somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

সূরা ইব্রাহিম

০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সূরা ইব্রাহীম কুরআনের চৌদ্দ তম সূরা।
এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৫২ টি। এ সূরায় ইব্রাহীম জীবন বৃত্তান্ত বর্ণনা করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে মানুষের ভালো ও মন্দ কাজের প্রতিদান হিসেবে পুরস্কার ও শাস্তি দেয়ার লক্ষ্যে কেয়ামতের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সেখানকার বিচারপতি থাকবেন সর্বশক্তিমান আল্লাহ। নবী রাসূলগণ যে শিক্ষা দিয়েছেন এবং তাদের প্রতি যে কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিজ্ঞজনদের জন্য রয়েছে শিক্ষণীয় বিষয় এবং অপরাধী ও সীমা লংঘনকারীদের জন্য রয়েছে সতর্কবার্তা। নবী রাসূলগণ না আসলে মানুষ অজ্ঞতায় ডুবে যেতো এবং যে কোন পাপাচার ও ভ্রান্তির দিকে পা বাড়ানোর পথে কোন প্রতিবন্ধকতা থাকতো না। সূরা ইবরাহীম অনলাইনে পড়তে চাইলে।

সুরা ইব্রাহিমের ৩৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলছেনঃ
'(স্মরণ কর সে সময়ের কথা) যখন ইব্রাহীম বললেনঃ হে পালনকর্তা, এ শহরকে তথা মক্কাকে শান্তিময় ও নিরাপদ করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তান-সন্ততিকে মূর্তি পূজা থেকে দূরে রাখুন।'
মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে সংগ্রামে অভিজ্ঞ হযরত ইব্রাহীম (আ.) সত্য-সন্ধানী মানুষের হৃদয়কে তৌহিদের বাণীর মাধ্যমে আলোকিত করেছেন এবং অজ্ঞতার আঁধারে ডুবে-থাকা একদল মানুষকে আলোর পথে এনেছেন। বিবি হাজরার গর্ভে ইব্রাহিম (আ.)'র পুত্র ইসমাইল (আ.) জন্ম নেয়ায় এই মহান নবীর প্রথম স্ত্রী ইর্ষান্বিত হয়ে পড়েন। ফলে মহান আল্লার নির্দেশে হাজরা ও শিশু ইসমাইলকে পাথুরে-পাহাড়ে ভরা মক্কার শুকনো ও তপ্ত প্রান্তরে রেখে আসেন ইব্রাহিম নবী। পানিশুন্য এ অঞ্চলে ঘাসও জন্মাত না। তৃষ্ণার্ত শিশুকে পানি দেয়ার জন্য মা হাজেরা এখানে ওখানে অনেক ছুটাছুটি করতে থাকেন। ফলে আল্লাহর ইচ্ছায় ইসমাইলের পায়ের নীচ থেকে উথলে ওঠে জমজম নামক ঝর্ণা। পানির সন্ধান পাওয়ায় মরূচারী গোত্র গুলো এখানে বসতি গড়ে তোলে। মহান আল্লাহ'ই চেয়েছিলেন এ অঞ্চলটি ইবাদতের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠুক। মহান আল্লাহর নির্দেশে ইব্রাহিম (আ.) পুত্র ইসমাইলের সহায়তায় এখানে কাবা ঘরের ভিত্তি গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ওই দোয়াসহ ও নানা মুনাজাত পেশ করেন আল্লাহর দরবারে। একত্ববাদের এই কেন্দ্রে তথা কাবাঘরে ইবাদত করতে বিশ্বাসীদের আহ্বান জানান ইব্রাহিম (আ.)।

আমাদের মনে রাখা দরকার-
আল্লাহ্ তা’আলা যা চান, তাই করেন। তিনি চাইলে কাউকে তাওফীক দেন, কাউকে তাওফীক থেকে বঞ্চিত করেন। কাউকে সুদৃঢ় রাখেন। কাউকে পদস্খলিত করেন। কাউকে আযাব দেন, কাউকে পথভ্রষ্ট করেন। তাঁর ইচ্ছাকে রুখে দাঁড়ায়, এমন কোন শক্তি নেই। উবাই ইবনে কা’ব, আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ, হুযাইফা ইবন ইয়ামান প্রমুখ সাহাবী বলেনঃ মু’মিনের এরূপ বিশ্বাস রাখা অপরিহার্য যে, তার যা কিছু অর্জিত হয়েছে, তা আল্লাহ্‌র ইচ্ছায়ই অর্জিত হয়েছে। এটা অর্জিত না হওয়া অসম্ভব ছিল। এমনিভাবে যে বস্তু অর্জিত হয়নি, তা অর্জিত হওয়া সম্ভব ছিল না। কুরআনে বর্ণিত জাতিগুলোর পরিণতি থেকে শিক্ষা নেয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এছাড়া কাফেররা গোঁড়ামি ও একগুয়েমির কারণে সত্যের সন্ধান পায়নি এবং হেদায়াত থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

অবিশ্বাসীরা নবী রাসূলদেরকে তাদের বক্তব্য সঠিকভাবে উপস্থাপনের সুযোগ দিত না। তাদের এই কাপুরুষোচিত কাজের জবাবে নবী রাসূলগণ বলতেন, তোমরা হয়তো আমাদের অস্বীকার করতে পারছো, কিন্তু তোমরা কি আল্লাহকেও অস্বীকার করতে চাও? তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং এখন সঠিক পথের দিকে আহ্বান করছেন। যদি সে আহবানে সাড়া না দাও তবে নির্দিষ্ট সময়ের পর আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে তওবা করার সুযোগটুকুও পাবে না। তখন তোমাদেরকে আল্লাহর মহাক্রোধে পড়তে হবে। কাজেই সময় থাকতে সত্য গ্রহণ করে আল্লাহর ক্ষমা লাভের যোগ্যতা অর্জন করো।


আগের পোষ্ট গুলোঃ

১। সূরা আল ফাতিহা
২। সূরা বাকারা
৩। সূরা আল ইমরান
৪। সূরা আন নিসা
৫। সূরা মায়েদা
৬। সুরা আন’য়াম
৭। সূরা আল আরাফ
৮। সূরা আনফাল
৯। সূরা আত-তাওবা
১০। সূরা ইউনুস
১১। সূরা হুদ
১২। সূরা ইউসুফ
১৩। সূরা রাদ
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫৩
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×