মনে হয় না যে, বৃটিশের বর্তমান সমস্যা সে একা সমাধান করতে পারবে; সমস্যা দেখা দিয়েছে, উহা নিয়ে বৃটিশ বসে থাকবে না, সময়ের সথে তারা ইহার সমাধান বের করবে। ঋষি মানি-ম্যানেজার ছিলো, ট্রেজারী সেক্রেটারী ( মন্ত্রী )ছিলো; সে সমস্যার কারণগুলো বরিস জনসন, কিংবা লিজ ট্রাস থেকে বেশী জানে ও ফাইন্যান্সের দিক থেকে অনেক অনেক বেশী বুঝে; সেজন্য কনজারভেটিভ পা্র্টি তাকে বড় চাকুরী দিয়েছে।
সে জানতো যে, লিজ ট্রাস ভুল করছে, সে সেটা নিয়ে বেশী কথা বলেনি; সে জানতো যে, লিজ ট্রাস ব্যর্থ হলে তার ডাক আসবে; সেটাই ঘটেছে। এখন সবকিছু তার ঘাঁড়ে; বেশীরভাগ সম্ভাবনা যে, সেও ব্যর্থ হতে পারে। তখন কিন্তু অনেক দোষ ঘাঁড়ে নিতে হবে।
সে বিলিওনিয়ার হয়েছে "হেজ-ফান্ড" থেকে; ইহা গলাকাটা ইনভেষ্টমেন্ট, ধনীদের জন্য মাত্র, ইহা তাকে তার নতুন চাকুরীতে সরাসরি সাহায্য করবে না; কিন্তু তার সে দক্ষতা তাকে অবস্হা বুঝতে সাহায্য করবে। এরপর, সে ট্রেজারীতে থাকাকালীন সরকারের আয়, ব্যয় ও বৃটিশ অর্থনীতির এনাটোমি দেখেছে, সেটার কলকব্জা টিউন-আপ করে, সে দ্রুত কিছুটা ফল পাবে। কিন্তু বড় সমস্যা হতে পারে, বৃটিশ মুদ্রা, ওয়েলফেয়ার ও পেনশন ফান্ডকে মেরামত করতে।
শুধু বৃটেন নয়, পুরো ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, চীন, ব্রাজিল, সবাই সমস্যায় আছে। বৃটেনের সমস্যাটা সামনে বেশী আসছে, কারণ লেবার পার্টি উহার উপর বেশী আলোকপত করছে।
বৃটেনে ঋষি থেকেও বড় বড় ফাইন্যান্সিয়েল গুরু আছে, কিন্তু ওরা সঠিক সময়ে সঠিক যায়গায় নেই: তারা কনজারভেটিভ দলের এমপি নন। ঋষির কানেকশান আছে, সে অর্থনীতির গুরুদের একত্রিত করে সমস্যার সমাধান যদি বের করতে পারে, টিকবে; না'হয়, লিজের মতো আউট হয়ে যাবে। আবার পুরো সমস্যা কিন্তু শুধু অর্থনৈতিক নয়; বেশ কিছু সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে কোভিড ও ব্রেক্সিটের করণে। ব্রেক্সিট তাদের মানুষের চাকুরীর নিশ্চয়তা কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে; কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতদের সহানুভুতি কমেছে; এর বাহিরে, কোভিডের ফলে, মানুষের মাঝে সরকারের উপর নির্ভরশীলতা বাড়িয়ে দিয়েছে; এগুলো সমাধানের জন্য সাদা ইংরেজ লাগবে, মানি-ম্যানেজার সোস্যাল ওয়েলফেয়ার নিয়ে বেশী দয়ালু হওয়ার কথা নয়।।
সে টিকলে ভারতীয়দের মান ইউরোপে আরও বাড়বে; না'টিকলেও ইহা একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪০