পুরুষ মানুষের বয়স ৬০ বছর বা তার বেশী হলে, তখন স্ত্রীহীন-জীবন অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। যেকোন কারণেই হোক: স্ত্রীর মৃত্যু, ডিভোর্স, বা অবিবাহিত থাকলেও, ৬০ বছর বয়সের পর একা থাকা অনুচিত। স্ত্রীহীন অবস্হায় খুব ছোট রোগও বড় সমস্যা হয়ে যেতে পারে; কিন্তু সবচেয়ে বেশী ভয়ের কারণ হলো, প্রষ্টেট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেড়ে যাবে।
আমাদের দেশে বেশী বয়সে স্ত্রীর মৃত্যু হলে, বা ডোভোর্স হলে, নিজ পরিবারের লোকেরাই বয়স্ক পুরুষের বিয়ের বিরোধীতা করে থাকে; ছেলেমেয়ে ও অন্যন্য ঘনিষ্ট আত্মীয়স্বজন কিছু না বুঝে বিয়ের বিপক্ষে চলে যায়। অবশ্য এর মুলে থাকছে শিক্ষাহীন সমাজ, যারা স্বাস্হ্য সম্পর্কে মোটামুটি অজ্ঞ। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষ ঘরমুখী হতে থাকে, কিন্তু সেই ঘরে যদি স্ত্রী না থাকে, তা'হলে ঘর কখনো আনন্দের যায়গা নয়।
আর্থিক স্বচ্ছল পরিবারে অনেক সময় বয়স্ক মানুষের সেবার জন্য নার্স, পরিচারিকা, ইত্যাদি রাখে; কিন্তু এদের সেবা কখনো স্ত্রীর অভাব পুরণ করতে পারে না। সুতরাং, বেশী বয়সে স্ত্রী হলো সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও দরকারী সাথী।
মুত্রথলীর নীচের অংশে একটি নল থাকে, এই নল হয়ে তরল বেরিয়ে যায়; থলি থেকে যেখানে নলটি বের হয়, সেখানে নলের চারিদিকে একটি গ্রন্হি আছে; ইহা খুবই নরম পেশী, ইহাই প্রষ্টেট। আরেকটি নল হয়ে পুরুষের শুক্রানুও এই গ্রন্হিতে আসে ও এখান থেকে নিসৃত হয়ে থাকে। সাধারণত, বয়স ৫০/৫৫'র বেশী হওয়ার সাথে সাথে প্রষ্টেট গ্রন্হির আকারটা বাড়তে থাকে; আকার বাড়ার কারণে নলগুলো সরু হতে পারে। যদি শুক্রানু ও ইহার সাথে যুক্ত তরল এখানে বেশী সময় অবস্হান করে, প্রষ্টেটে ইনফেকশান হতে পারে; এই ইনফেকশান ক্রমাঘতভাবে চলতে থাকলে, উহা ক্যন্সারে রূপ নেবে একদিন।
আমাদের মতো দেশে ক্যান্সার হয়ে যাওয়ার আগে অনেকই এই সমস্যাকে বুঝে উঠতে পারেন না; আরেকটি ব্যাপার হলো, এই সমস্যার সিম্পটম না'ও থাকতে পারে; ফলে, যখন ধরা পড়ে, দেখা যায় যে, দেরী হয়ে গেছে।
আপনাদের পরিবারে বয়স্ক লোকজন যদি একা থাকেন, তাঁদের বিয়ের ব্যবস্হা করবেন; আমাদের সংস্কৃতি ও সামজিক নিয়ম বয়স্কদের বিয়ের সাপোর্ট করে না, এগুলো ভয়ংকর বেকুবী রীতিনীতি; বয়স্ক মানুষের জন্য বিয়ে খুবই দরকারী বিষয়, কোন বয়স্ক মানুষ যেন একা না থাকেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৮