somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফেরাওনরা বিশ্বাস করতো, মৃত্যুর পরেও জীবন আছে

১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১০:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মৃত্যুর পর মানুষ আবার প্রাণ ফিরে পাবে, আবার জীবন শুরু করতে হবে, সেজন্য মৃত্যুর পর, দেহটাকে পঁচতে দেয়া যাবে না, উহাকে রক্ষা করতে হবে; সেই কারণেই 'মমি' তৈরি করা হতো; মৃতদেহের সাথে প্রয়োজনীয় ধনরত্নও দেয়া হতো। প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার এই বিরাট ধারণাটা ভুল ছিলো।

মিশরীয়রা অনেক দিক থেকে উন্নত ছিলো, তরা জানতো যে, মৃত্যুর পর মানব দেহ ধ্বংশ হয়ে যায়; মৃত্যুর পর যদি বাঁচতে হয়, দেহকে সংরক্ষণ করার দরকার, সেটা তাদের ভাবনায় ছিলো; কিন্তু সংরক্ষিত দেহের যেই ফিজিওলোজিক্যাল অবস্হা হয়, উহাতে কি নতুন করে প্রানের সন্চার সম্ভব? সেই বিষয়ে তাদের সঠিক ধারণা ছিলো না।

মিশরীয়রা ৩৫০০ বছর আগের থেকে মমি তৈরি করে, উহাকে পিরামিডে ও বিভিন্ন সমাধিতে সংরক্ষণ করছিলো; শুরুতে তারা যেসব মমি তৈরি করেছিলো, সেগুলো যখন জীবন ফিরে পায়নি; তখন তাদের পুণর্জীবন প্রাপ্তির থিওরী অসার বলে প্রমাণিত হয়েছিলো; এরপরও কেন তারা মমি তৈরি করে যাচ্ছিলো? এখানে কি অন্য কোন রূপকথার ভাবনা যোগ করা হয়েছিলো!

মিশরীয়রা না বুঝলেও আমরা বুঝতে পারছি যে, কোন মমিতে নতুন করে জীবনের সন্চার ঘটেনি; মমির সাথে দেয়া ধনরত্ন ডাকাতী হয়ে গেছে; এখন অনেক মমি ইউরোপ, আমেরিকার যাদুঘরে স্হান পেয়েছে।

ইহুদীদের ইতিহাস যদি পুরোটা সঠিক হয়, তা'হলে হযরত মুসা (আ: ) ও ততকালীন ফেরাউনের মাঝে ধর্ম নিয়ে অনেক দ্বন্দ হয়েছে; অবশ্যই মুসা (আ: ) ফেরাউনদের ধর্মকে পছন্দ করেননি। মুসা (আ: ) কিন্তু হিব্রুতে লিখতে, পড়তে পারতেন; মিশরীয়দের বর্ণমালা (কাউয়ার ঠ্যাং, বকের মাথা) ইত্যাদি থেকে অনুমান করা সম্ভব যে, মুসা (আ: ) মিশরীয়দের থেকে কম বিদ্যাবুদ্ধির অধিকারী ছিলেন না, এবং তিনি এসব মমি, মুমি পছন্দ করেননি।



সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১১:২৪
২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×