মৃত্যুর পর মানুষ আবার প্রাণ ফিরে পাবে, আবার জীবন শুরু করতে হবে, সেজন্য মৃত্যুর পর, দেহটাকে পঁচতে দেয়া যাবে না, উহাকে রক্ষা করতে হবে; সেই কারণেই 'মমি' তৈরি করা হতো; মৃতদেহের সাথে প্রয়োজনীয় ধনরত্নও দেয়া হতো। প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার এই বিরাট ধারণাটা ভুল ছিলো।
মিশরীয়রা অনেক দিক থেকে উন্নত ছিলো, তরা জানতো যে, মৃত্যুর পর মানব দেহ ধ্বংশ হয়ে যায়; মৃত্যুর পর যদি বাঁচতে হয়, দেহকে সংরক্ষণ করার দরকার, সেটা তাদের ভাবনায় ছিলো; কিন্তু সংরক্ষিত দেহের যেই ফিজিওলোজিক্যাল অবস্হা হয়, উহাতে কি নতুন করে প্রানের সন্চার সম্ভব? সেই বিষয়ে তাদের সঠিক ধারণা ছিলো না।
মিশরীয়রা ৩৫০০ বছর আগের থেকে মমি তৈরি করে, উহাকে পিরামিডে ও বিভিন্ন সমাধিতে সংরক্ষণ করছিলো; শুরুতে তারা যেসব মমি তৈরি করেছিলো, সেগুলো যখন জীবন ফিরে পায়নি; তখন তাদের পুণর্জীবন প্রাপ্তির থিওরী অসার বলে প্রমাণিত হয়েছিলো; এরপরও কেন তারা মমি তৈরি করে যাচ্ছিলো? এখানে কি অন্য কোন রূপকথার ভাবনা যোগ করা হয়েছিলো!
মিশরীয়রা না বুঝলেও আমরা বুঝতে পারছি যে, কোন মমিতে নতুন করে জীবনের সন্চার ঘটেনি; মমির সাথে দেয়া ধনরত্ন ডাকাতী হয়ে গেছে; এখন অনেক মমি ইউরোপ, আমেরিকার যাদুঘরে স্হান পেয়েছে।
ইহুদীদের ইতিহাস যদি পুরোটা সঠিক হয়, তা'হলে হযরত মুসা (আ: ) ও ততকালীন ফেরাউনের মাঝে ধর্ম নিয়ে অনেক দ্বন্দ হয়েছে; অবশ্যই মুসা (আ: ) ফেরাউনদের ধর্মকে পছন্দ করেননি। মুসা (আ: ) কিন্তু হিব্রুতে লিখতে, পড়তে পারতেন; মিশরীয়দের বর্ণমালা (কাউয়ার ঠ্যাং, বকের মাথা) ইত্যাদি থেকে অনুমান করা সম্ভব যে, মুসা (আ: ) মিশরীয়দের থেকে কম বিদ্যাবুদ্ধির অধিকারী ছিলেন না, এবং তিনি এসব মমি, মুমি পছন্দ করেননি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১১:২৪