গত সেপ্টেম্বর মাসে ইমন জুবারের ৫টি পোস্ট নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম । মূলত ইচ্ছে ছিল ইমন জুবায়ের এবং তার লেখাকে আবার ব্লগারদের মাঝে নিয়ে আসা । প্রতি মাসে অন্তত একটা করে পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছে ছিল । কিন্তু তারপর থেকে এমন ব্যস্ত হয়ে গেলাম নিজের কাজ কর্ম নিয়ে যে অন্য কোন দিকে খেয়াল দেওয়ার সময়ই পেলাম না । এর ভেতরে ব্লগে যা পোস্ট করেছি সবই আগে লেখা ছিল । নতুন করে লেখা কিংবা পড়ার সময় হয়েছিলো খুব কম । এখন আবার ব্যস্ততা কমেছে । তাই আবারও পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম । এই রকম আরও একটা পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছে আছে মাসের শেষের দিকে । গত মাসেরটা পুষিয়ে দেওয়ার জন্য ।
আসুন আবার নতুন করে ইমন জুবায়েরকে চিনি । যারা তাকে চিনেন না, তাকে নতুন করে চিনে নিন আর যারা তাকে চিনেন তাকে আবারও চিনুন তার লেখার মাধ্যমে ।
আজকের প্রথম পোস্টটা সপ্তম শতকের আচার্য শান্তিরক্ষিতকে নিয়ে । সত্যিই বলতে মুন্সগঞ্জের অতীশ দিপংকরের কথা আমি খুব ভাল করেই জানি । নিজ জেলার একজন গুণী মানুষের কথাটা না জানা অন্যায়ের ভেতরে পড়ে । কিন্তু অতীশ দিপংকরের কথা আমি জানলেও তারও আগে আরও একজন জ্ঞানী মানুষের জন্ম হয়েছিলো সেটা আমার জানা ছিল না । জানতে পারলাম পোস্ট টি পড়েই । আমি নিশ্চিত আপনাদের অনেকেই শান্তিরক্ষিতের নাম শোনে নি আমারই মত । পোস্টটা পড়ে ফেলুন । জানতে পারবেন অনেক কিছু ।
পোস্ট লিংক যারা ভালোবেসে আলো জ্বেলেছিল
পিথাগোরাসকে আশা করি বাংলার শিক্ষিত মানুষেরা খুব ভাল করে চিনে । বিশেষ করে গণিতে যাদের ভীতি, তারা এই ভদ্রলোকের নাম কোন দিন ভুল বলে মনে হয় না । উপপাদ্য ২৩ এর প্যারা খায় নি এমন পাবলিক খুব কমই আছে । পিথাগোরাস একজন গ্রীক গণিতবিদ এবং দার্শনিক । গণিত এবং সংগীতে তার গুরুত্বপূর্ন আবিস্কার রয়েছে । ইমন জুবায়েরের এই পোস্ট অবশ্য সেটা নিয়ে নয় । এই পোস্টটা পিথাগোরাসের একটা অন্ধকার দিক নিয়ে । পোস্ট টি পড়ে আসুন নিচের লিংক থেকে ।
পিথাগোরাস-এর অন্ধকার দিক
মিশরের একজন ফারাও ছিলেন চতুর্থ আমেনহোটেপ । তিনি মূলত মিশরে একেশ্ববাদের প্রচলন করেন । যখন তিনি মিশরের ফারাও ছিলেন তখন মিশরের মূলত আমুন-রের উপাসনা প্রচলন ছিল । মিশরের প্রাচীনতম দেবতা হচ্ছেন আমুন রে । তাকে হিবস নগরের রক্ষা কর্তা মনে করা হত । ফারাও তখন আমুন রে দেবতার পরিবর্তে আলোর জীবন দানকারী শক্তি "আতেন" এর উপাসনার সিদ্ধান্ত নেন । এতে মিশর জুড়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয় । শত শত আমুন রে পন্থীরা ফারাওয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তবে এতে ফারাও মোটেও পিছপা হন নি । বরং তিনি আমুন রে পন্থী অনুসারীদের হত্যা করার নির্দেশ দেন ।
পোস্টটি পড়তে আতেন-এর জন্য রক্তপাত!
২০০৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরুস্কার পান ফ্রান্সের জ্যঁ-মারি গুস্তাভ ল্য ক্লেজিও। তিনি এক বিরল আত্মার মানুষ। একেবারেই ভিন্ন মানুষ। পশ্চিমের মানুষ হলেও তাঁর আত্মাটির গড়ন প্রাচ্যের ন্যায় মরমী । কেননা, এক সাক্ষাৎকারে ক্লেজিও বলেছেন: পশ্চিমা সংস্কৃতি বড্ড দানবিক হয়ে উঠেছে। শাহরিক এবং প্রাযুক্তিক দিকগুলির প্রতি এতটা গুরুত্ব দিচ্ছে যে এর মধ্যে দিয়ে ধর্মীয় বা আনুভূতিক প্রকাশমাধ্যমের সম্ভাবনাকে দমিয়ে রাখছে এই সংস্কৃতি। যুক্তিবাদের নাম করে মানুষের অজ্ঞাত ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করা হচ্ছে এর মধ্য দিয়ে। আর এ-সচেতনতাই আমাকে অন্যান্য সভ্যতার প্রতি আকৃষ্ট করেছে। সম্পূর্ন পোস্টটি পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন ।
জয়তু ক্লেজিও
যদিও প্রতি পর্বে ৫টি করে পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু পরের পরে মোট ৫টা পোস্ট আলাদা ভাবে যোগ করে দিলাম । মূলত এগুলো সব একটা পর্বের সিরিজ পর্ব । এখানে ইমন জুবায়ের অভ্যন্তরীন পর্যটন সম্পর্কে একটা চমৎকার আইডিয়ার কথা উল্লেখ করেছেন । ব্যাপার পড়ার পরে আমি বেশ কিছু সময় চিন্তা করলাম । সত্যিই তো আমাদের সবাইকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য কেবল কক্সবাজার আর বান্দরবান কেন যেতে হবে ! এমন কিছু করা গেলে তোও মনের বাষ্প দুর করা সম্ভব !
পোস্ট গুলো একে একে পড়ুন । আপনিও ভাববেন এমন করে আশা করি ।
আমরা কি অভ্যন্তরীন পর্যটনের কথা ভাবতে পারি?
আমরা কি অভ্যন্তরীন পর্যটনের কথা ভাবতে পারি? (২)
আমরা কি অভ্যন্তরীন পর্যটনের কথা ভাবতে পারি? (৩)
আমরা কি অভ্যন্তরীন পর্যটনের কথা ভাবতে পারি? (৪)
আমরা কি অভ্যন্তরীন পর্যটনের কথা ভাবতে পারি? (৫)
আজকের পোস্ট আপাতত এখানেই শেষ । ইমন জুবারের আরও ৫টি পোস্ট নিয়ে হাজির হব খুব জলদি ।
ইমন জুবারের পোস্ট পড়ুন । তাকে চিনুন তার পোস্ট তার লেখার মধ্য দিয়ে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪১