**** কোন এক মগজহীন পোষ্টটাকে রিফ্রেশ করছে, মনে হয়।*****
রাজনীতি করা সব সময় কষ্টকর ছিলো, শেখ সাহেবর মতো মানুষকে প্রান দিতে হয়েছে, মওলানা ভাসানীকেও অনেকবার জেলে যেতে হয়েছে, নেতাজী সুনাস বসু বাতাসে মিশে গেছেন, ভুট্টোর ফাঁসী হলো, ইন্দিরা গান্ধীকে অগ্রিম স্বর্গবাসী হতে হয়েছে। এখন বাংলাদেশের কোন রাজনীতিবিদ ব্লগারদর ভোট পাবেন? আমার ধারণা, কেহ পাবেন না; ব্লগার নুরু সাহবের ভোট পেতে হলে, হয়তো, আমাকেই ভোটেই দাঁড়াতে হবে; গণনা শেষে দেখা যাবে যে, ১ ভোট পেয়েছি।
শেখ সাহেব যে ১৯৭০ সালে ভোট পেয়েছিলেন, উহা সহজ ব্যাপার ছিলো না, তখন তিনি দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, সারা দেশ চষে বেড়ায়েছেন: আজকে কক্সবাজার, পরেরদিন রংপুর, এরপরের দিন ভোলা; অবশ্য, সেই সময়ে ভোট পাওয়াটা উনার জন্য কিছুটা সহজ হয়েছিলো, মানুষ উনাকে ভোট দিতে চেয়েছিলেন; মানুষ তখন পাকিস্তান-বিরোধী, মুসলিম লীগ ও মোল্লা-বিরোধী ছিলেন। আপনি পারতেন এসব? এগুলো কষ্টকর কাজ।
বাংগালীরা মনপ্রাণ থেকে ১ জনকে ভোট দিতে দেখেছি আমি, উনি হলেন, বেগম খালেদা জিয়া; ৫ সীটে দাঁড়ায়েও ভোট পেয়েছেন; শেখ হাসিনার সৌভাগ্য যে, বেগম জিয়া ৩০০ সীটে দাঁড়াননি; দাঁড়ালে খবর হয়ে যেতো; শেখািনা তো শেখ হাসিনা, উনার বাবার কি অবস্হা হতো, সেটা দেখার ব্যাপার হয়ে যেতো।
আওয়ামী লীগের নেতা সবগুলোকে তো আপনারা চেনেন, এরা মানুষ থেকে ভোট নিতে পারবে? আজকে তোফায়েল আহমেদ ভোলা গিয়ে দেখুক, ভোটপাবে? ভোটের বদলে শুধু ঢিল পড়বে। ড: হাছানের নিজ এলাকা বলে কিছু আছে নাকি? আসলে, আওয়ামী লীগে যদি নতুন কোন নবীর জন্ম হয়, তিনিও ভোট পাবেন না, হয়তো।
বাংলাদেশে রাজনীতি বিশ্বের সব এলাকা থেকেই কঠিন; এখানে রাজনীতি করে ভোট পাওয়া মোটামুটি অসম্ভব; সেইজন্যই জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ ভোট নিয়ে মাথা ঘামাননি। বিএনপি'র অবস্হা দেখে মনে হয়, এখন দেশের জেনারেলরাও হতাশ। এখন ভোটের দায়িত্ব নিয়েছেন ব্যুরোক্রেটরা, উনারা এমন ব্যবস্হা চালু করেছেন যে, রাজনীতি করা লাগবে না, মানুষকে এত কষ্ট করতে হবে না, ভোট আপনা আপনি বাক্সে এসে যাবে; ভোট না'এলেও অসুবিধা নেই, রেজাল্ট ঠিক থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫