জ্বী না দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আমি চটকদার হেডিং দিইনি, ঘটনাটি খোদ বাংলাদেশেরই বাস্তব একটি ঘটনা থেকে নেয়া। আর ধর্ম অবমাননা করা আমার উদ্দেশ্যে নয়, পোস্ট'টি করার উদ্দেশ্য হচ্ছে; অধার্মিকরা নয় বরং ধার্মিকরাই ধর্ম অবমাননা করে বেশি তা প্রমাণ করা। প্রথমে এই ভিডিওটি একবার দেখে আসুন তাহলে সব বুঝতে পারবেন। এই ব্লগের সবাই কমবেশি জ্ঞানী, অন্তত মেইনস্ট্রিম সোসাইটির অফলাইন পিপলদের চেয়ে হাজার-গুন ইনফরমেশন বেশি রাখেন, কাজেই আশা করি এই পোস্টের কারণে আমার প্রতি কেউ রাগারাগি করবেন না।
কথা হচ্ছে- মসজিদের দানবাক্স চুরি, মাইক চুরি, ফ্যান চুরি, ইমাম সাহেবের সাইকেল চুরি, মুসুল্লিদের জুতা চুরি এসব ঘটনার সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত, কিন্তু কুরআন শরীফের ভিতর গাঁজা রাখার ঘটনা আপনি হয়তো আজই প্রথম শুনলেন, ঘটনাটি আমার জন্যও নতুন তাই ব্লগে তুলে দেয়া । লোকটি কতটা জঘন্য প্রকৃতির হলে নিজ ধর্মগ্রন্থের ভিতরে গাঁজা রাখতে পারে তা আমি ভাবছি!! এমন একটি লোকের দ্বারা যে কোন ধরণের ক্রাইম করা সম্ভব। এতদিন আমার বিশ্বাস ছিল একজন মুসলিম যত-বড় চোর, বাটপার, জঘন্য প্রকৃতির অথবা যত-বড় রাজনীতিবিদ'ই হোক না কেন সে কখনো নিজ ধর্মগ্রন্থের বা কুরআনের অবমাননা করতে পারে না, কিন্তু এই লোকটি এখন আমার সে বিশ্বাসও ভেঙ্গে দিয়েছে। আসলে "চোরে না শুনে কোন ধর্মের কাহিনী" কথাটি আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই সত্য। চোর, ছ্যাঁচোর, হীনতা আর নিচুতায় পূর্ণ আজ বাংলার আকাশ বাতাস।
আসলে আমি যা বলতে চাচ্ছি তা হচ্ছে- উপরোক্ত ওইসব ঘটনাগুলোর সবগুলো ধার্মিকেরাই করেছে বা করে, অধার্মিক বা ধর্মে অবিশ্বাসী কোন ব্যক্তি কখনো মসজিদের দানবাক্স চুরি, জুতা চুরি, ফ্যান চুরি অথবা কুরআন শরীফের ভিতর গাঁজা রাখার মত ঘটনা ঘটিয়েছে তা আজ পর্যন্ত আমি দেখিনি বা শুনিনি। এমনকি ধর্মে অবিশ্বাসী কোন লোক আজ পর্যন্ত মসজিদের ইমাম সাহেবের সাইকেলও কোন-দিন চুরি করেনি, এমন ঘটনা বাংলার ইতিহাসেই নেই। সুতরাং, আমার অভিযোগের তীর হচ্ছে ধার্মিকদের প্রতি, অধার্মিকরা নয় বরং ধার্মিকরাই ধর্মের অবমাননা করে বেশি আমি আজ তা প্রমাণ করে দিলাম।
কুরান হচ্ছে মুসলিমদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় বুক, দল মত নির্বিশেষে কুরআনের ব্যাপারে সবাই একমত। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী বই'টি স্বয়ং ঈশ্বর (আল্লাহ) এর কাছ থেকে অবতীর্ণ আর তাই বইটির প্রতি রয়েছে সকলের অগাধ বিশ্বাস, ভক্তি ও ভালোবাসা, কুরআনের স্থান হচ্ছে প্রতিটি মুসলিমের হ্রদয়ে, এমন একটি ডিভাইন গ্রন্থের মধ্যে গাঁজার মত মাদকদ্রব্য রাখতে পারে কোন মুসলিম যা সত্যিই কল্পনাতীত। তবে কুরআনের ঠিক কত নাম্বার পৃষ্ঠায় বা কোন সূরার মধ্যে সে গাঁজা রেখেছিল সে ব্যাপারে অবশ্য কিছু জানা যায় নি, আশা করি লোকটির নিশ্চয়ই অনেক বড় শাস্তি হবে।
ব্লগের কেউ যদি অভিযোগ করে- এটি একটি বিরল ঘটনা, একটি মাত্র বিরল ঘটনা নিয়ে আমি ব্লগে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করতেছি, তাহলে কিন্তু হবে না। আমি নিজে খোদ ঢাকার একটা এরিয়ার অনেকগুলো লোকদের চিনি এবং জানি যারা উক্ত ভিডিওর লোকটির মত, গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল এবং ধর্মের নেশায় আক্রান্ত, এসব নিয়ে পোস্ট করলে "মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কমিশন' আমার পিছু লাগবে, তাই এসব ঝামেলায় আমি জড়াতে চাই না।
আর হ্যাঁ, এখন কেউ যদি ফ্যালাসি করে বলেন- "ইসলামের কোথাও বলা নেই কুরআন শরীফের ভিতর গাঁজা রাখতে হবে, বা মসজিদের দানবাক্স, জুতা চুরি করতে হবে, অথবা ইমাম সাহেবের সাইকেল চুরি করতে হবে সুতরাং যারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কেউই ধার্মিক বা মুসলিম নয়, এরা সবাই নাস্তিকদের এজেন্ট" তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।
আবার কেউ যদি বলেন- শিশুদের বলৎকার করতে হবে এ কথা কুরআন, হাদিসের কোথাও উল্লেখ নেই সুতরাং যে সকল হুজুরগণ শিশুদের বলৎকার করে তারা কেউ'ই মুসলিম নয়; এরা সবাই ইহুদী, নাসারাদের এজেন্ট তাহলেও আমার আর কিছু বলার নেই। ইদানীং বাংলাদেশ, পাকিস্তান আর আফগানিস্তানে প্রচুর পরিমাণে শিশু বলৎকারের ঘটনা বেড়ে গেছে, অবশ্য এই পোস্ট শিশু বলৎকারের বিষয় নিয়ে নয় সুতরাং এ বিষয়ে আর কথা না বড়াই।
আমাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, হ্যাপি ব্লগিং।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৭