভ জাস্ট এনটারড দ্য সিটি। এখন গাড়ি একটু আস্তে চলছে, আর একটু পর পর সিগনালে থামছে। হঠাৎ ড্রাইভার আমাকে একটা মার্কেট দেখিয়ে বললো, দিস ইজ কুইন ভিক্টোরিয়া মার্কেট। আমি দেখলাম, লিখা আছে কুইন ভিক্টোরিয়া মার্কেট। কিন্তু দেখে মার্কেট মনে হয় না, সুন্দর একটা বিল্ডিং। আমি বললাম, ইজ ইট স্টিল অ্যা মার্কেট? সে বললো, ইয়েছ, নাউ ইউ ক্যান বাই ভেজেটেবলস এ্যন্ড র ফুডস ফ্রম হিয়ার। বুঝলাম এইটা হলো কাচাবাজার। কিছুক্ষণ পর এদিক সেদিক দিয়ে ঘুরে আমার হোটেল এর সামনে এসে গাড়ি থামলো। হোটেল এ ঢুকা মাত্র হোটেল এর রিসেপসনিস্ট আমার দিকে চেয়ে বললো, আই গেজ, ইউ আর মি. শিবলী। আমি বললাম, ইয়েছ আই এ্যম। সে বলল, ওকে দেন, প্লিজ সাইন হেয়ার, আই হ্যাভ অলরেডি প্রিপেয়ার্ড এ ফর্ম ফর ইউ। আমি থ্যাংকস দিয়ে সেই ফর্ম এ সাইন করার পর আমার হাতে রুমের চাবি দিয়ে আমাকে বললো, ওয়ান অব ইউর ফ্রেন্ড হ্যাজ কলড। হিজ নেম ইজ টানায়। আমি বললাম, হোয়াট হি হ্যাজ সেইড, ইজ দেয়ার এনি মেসেজ? সে বললো, হি হ্যাজ আস্কড ইউ টু কল ব্যাক। আমি বললাম, ওকে, আই উইল, ফার্স্ট ক্যান ইউ প্লিজ শো মি মাই রুম।
রিসেপশনিস্ট এর সাথে আমার রুমে আসলাম। রুমের সাথে কোন বাথরুম নেই। একটা কিচেন আছে, একটা শেয়ারড বাথরুম আছে। সবাই তাই ইউজ করে। কিচেন এ নিজে রান্না করার সিস্টেম আছে। আমি বললাম, ডোন্ট ইউ হ্যাভ এনি কুক। রিসেপশনিস্ট আমার দিকে চেয়ে বলল, ইফ ইউ উইশ, ইউ ক্যান টেক মিল ফ্রম আছ, বাট ইউ হ্যাভ টু পে ফর দ্যাট। এপ্রক্সিমেট কস্ট পার মিল ইজ টুয়েনটি ডলারস। এন্ড উই হ্যাভ এ বার ঠু। ইউ ক্যান ইউজ ইট এনিটাইম। আমি বললাম, ওকে, আই এ্যম কামিং ব্যাক ছুন, দেন আই উইল কল মাই ফ্রেন্ড ব্যাক। রুমে ঢুকে দেখলাম, একটা দোতলা খাট, একটা টেবিল, একটা টিভি, একটা আলমারি আছে। আর একটা বাসকেট। যা হোক, আমি আমার লাগেজ রেখে আবার ব্যাক করলাম, রিসেপশনে গিয়ে বললাম, হাউ ক্যান আই ইউজ আ ফোন? রিসেপশনিস্ট আমাকে ফোন দেখিয়ে দিয়ে বলল কিভাবে সেই ফোন ইউজ করতে হবে। আমি তনয় কে ফোন করলাম। এখন আমার হাতে কোন কাজ নেই। তনয় আসলে বাসায় যোগাযোগ করতে হবে। আমি রিসেপশনিস্ট কে বললাম, ক্যান আই ইউজ ইন্টারনেট হিয়ার? সে বলল, সিওর, ইউ ক্যান। হেয়ার ইজ এ লিস্ট অব চার্জেস। আমি দেখলাম, তিরিশ মিনিটের জন্য চার্জ লিখা ৩.৭৫ ডলারস। আমার কাছে মনে হলো, অনেক বেশি চার্জ লিখা। যা হোক, তনয় বলেছিল, সে রাস্তায়, ২০-৩০ এর মধ্যে এসে যাবে। আমি ভাবলাম, একটু রাস্তায় বের হয়ে দেখি কি অবস্থা। বাইরে বের হয়ে দেখি রাস্তায় তেমন লোক নেই। ৫০০ মিটার এর মধ্যে একটা বা দুইটা লোক। মাঝে মাঝে একটা করে গাড়ি যাচ্ছে। তখন বাজে রাত ১০ টার মত। আমার কাছে মনে হলো ঢাকায় রাত তিনটার সময় ও রাস্তায় এর থেকে বেশি লোক দেখা যায়। দূর থেকে দেখলাম, একটা ছেলে আমার দিকে আসছে। দেখেই চিনতে পারলাম, তনয়। অনেকদিন পর দেখা। আমাকে দেখে একটা চকলেট ধরিয়ে দিয়ে বলল, খা। তারপর বলল, তোর মামা ফোন করেছিল, তুই কল ব্যাক কর। আমি বললাম, ওকে, তার আগে রুমে চল। তনয় আমার সাথে রুমে আসলো, আমাকে এটা সেটা দেখিয়ে দিচ্ছে, সেও কিছুদিন আগে এই ইউনিভার্সিটিতে এসেছে। আমার মতই ইউনিভার্সিটির খরচায় এই হোটেল এ ১৫ দিন থেকেছে। সো জিনিসপত্র সব তার চেনা। রুমে ঢুকে আমরা বসলাম। তনয় এর সাথে কিছুক্ষণ কথা বার্তা বলার পর, আমরা বাইরে বের হলাম। তনয় বলল, আয় তোকে কিছু বেসিক জিনিস দেখাই। এইসব এখানে চলতে গেলে লাগবে। আমি বললাম, চল। তনয় আর আমি রাস্তায় বের হয়ে এলাম। এর মাঝে আমার মামার ফোন আসলো, আমার খোজ নেয়ার জন্য। আমার মামার সাথে কথা বলে বললাম যে, আমার বাসায় যাতে ফোন করে বলে, তনয় এর মোবাইলে কল করার জন্য। মামার সাথে কথা বলার কিছুক্ষন পর আমার বাসা থেকে তনয় এর মোবাইলে কল আসলো। বাসায় কথা শেষ করে আমি আর তনয় বের হলাম হেটে ঘুরে দেখার জন্য। কিছুদূর হেটে আসার পর একটা মোড় এ আসলাম। তনয় আমাকে বললো, এখানে রাস্তা পার হওয়ার সিস্টেম আছে। রাস্তার মোড়ে গিয়ে রাস্তা পার হতে হয়। অথবা যেখানে রাস্তা পার হওয়ার জন্য সিগনাল থাকে। সিগনাল অথবা রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাস্তা পার হওয়ার জন্য বোতাম আছে। সেই বোতাম চেপে ওয়েট করতে হয়। একটু পরে সিগনাল দেয় রাস্তা পার হওয়ার জন্য। সেই সিগনাল দিলে রাস্তা পার হতে হয়। নইলে গাড়ির নিচে পড়ার চান্স আছে। একটু এগিয়েই তনয় আমাকে একটা ট্রেন স্টেশনে নিয়ে গেল। গিয়ে দেখলাম, স্টেশনে কোন লোক নেই। আমি বললাম, টিকেট কাটা লাগে না? সে বলল, টিকেট কাটা লাগে, তবে এই স্টেশনে টিকেট পাওয়া যায় না। টিকেট নাকি অন্য স্টেশন থেকে কাটা লাগে। আমি বললাম, ও আচ্ছা। পুরা স্টেশনে আছে বলতে একটা ডিসপ্লে। সেখানে নেক্সট ট্রেন কয়েকটার নাম লিখা। তনয় আমাকে বললো কিভাবে ট্রেন এ উঠতে হয়। এরপর স্টেশন থেকে বের হয়ে আসলাম একটা সুপার শপ এ। কোলস নাম। এখানে এসে, দেখলাম একটা ডোর বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য একটা ডোর দিয়ে ঢুকতে বলা হয়েছে। আমরা অন্য একটা ডোর দিয়ে ঢুকলাম। কোলস থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনলাম। সবই আমার খাবার এর জন্য। জিনিসপত্র হোটেল রুমে রেখে আবার বের হলাম। আমি বললাম, আমার একটা মোবাইল ফোন দরকার। তনয় বললো, তোর জন্য আমি একটা কলিং কার্ড এনেছি। কলিং কার্ড দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কল করা যায়। আমি বললাম কিভাবে? তনয় বললো, দাড়া, আমি তোকে দেখিয়ে দিচ্ছি। আমরা আরো কিছুক্ষণ রাস্তায় কথা বললাম। তনয়কে বললাম, আগামিকাল ইউনিভার্সিটিতে যেতে চাই। কিভাবে যাবো সেইটা বল। ও বলল, তোর আগামিকাল ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার দরকার নাই। তোর জয়েনিং তো ৩ তারিখ। আমি বললাম, তাতে কি? আমি আগামিকাল ই যেতে চাই। ও বলল, কালকে ঘুমা বেটা। জার্নি করে এসেছিস। ঘুম দরকার আছে। আমি বললাম, প্লেনে তো ঘুমাইয়াই কাটাইলাম। যা হোক রাত বেড়ে যাচ্ছে। তনয় এর চলে যাবার সময় এসে গেছে। আমি বললাম, যাওয়ার আগে ফোন করার সিস্টেম দেখিয়ে দিয়ে তারপর য়া। তনয় আমাকে ফোন করার সিস্টেম দেখিয়ে দিয়ে বলল তোর জন্য আমি ৫০ সেন্ট এর দুইটা কয়েন নিয়ে এসেছি। একবার ফোন করতে একটা কয়েন লাগে। আমি বললাম, ওকে। তারপর পরেরদিন কি কি করবো সেটা তনয় এর সাথে ডিসকাস করতেছি এর মাঝে তনয় বলল আর যাই করিস, রাতে বাইরে থাকিস না। আমি বললাম, কেন? সে বলল, ফ্রাইডে নাইট অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে ঈদের মত। এরা ড্রিংক করে রাস্তায় বের হয়। বের হয়ে এইটা সেইটা করে। মাঝে মাঝে উল্টাপাল্টা করে। আমি বললাম, ওকে ঠিক আছে, আমি সন্ধ্যার আগেই হোটেল এ চলে আসবো। তারপর ফোন করে বাসায় কথা বললাম। একবার কলিং কার্ড দিয়ে ডায়াল করলে অনেকক্ষন কথা বলা যায়। বিভিন্ন নাম্বারে ৩০০ মিনিট এর মত। আমি প্রায় ৯০ মিনিটের মত কথা বললাম।
কথা বলা শেষ করে হোটেল এ ফিরে দেখি কিচেন বন্ধ। রাত ১১ টায় বন্ধ হয়ে যায়। আমি দেখি বিপদ। তনয় আমার জন্য একটা মিল নিয়ে এসেছিল। সেইটা গরম করতে পারলে খাওয়া যেত। আমি কলা, বিস্কুট, আপেল খেলাম। খেয়ে দেখলাম করার কিছু নেই। ইন্টারনেট নেই, মোবাইল নেই। ঘুম ছাড়া আর কিছু করার নেই। তাই ঘুমিয়ে পড়াই ভালো মনে করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
ফিরিঙ্গিদের দেশে - ১০
ফিরিঙ্গিদের দেশে - ৯
ফিরিঙ্গিদের দেশে - ৮
ফিরিঙ্গিদের দেশে - ৭
ফিরিঙ্গিদের দেশে - ৬
ফিরিঙ্গিদের দেশে - ৫
ফিরিঙ্গিদের দেশে - ৪
ফিরিঙ্গিদের দেশে - ৩
ফিরিঙ্গিদের দেশে - ২
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




